পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У) о с খরিদ করেন । মাধবরাও শেষোক্ত চিত্রটি ১৮৮০ খৃষ্টাব্দের পুনা শিল্পপ্রদর্শনীতে প্রদর্শন করেন । গায়কোবাড়ের স্বর্ণপদক এই চিত্রটির জন্ত প্রদত্ত হয় এবং ইহার প্রতি অনে কের দৃষ্টি আক্লষ্ট হয়। বোম্বাইএর গবর্ণর সর জেমস, ফাগুসন এই ছবিটি দেখিয়া বড়ই আনন্দিত হন, কিন্তু উত। সর টি মাধব রাওএর সম্পত্ত্বি বলিয়া শিল্পীকে উহার একটি প্রতিলিপি অকিতে আদেশ করেন । রবিবৰ্ম্ম উষ্ঠা অ'কিয় স্বয়ং গবর্ণরকে উপহার দেন। সর জেমস রবিবৰ্ম্মার শিল্পনৈপুণোর গুণগ্রাহিতার চিঙ্গস্বরূপ তাহাকে ইংলণ্ডের রাজপরিবারের ফোটোগ্রাফ সমন্বিত একখানি বহুমূলা এলবাম উপহার দেন। ১৮৮১ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে রবিবৰ্ম্ম নিজ কনিষ্ঠ প্ৰত। সী, রাজ রাজবায়াকে সঙ্গে লইয়। মহারাজ গায়কোবাড়ের অভিষেক উপলক্ষে তৎকর্তৃক নিমস্থিত হইয়। বড়োদা গমন করেন । বড়োদার দরবারে চারিমাস অবস্থিতিকালে তিনি গায়কোবাড় রাজপরিবারের সকলের চিত্র অঙ্কিত করেন । তিনি এই সময় রাজা সর টি মাধবরাও এবং রটিষ রেসিডেণ্ট মেলভিল সাহেবেরও ছবি অ’াকেন । * অতঃপর তিনি ভবনগরের মহারাজার আমন্ত্রণে তাহার রাজধানীতে গিয়া তাহার জন্ত কতকগুলি ছবি অঁাকিয়া দেন। ভবনগর হইতে ফিরিয়া আসিয়া তিনি গুরুতর শোক পান । চিত্রবিদ্যায় তাহার বাল্যশিক্ষক তাঙ্গর ভক্তিভাজন মাতুল মহাশয়ের এই সময়ে মৃত্যু হয়। এই মহাত্মা জীবনের শেষভাগ পরম ভাগবতের ন্যায় যাপন করিয়াছিলেন । ই হার শিক্ষা ও উৎসাহ ব্যতিরেকে রবিবৰ্ম্মা রবিবৰ্ম্ম হইতে পারিতেন না । ইহার পর রবিবৰ্ম্ম মহীশূরের ভূতপূৰ্ব্ব নৃপতি সর চম রাজেন্দ্র ওদায়ারের নিমন্ত্রণে ১৮৮৫ খৃষ্টাব্দে মহীশূর যাত্রা করেন । ইনি সঙ্গীত ও চিত্রবিদার একান্ত অনুরাগী ছিলেন। রবিবৰ্ম্ম তিনমাস মহীশূরে থাকিয়া মহারাজা ও তাহার সস্তানগণের আলেখ্য অঙ্কিত করেন । মহারাজা অন্যান্ত উপহারের মধ্যে, শিল্পীকে, ত্রিবাঙ্কোড়ের অভিজাতবর্গের মধ্যে তাহার উচ্চ মর্যাদার উপযুক্ত সন্মান রক্ষার্থে, দুইটি সুন্দর হস্তী প্রদান করেন ।

  • মেলভিল স{tহল ম হুলার রাও গায়কে বাড়ের মিলব। সনের পর -

বড়োদার শাসনপ্রণালীর সংস্কার ও পুনর্গঠন কধ্যে নেতৃত্ব করেন। প্রবাসী ১ম ভাগ রবিবৰ্ম্ম কলিকাতার অন্তজাতিক প্রদর্শনী এবং ; লগুনের ভারতীয় ও ঔপনিবেশিক প্রদর্শনীতে রৌপ্যপদক ও প্রথম শ্রেণীর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হন। এই সময় তাহার জননীদেবী দেহত্যাগ করেন । তিনি শোকাচ্ছন্নহৃদয়ে রতাবলম্বা হইয়া কিলিমানুরস্ত নিজ প্রাসাদে একবৎসর কাল যাপন করেন । ১৮৮৮ খৃষ্টাব্দে মহারাজ গায়কোবাড় নীলগিরি শৈলে গ্রীষ্মকাল অতিবাচিত করিতে আগমন করেন । এই সময় তিনি রবিবৰ্ম্মাকে বড়োদাস্থিত নিজ নূতন প্রাসাদ ভূষিত করিবার জন্য একটি বৃহৎ ফরমাইশ দেন। তাহ রামায়ণ ও মহাভারতের চোঁদটি মুনিৰ্ব্বাচিত দৃশ্বের চিত্রাঙ্কণ। এই গুরুতর কার্য্যে তস্তক্ষেপ করিবার পূৰ্ব্বে রবিবৰ্ম্ম উত্তর ভারতবর্ষে ভ্ৰমণ করা আব শুক মনে করেন । উদ্দেশ্য, প্রাচীন প্রস্তরমূৰ্ত্তি বা চিত্রাদি হইতে তিন্দু রাজ ও রাণীগণের পরিচ্ছদের সমাগনুশীলন । কিন্তু তাতার মনোরথ পূর্ণ হয় নাই। বহুশতাব্দীব্যাপী মুসলমান প্রাধান্তকালে তাঙ্গর উদেখাসম্পজ খাটা ঠিন যাহা কিছু ছিল, সমুদয়ই উত্তর ভারতবর্ষ হইতে বিলুপ্ত হইয়াছে। ভারতবর্ষের প্রত্যেক জাতি, উপজাতি এবং কোন কোন প্রদেশে, প্রত্যেক বর্ণের ভিন্ন ভিন্ন প্রকার পরিচ্ছদ ও অলঙ্কার আছে । এইজন্য রবিবয়া বুঝিতে পারেন যে সকল শ্রেণীর লোককে সমভাবে সস্তুষ্ট করিতে পারি:ব এরূপ একটি সাধারণ পরিচ্ছদ আবিষ্কার করা বড় কঠিন । উত্তর ভারতবর্ষে ভ্রমণ করিতে আসিয়া রবিবৰ্ম্ম৷ মালব, রাজপুতানা, দিল্লী আগ্রা, লাঙ্গোর, বারাণসী, এলাগবাদ, কলিকাতা, ও অন্যান্ত স্থান দর্শন করেন। কলিকাতায় তিনি বিজয়নগরমের ভূতপূৰ্ব্ব মঙ্গরাজার অতিথি ছিলেন। মহারাজা রবিবৰ্ম্মার একজন ‘ভক্ত’বন্ধু ছিলেন ; উত্তর ভারত ভ্রমণ পরিসমাপ্তির পর রবিবৰ্ম্মা গৃহে প্রতাগত হইয়া গায়কোবাড়ের ফরমাইশী কাজে তাত দেন, এবং দুই বৎসরের মধ্যে ছবি চৌদখানি সমাপ্ত করিয়৷ ১৮৯ • খৃষ্টাব্দের শেষে তৎসমুদয় সঙ্গে লইয়া বড়োদা গমন করেন। চিত্রগুলি কয়েকদিনের জন্য, প্রকাশুস্থানে প্রদর্শিত হয় । তাহা দেখিবার জন্ত বোম্বাই প্রেসিডেন্সির সকল দিক হইতে দলে দলে লোকের সমাগম হয় । কিছুদিন বড়োদায় একটা