পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*り8 4. প্রবাসী বায় ও যত্ন করিবার ক্ষমতা আছে, তিনি স্যামসাড়। ’ ‘পাটনাই কুমুর, বা যে কয় জাতীয় বিদেশীয় ইক্ষুর কথা পূর্কে বলা হইয়াছে, এই সকল শ্রেষ্টজাতীয় ইক্ষুর চাষ করুন । যাতার বায় বা যত্ন বরিবার তাদশ সুবিধা নাই, তিনি খড়ি, ‘পুরি’, ‘কাজলি’ বা ‘কাটার জাতীয় ইক্ষুর চাষ করুন। যাচার জমিতে জল দাড়ায়, তাড়ার কৰ্ত্তব্য কুলুয়৷” বা ‘কুলের জাতীয় ইক্ষুর চাষ কর । চট্টগ্রামে ‘পাটনাই কুসুর’ নামক যে ইক্ষুর চাষ হইয়। থাকে, উঠা অতি উংকৃষ্ট এবং বিদেশীয় শ্রেষ্ঠ জাতীয় ই ক্ষুর প্রায় সম যে কয়েক ও তিীয় ঠাকুর নাম দেওয়া গেল, তড়ির বঙ্গদেশে, বোম্বাই, ভুল, চিনি । ‘বিলাতী , কুড়ি, ‘ফুরি, পুনা,’ ‘মঙ্গো,’ ‘ধলা,’ ‘শ্বের্তী, “নোটা,’ ‘নোড়া,’ ‘মগী,’ ‘ভা গুমূগী,’ ‘বনিসা - ‘সাড়েবান,’ ‘মান্দারিয়া ’ ‘রাউণ্ড), ‘টিক,’ ‘পাউণ্ডী, বনসাহা, ‘মনেরিয়া, বেওড়। ’ ‘শক রচিনিয়া,’ ‘গণ্ডেরী,’ ‘পাগড়া,’. ‘রোঢ়ী,’ ‘ধলসুন্দর, উড়ি, প্রভূতি কয়েক জাতীয় ইক্ষু জন্মে। এই সকলের মধ্যে লস্থত; জাতিভেদ করিতে গেলে সাতটি মা এ জাতি হির করিতে পারা যায় । (১) বরাকরের নিকট যে খড়ি-চক্ষু জন্মে উথ উড়িষ্যার পুরী'-তক্ষর ন্যায় দৃঢ় ও স্বক্ষদণ্ডবিশিষ্ট বটে কিন্তু খড়ি ইক্ষু গোড়া হইতে কাটিয়া লইলে, বংসর বংসর পুনঃ পুনঃ উঠার গাছ বাহির হয় । চারি পাচ বৎসর ধরিয়। একই গোড় হইতে খড়ি-চক্ষ জ ৷ ইয়া লাভবান হওয়) যায় । চারি পাচ বৎসর পরে “ফলন' দ্রুত হ সি কহয়] আইসে । (২) উড়ষ্যা অঞ্চলের ‘পুরী ইক্ষু রাজসাঃ) প্রভৃতি জেলার কাজলী ইক্ষু অপেক্ষ সূক্ষ্ম বটে, কিন্তু মৃত্তিক ও স্থান ভেদে এই সামান্ত প্রভেদ হইয়। থাকিতে পারে । 'কাটারী’ ও ‘রাটী’ ও ‘কাজলীর’ রূপান্তর মাত্র বল। যাইতে পারে। সামান্ত বায়ে সামান্ত যত্নে এই ইক্ষু জমিয়া থাকে বলিয়া এই ইক্ষুই চাষীদের মধ্যে সৰ্ব্বত্র প্রচলিত দেখিতে পাওয়া যায় । (৩) “কুলুয়া’ বা ‘কুলের বোম্বাই প্রদেশের তৃণ-ইক্ষু (Bombay grass-cane) 's “so-o' (Bombay straw-eau. ) স্থায় জল জমিতে উত্তম জন্মে। আসাম প্রদেশের লোহিত ত্বক্ ইক্ষু ও জলা জমিতে উত্তম জন্মে । [ ১ম ভাগ । এই সকল ইক্ষু হইতে শর্করার পরিমাণ কম হইলেও, মোট ফলন ইহাদের হইতে কম পাওয়া যায় না। প্রতি কাঠায় এক মন গুড় ফরিদপুর প্রভৃতি জেলার লোক ‘জলী আক’ হইতে লাভ করিয়া থাকে। কাজলী, কি খড়ি, কি শুাম-সাড়ার ফলনও ইহা অপেক্ষা বিশেষ অধিক হয় না । (৪) লাল-বোম্বাই’ আকের রসও কিছু রঙ্গীন হয়, এবং শুমসাড়ার গুড় অপেক্ষ বোম্বাই এর গুড় কিছু লাল এবং মোট দানাযুক্ত হয়। এই সকল কারণে এবং ত্বকের বর্ণ প্রযুক্ত বোম্বাই ইক্ষু এক বিশেষ জাতীয় ইক্ষু বলিয়া বোম্বাই অকের আবরণ লোহিত ও শ্বেত উভয় বর্ণেরহ ও য়ু । কোন ক্ষেত্রের বোম্বাই অাক প্রায় লাল, কোন সে ত্রের বা প্রায় সাদা । (৫) শ্রামস ড্রা’ ও ‘ধলমুনার সাহারানপুরের চক্ষুর স্যায় শ্রেষ্ঠ, সুমিষ্ট, সহজ-চৰ্ব্বা ও রসপূর্ণ। ইহার গুড়ও সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । (৬) চট্টগ্রামের পার্টুনাই কুমুরের দ গু এত দীর্ঘ ও স্থল এবং উহার গাইটগুলি এত অক্ষর অন্তর যে ইহাকে আর এক শ্রেণীর বলিয়া গ্রাহ করাহ কৰ্ত্তব্য । দোষের মধ্যে এই জাতীয় ইক্ষুতে যে পরিমাণ ‘ধসাদরা রোগ দেখিতে পাওয়া যায়, অন্তজাতীয় ইক্ষু ত সে পরমাণ রোগ দেখিতে পাওয়া যায় না । (৭) বঙ্গদেশের উত্তর ও পশ্চিম ভাগের কয়েক জেলায় যে 'উড়ি আক’ জন্মে, উচ্চা ও এক পৃপক্শ্রেণীর বলিদ) গ্রাহ করা কৰ্ত্তব্য । কেননা এই ইক্ষু সহজে বীজবান হয় এবং বীজ হইতে এই ইক্ষুর চাষ করার নিয়মও প্রচলিত আছে । ৩ । এই সমস্ত ইক্ষু কোমলতা অনুসারে চৰ্ব্বা ও অচৰ্ব্ব্য এই গুই প্রধান শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় । কঠোর দণ্ডযুক্ত ইক্ষু সমুদয় গুড় প্রস্তুতেরই উপযোগী। কোমল, সরল ও মুখচৰ্ব্বা ইক্ষু , ড্র বড় সহরের মধ্যে বিক্রয় করিতে পারিলে বিশেষ লাভ হয়। কিন্তু এই সকল ইক্ষু হইতে যেরূপ সুন্দর গুড় হয়, অচৰ্ব্বা ইক্ষু সকল হইতে সেরূপ গুড় হয় না। পশ্চিমাঞ্চলের লোকে চৰ্ব্ব্য ইক্ষুকে ‘পাউণ্ডা’ ও অচৰ্ব্ব্য ইক্ষুকে ‘ইখ কহিয়া থাকে । উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের গ্ৰাহ্য হইতে পারে ।