পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రీఫీ বলিত। আমি মোহিত হইয়া, তন্ময় হইয়া শুনিতাম । আমি তাঙ্গার ৭ ছে ঘুমপাড়ানিয়া গান গাহিত।ম— (প্রথম গান) এ গালেতে চুমো, ও গালেতে চুমো ; ঘুমা যন্ত ঘুমো, ঘুমা মাণিক ঘুমো । অন্ধকার-দানার ঘাড়ে বাড়ড়ের চড়ে, নাড় চে নিজের ডানা। হেথা নাইক তাদের আনাগোনা, আনাগোনা, আনাগোনা। ঘুম আমার চাদের কোণা, ঘুম আমার মাণিক ধোন । এ গালেতে চুমো, ও গালেতে চমো ; যুমা যা ঘুমে, ঘুমা মাণিক ঘুমে । পাচঠেঙ্গো, দশঠেঙ্গো মাকোড়,শা – হাড়গোড় ভাঙ্গা দ কোরে কাটা মেরে দূর কোরে, ঝি তারে তাড়িয়ে দিয়েছে । সে গো ছাদে গিয়ে, ছাদে গিয়ে, ছাদে গিয়ে গো, বুনচে নতুন বাসা ; আর পাড় চে ডিম, ডুমে ভুমে ভূমো ভূমো ভূমো ভুমে। ঘুমা মাছ থুমো, ঘুম মাণিক সুমে । ( দ্বিতীয় গান ) ঘুম পাড়ানিপ্পা মাসি পিসি এস গো ! চুপি চুপি ধীরে এসে, যার শিয়রে ঘেষে, বোস গো ! ভোমরার ডাকের মতন, তোমার ও মোহনিয়া কুর । ফিক্টিদের ডাকের মতন, বাজে তব চরণে নুপুর ! কপোতের বকমের মত, রেশমের বুননের মত, গুন, গুন গুন গুন, গুন গুন করি, খুমের মোহন গণ্ডী বিয়চন করি, প্রবাসী ১ম ভাগ । থাক বসি, সারা নিশি, ঘুম পাড়ানিয়া মাসি, পিসি ! ७ श्रीन ६फ़ैौ क्रूण भि७ cभांङिठ झहेग्न, उन्राग्न झझेब्रां, শুনিত । শনৈশ্চরের মনে হিংসার উদয় হইল। শনৈশ্চরপত্নী দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিল। ভোদার মৃত্যু হইল। আমি লক্ষ্মীছাড়া হইলাম, আমি জ্ঞান বৃদ্ধি হারাইলাম । ছুই বৎসর, উন্মন্ত হইয়া, বাক্শন্ত হুইয়া, অন্ধ কাল-দৈত্যের তিমিরপুর্ণ কারাগুঙ্গে পড়িয়া রঙ্গিলাম । দশম পরিচ্ছেদ । ঘোর কষ্ট ! ঘোর কষ্ট । দারুণ মন্ত্রণা ! দারুণ যন্ত্রণা ! বিস্তর পাপ না করিলে লোকে পাগল হয় না । আমি দুই বংসর হাড়ভাজ! ভোগ গিয়া পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিলাম । তাঙ্গর পর দয়ামস—যিনি নরকের কীটকেও ঘুণ করেন না-সদয় হক্টলেন । ঘোর নিবিড় তিমিরে প্রদীপের আলোক আসিলে, অন্ধকার যেমন ধীরে ধীরে সরিয়া যায়, উন্মত্ততার অন্ধকারে জ্ঞানের দীপশিখা জলিয়া উঠিল, আর চিত্তের বৈকল্য ধীরে ধীরে সরিয়া গেল। বলা বাভুলা. আমার গৃহদেবতা মোক্ষদ! এই দুইটী বৎসর প্রাণপণে আমার সেবা করিয়াছিল। আমি সন্ন্যাসীর ত্রত ভঙ্গ করিয়া গৃহস্থ সংসারী হইয়াছি, বিধাতা সেই পাপেরই কি দণ্ড বিধান করিলেন ? সে তো লঘু পাপ। আমি গুরুতর, গুরুতম পাপের পাপী। আমি মহাপাপী-মহাপাপী । সে পাপের কি প্রায়শ্চিত্ত আছে ? এক দিন সন্ধ্যার পর ছাদে বসিয়া আছি, মোক্ষদ আমার মাথায় বা সি করিতেছে। বিশ্ববিপ্লাবিনী জোৎস্নায় ছাদ ভরিয়া গিয়াছে। অামি চন্দ্রমগুলের দিকে বহুক্ষণ চাহিয়া রছিলাম ; তাহার পর, আমার মনে কিছু শান্তি আসিল । আমি মোক্ষদার দিকে সাগ্রহে তাকাইয়া বলিলাম, “প্রিয়তমে, তুমি কি আমার অপরাধ মার্জনা কোরবে ?” মোক্ষদা সহাস্তে বলিল, “নাগ, দাসীর কাছে কখনও কি স্বামী অপরাধী হয় ?” আমি বলিলাম, “তোমাকে আলিঙ্গন কোরবার জন্তে আমিই কুমীরের মত সেই কাশীর রাজাঘাটে তোমার পা প’রে টেনেছিলাম। কাশীর পাত্রটকে আমিই স্বমুখে বলেছিলাম, মোক্ষা আমার সহিত