পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] মঃ। সেই কাশীর গৃতের বাগানে সে দিন পাতার খসসানি হয় নি, কাটবিড়ালিও ছিল না ;–কাশীর পাত্রটার ন সন্দেহে পূর্ণ করবার জন্য আমিই তাকে লুপিয়ে তোমার আমার অবৈধ সম্বন্ধ দেখিয়ে তাকে প্রতারিত কোরেছিলাম । আমি মানুষ নষ্ট—অামি অসদাচরণে কুমীর ।” মোক্ষদ আমাকে নিজ বাহু যুগে আবদ্ধ করিয়া বলিল, “তুমি কুমীর নও —তুমি থেজুর।” আমি চক্ষু মুদ্রিত করিয়া বহুক্ষণ ষ্টদেবতার আরাধন করিলাম। প্রাণে অপূৰ্ব্ব শান্তি আসিল । হীবরের রোজনামচা । ( > ) “ মাকাগুয় পুরাণের অংশবিশেষের অনুবাদক একজন মান্দ্রাজী ব্রাহ্মণ। করমণ্ডল উপকৃলবাসী দুৰ্ভিক্ষক্লিষ্ট লোকদের জন্য চাদ আদায় করিবার নিমিত্ত ইনি এখন কলিকাতায় রকিয়াছেন । সে দিন তিনি এই উদেখে আমার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছিলেন । এই জন্য তিনি ধনী ভারতবাসীদের এক সভা আহবান করিতেও সমর্থ হইয়াছিলেন । এই ঘটনা এরূপ অসাধারণ যে, যে যে ইউরোপীয় ব্যক্তি ইহার উল্লেখ করিয়াছেন, তিনিই বিস্ময় প্রকাশ করিয়াছেন। কোন ভারতবাসীই বেশী চাদ দেয় নাই ; কিন্তু তাঙ্গাদের মধ্যে এই প্রকার বদান্ত্যতার ভাবের উদ্রেক একটা নুতন জিনিষ এরূপ কাজে খৃষ্ঠানের আনন্দের সচিত ভারতবাসীদের সহযোগিতা করিতে এবং এমন কি নিজেদের টাকা তাহাদের হাতে বিতরণের জন্য ন্যস্ত করিতে ও প্রস্তুত ; যদি কেবল ইহা দেখাইবার জন্যও হয়, তাহা হইলেও আমি আপনাকে চাদ দিতে বাধ্য মনে করিলাম। কিন্তু চাদাদাতাদিগের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ বদান্ত একজনের ( ব্যোমননান ?)ঠাকুরের ) সহিত কথা কতিয়া দেখিলাম যে আমি তাহাদিগকে যতটা বিশ্বাস করি, তাহারা পরস্পরকে ততটা বিশ্বাস করেন না। তিনি বললেন, “রামস্বামী পণ্ডিত খুব ভাল লোক হইতে পারেন, কিন্তু, চাদা দ্বারা সংগৃহীত সমস্ত টাকা হাতে পামার কোম্পানীর হাউসে আমানত থাকে এবং মান্দ্রাজে তত্ৰত্য ইংরাজসমিতি স্বারা বিতরিত হয়, আমি সভায় তদ্রুপ বন্দোবস্ত করাইয়া লইয়াছি। প্রবাসী ○> ○ আমি মান্দ্রাজী পণ্ডিতদিগকে জানি না ; কিন্তু ইহা জানি যে ইউরোপীয় ভদ্রলোকদের সুখ্যাতনাশের ভয় আছে ।" ঈীবরের রোজনামচায় চড়কপূজার একটি বর্ণনা আছে । পাদটীকায় রোজনামচার সম্পাদিক তীবরপত্নী লিখিয়াছেন BB BBBBB BBBB BBBB BBtm SBBB BBS BB BBBS অন্তান্ত ভূত্যদের নিকট ভিক্ষণ মাগিয়া লেড়াইতে ছল । “এক্ট লোকটাকে আফিং প্রয়োগ দ্বার: জড়ভাবাপন্ন কলা ইয়াছে বলিয়া বোধ হইল । চড়কের সময় শরীরের যে অঙ্গ বর্ষ। বিদ্ধ করা তহঁত, তাঙ্গার উপর অনেক পুৰ্ব্ব হইতে অক্ষিং মালিস করা স্তত্বত । এই প্রকারে উক্ত অঙ্গ অসাড় গুইয়া যাক্টত ।” “২১শে এপ্রিল । আজ আমার প্রিয় হারিয়েটের BBBBB BB BBB SBBB S S S S S BBB BB আমাদের বাড়ীতে একটা জাকাল মধ্যাঙ্গভোজ ও সাঙ্গা সম্মিলন হঠয়াছিল । তাঙ্গাতে লর্ড ও লেউী আমহাষ্ট্র এবং কলিকাতাস্ত আমাদের সমস্ত পরিচিত ; ইউরোপীয় | লোক উপস্থিত ছিলেন। সায়ং সম্মিলনে আমি কমেকজন ধনী নেটিভ কেও নিমন্থণ করিয়াছিলাম। তাহারা এইরূপ খাতিরে বড় খুসি হইয়াছিলেন। কারণ, ইহার পূৰ্ব্বে কোন উচ্চপদস্থ ইউরোপীয় তাহাদের কাহাকেও এরূপ সম্মান দেপান নাই । ‘আপনাদের সন্মিলনগুলির চিত্তাকর্ষকতা মহিলাদের উপস্থিতিতে কত বাড়িয়া যায়, হরিমোহন ঠাকুর এইরূপ মন্তব্য প্রকাশ করায়, আমি এই কথা ঠাঙ্গার মনে পড়ান্তয়া দিলাম, যে, সমাজে স্ত্রীলোকদের মিলমিশ একটি প্রাচীন হিন্দুপ্রথা ; উচ্চা কেবল মুসলমানবিজয়বশতঃ রহিত কষ্টয়া যায় । তিনি হাসিয়া আমার কথায় সায় দিলেন, কিন্তু বলিলেন, ‘এখন আর পূৰ্ব্বপ্রথা অবলম্বন করিবার সময় নাই ।” রাধাকাস্ত দেব আমাদের কথা শুনিতে পাষ্টয়া অধিকতর গম্ভীরভাবে বলিলেন, ‘ষ্টতা অতিশয় সত্য যে আমরা মুসলমানদের শাসনকাল পর্য্যস্ত আমাদের স্ত্রীলোকদিগকে গুহে আবদ্ধ করিয়া রাগিতাম ন । কিন্তু আমরা তাহাদিগকে ইউরোপীয়দিগের মত স্বাধীনতা দিবার পূৰ্ব্বে তাহাদের অধিকতর শিক্ষিত হওয়া আবশ্রাক ।’ আমি এই বাবুগণকে প্রধান বিচারপতির সচিত পরিচিত করিয়া দেওয়ায় তাহারা অতিশয় সুখী হইলেন। কিন্তু তাহার!