পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ৮ম ও ৯ম সংখ্যা ।] ব্রহ্মদেশে বাঙ্গালী । ८=ा আলন্ত প্রিয় শ্রমবিমুখ বাঙ্গালী বাঙ্গালার সীমার বাহিরে সহজে পদার্পণ করিত না, পরসেবারত পরমুখাপেক্ষী হইয়া স্বদেশেই কষ্টে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাত কবিত, তাহাদের অনেকেই এই ঘোর জীবনসংগ্রামের দিম স্বদেশে স্বচ্ছন্দে অল্পসংস্তান করিতে না পারিয়া অ’গ্ৰা পাজ্জনমানসে নানা দিগেদশে গমনাগমন ও ভায়ণতবঙ্গ সঙ্কণ সমুদ্রপারবস্ত্রী সুসভা ও অসভ্য নান; জনপদে গিয়া বসবাস করিতেছে । এই সুবিস্তীর্ণসাগরব্যবষ্টিত, বি ও তীয়জনগণে পরিরুত বহ্মদেশ এখন অনেক ধাঙ্গালীর কার্যাক্ষেত্রে পরিণত তুষ্টয়াছে। সমুদ্রপথে ব্রহ্মদেশ ধাওয়া এখন লাঙ্গালীর পক্ষে সহজ ও অল্পব্যয়সাধ) । বঙ্গোপসাগরের পুলি প্রাস্ত ভাগে বহ্মদেশ অবস্থিত । সমুদ্রপথে উক্ত কলিকাতা হতে ৭৮৭মাইল ব্যবধান মাত্র । কলিকাতা বন্দরে "বিটিশ ইণ্ডিয়ান ষ্টীম নেভিগেশন" কোম্পানির রেঙ্গন না যে কোন ষ্টীমারে চড়িয়া চতুর্থ দিবসে বহ্মদেশের রাজধানী রেঙ্গ ন সতরে পৌছান যায়। প্রতি সপ্তাতে তিনবার করিয়া এই ষ্টীমার ডাক ও যাত্রী লই৷ রেঙ্গ,ন যাত্র করে। ষ্টীমার ভাড়া, প্রথম শ্রেণী ৬৫২, দ্বিতীয় শ্রেণী ৩২ ॥০, তুতীয় শ্রেণী ১০ দশ টাকা। রেঙ্গ ন হইতে রেলওয়ে বা ষ্টীমারযোগে ব্ৰহ্মদেশের সর্বত্র যাতায়াত করা যায় । ১৮৫২ খ্ৰীষ্টাব্দে লর্ড ডালগউসীর ভারতবর্যশাসনাধিকারসময়ে রেঙ্গন সঙ্গর ও নিম্ন বৰ্ম্মার অন্যান্ত দেশসমূহ সম্পূর্ণরূপে বৃটিশসামাজ্যভুক্ত হয় । তৎকালে এ প্রদেশ সমুদ্রপথে বাণিজ্য ব্যবসায়ে ধনোপার্জনের শ্ৰেষ্ঠ ক্ষেত্ররূপে পরিগণিত হইয়াছিল। ঐ সময়ে মাদ্রাজ, বোম্বাই ও সুরাট প্রদেশীয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে সকল বণিক এখানে আসিয়া সামান্ত ব্যবসা বাণিজ্যে প্রবৃত্ত হইয়াছিল, তাতারাই বৰ্ত্তমান সময়ে এথানকার সমৃদ্ধ ও ধনশালী ব্যক্তিরূপে পরিগণিত। যতদূর অবগত হওয়া যায়, ব্রিটিশ গবর্ণমেণ্টের কমিসারিয়েট বিভাগে চাকুরী লইয়াই বাঙ্গালীর ব্রহ্মদেশে প্রথম আগমন । ইংরেজাধিকারভুক্ত কোন নুতন প্রদেশে বাণিজ্যসূত্র অবলম্বনে বাঙ্গালীর প্রথম গমন ও বসবাসের বিবরণ সচরাচর শুনা যায় না। ১৮৯১ সালের সেন্সস অনু সারে সমগ্র ব্রহ্মদেশে প্রবাসী বাঙ্গালীর সংখ্যা,পুরুষ ১৩৯৮৮৩, প্রবাসী ඵ්$ අ স্ত্রীলোক ৩৫৯৩৫ । গত দশ বৎসরে সম্ভবতঃ অনেক বুদ্ধি পাইয়াছে। তাহাদিগের মধ্যে চট্টগ্রামবাসীর সংখ্যাই অধিক । খাস বাঙ্গালার লোক রহ্মদেশে খুবই কম । শিক্ষিত অধিকাংশ বাঙ্গালীষ্ট গবর্ণমেণ্ট,রেলওয়ে বা সওদাগরী আফিসের বেতনভোগ কৰ্ম্মচারী মাত্র । ব্ৰহ্মদশের প্রধান কয়েকটী সঙ্গরে ও জেলায় প্রায় ৪০ জন বাঙ্গালী ব্যবহারাজীব ওকালতী ব্যবসা করিয়া বেশ পয়সা উপায় করেন । তাঙ্গদের মধ্যে তিনজন বিলাতপ্রত্যাগত বান্নিষ্টার, ৭৮ জন কলিকাতা তা কোটের ও অবশিষ্ট সকলেই স্থানীয়(Alvocat.sii)এডুভোকেটশিপ পরীক্ষা ষ্ট্রীণ উকীল । কয়েক বংসর পূৰ্ব্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পরীক্ষা না দিয়াও নিদিষ্ট কয়েকখানি আইন পুস্তক পড়িয়া সকলেরই বহ্মদেশে এড় ভোকেটশিপ পরীক্ষা দিবার বিশেষ সুবিধা ছিল । সেই সুযোগে কতিপয় বাঙ্গালী যুবক পরীক্ষাৰ্ত্তীর্ণ হইয়া এক্ষণে পেষ্ট অথোপাৰ্জন করিতেছেন । ১৮৯৫ সালে ঐ নিয়মাবলীর পরিবর্তন হয়। আঞ্জকাল প্রবেশিক পরীক্ষা for 3 of it: (Burmese Higher stan.Lord ) “বশ্বিল্প তায়ার ষ্টা গুড়ি" নামক পরীক্ষা পাশ না করিলে কেষ্টই উক্ত পরীক্ষা দিবার অধিকারী নহেন । ব্রহ্মের আকিরাব, মাণ্ডালে, মোলমিন, প্রোম, পিণ্ড প্রভৃতি সহর অপেক্ষা রেঙ্গন সঙ্গরেই শিক্ষিত বাঙ্গালীর সংখ্যা অধিক । এইস্তানে প্রায় শতাধিক বাঙ্গালী সপরিবারে ও ৫।৬ শত বাঙ্গালী মেসে অবস্থিতি করেন। উত্তরপশ্চিম ও মধ্যপ্রদেশের “বাঙ্গালীটোলার” ন্যায় এখানকার বাঙ্গালীরা একস্থানে সম্মিলিত হইয়া বসবাস করেন না ; সঙ্গরের সর্বত্রই সকলে আপনাপন সুবিধাজনক ভাড়াটিয়া বাটি মনোনীত করিয়া লন। ওই একজন বিশিষ্ট সম্পন্ন ব্যক্তি ভিন্ন অন্ত কোন বাঙ্গালীর এখানে নিজ বসংবাটি নাই । ছঃখের বিষয় ব্ৰহ্মপ্রবাসী শিক্ষিত বাঙ্গালীগণ বঙ্গসাছিতোর চর্চায় বড়ষ্ট উদাসীন । তাঙ্গদের সভাসমিতির কার্য্যবিররণী ও বক্ততাদি সমস্তই ইংরাজী ভাষায় লিখিত ও পঠিত হয়। রেঙ্গনের বাঙ্গালী ব্যবসাদার শ্ৰীযুক্ত গিরীশ্রনাথ সরকার কর্তৃক ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে রেঙ্গন সরে স্বৰ্গীর মহাত্মা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের স্মরণচিহ্লস্বরূপ “রেঙ্গন বি৪াসাগর রীডিংক্ৰম” নামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠিত হয় ।