পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম ও ৯ম সংখ্যা । ] , তাপও তত পাওরা যায় না। পাচ বোতল বায়ুতে এক বোতল অক্সিজেন, চারি বোতল নাইট্রোজেন । বিলাতের fরণ কোম্পানি বায়ু হইতে অক্সিজেন পৃথক্ করিয়া কয়েক বংসর হইতে বিক্রয় করিতেছেন । কিন্তু তাঙ্গাদের রাসায়নিক উপায়ে বিস্তর ব্যয় হয়, কাজেই সকল অবিশ্বক কাজে অক্সিজেন ব্যবহার করিতে পারা যায় না। সম্প্র ত রাউল পিকটে নামক এক ব্যক্তি অল্পব্যয়ে অক্সিজেন পাইবার উপায় উদ্ভাবন করিয়াছেন । বায়ুকে জমাইয়! জলের মত দুব করিতে পারা যায়। কিন্তু অক্সিজেন –১৮৩০শ, এবং নাইট্রোজেন—১৯৫শ শীতে জমাষ্টতে পারা যায়। সুতরাং বাসকে ১৮৩ tশ পর্যা স্তু শীতল করিলে অক্সিজেন গা সিকে জলের মত দ্রব।করে পাওয় যায়, কিন্তু তখন নাইট্রোজেন গ্যাসের আকারেই থাকে। এইরূপে উভয়কে পৃথক করা সহজ হইয়া পড়ে। যাহা উক,উদ্ভাবক বলেন, এক ঘন গজ অক্সিজেন পাইতে আধ পয়সারও কম, খরচ পড়ে। এত সুলভ ইষ্টলে খনিজ হইতে ধাতু নিষ্কাশন অল্পব্যয়সাধ্য হঠয় পড়িবে। এখন যত কয়লা পোড়াইতে হইতেছে, অক্সিজেনের সঠিত পোড়াইতে পারলে তদপেক্ষ অনেক কম কয়লায় ইচ্ছানুরূপ তাপ পাওয়া যাঠবে। বড় বড় লোহ, ইস্পাত জুড়িতে আর তাপের ভাবনা করিতে হইবে না । থিয়েটার, হাসপাতাল, প্রভৃতি স্থানের বায়ুকে বিশোধিত করা সহজ হইয়া পড়িবে। ফলে অনেক ব্যবসায়, কারখানায় যুগান্থর উপস্থিত হইতে পরিবে ।

  • * *

আমাদিগের চারিদিকের বায়ুরাশি ব। আবহ প্রত্যেক বর্গ ইঞ্চ স্থানে প্রায় ৭ সের চাপ প্রয়োগ করে। ইঞ্চ হিসাবে আবহের প্রভূত চাপের আন্দাজ পাওয়া যায় না। গণিত দ্বারা জানা যায় যে, প্রতি বর্গ ফুট জায়গায় আবহের চাপ প্রায় এক টন (১৭ মণ), দশ বর্গফুট জায়গায় প্রায় ১• • টন। যদি ভূপৃষ্ঠের উপরে ৩২৩৩ ফুট গভীর জল থাকত, সেই জল ভূপৃষ্ঠকে যত ভারে চাপিত, আবহের ঠিক তত চাপ । কলিকাতার ঘর বাড়ির ভার তথাকার ভূপৃষ্ঠকে বহিতে হইতেছে। কলিকাতার উপরের আবহের চাপও প্রায় ঐ সকল ঘরবাড়ীর সমান । প্রবাসী $56 S. এত চাপের থানিকটা কম পড়িলে তাহার ফল প্রত্যক্ষ করা যাইতে পারে । বায়ুমানের (!)। ‘r পারা আধ ইঞ্চ ও নামিয়া আসলে জ্ঞান যায়, প্রত্যেক বর্গফুট স্থান হইতে ১৮ সের চাপ কম পড়িয়াছে । বহুবিস্তুত স্থানে তখন যে কত চাপ কম পড়ে, তা ও সহজেই বুঝা যায় । সঙ্গে সঙ্গে ঝড় বৃষ্টি আসিয়া উপস্থিত হয় । কিন্তু আবহের চাপের হাস বৃদ্ধিতে সমুদের জল ও উচ্চনীচ তইা ত পারে । এতদ্বারা ভারের এত প্ৰভেদ ঘটে যে, তাঙ্গাতে কঠিন ভূপৃষ্ঠে ও প্রতক্ষযোগ ফল গটিতে পারে। সমূদ্রের জোয়ারের জল এক ক্ষু , কম ত বার অর্থ, প্রত্যেক বর্গ মাইল জলপুষ্ট হইতে ৮০ ০০ ০০ টন ভার কম পড়িয়াছে । কেষ্ট কে বলেন, আবঙ্গের চাপ এমনই কম পড়বার সময় ভূ স্প গুইয়া থাকে কপাট অসম্ভব না। উপরের চাপ কম পড়িলে ভূনিম্নস্থ গ্যাস বাঃি রে আ সবার সুযোগ পায়, এব° সঙ্গে সঙ্গে আগ্নেয়গিরির টপক্ষেপ ঘষ্টিতে পারে ।

  • .م 兴

স্থা গ্ৰহণ সময়ে আবঙ্গের উষ্ণতা ও অন্যান্ত অবস্থার কিছু না কিছু পরিবর্তন ৬য় । এতদিন কিন্তু তাঙ্গা জামা ছিল না । গত বৎসরের ১৮মে দিবসের সূর্য গ্রহণকালন আবঙ্গের অবস্থা বিচার করিয়া আমেরিকার আবহবিং তেলম ক্লেটন সাহেব এক সূতন তত্ত্ব প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি প্রমাণ পাঠাছেন যে, স্বৰ্গ গ্রহণ সময়ে একটা ছোট পাট বাতাবৰ্ত্ত জন্মে। তাঙ্গার পাতল কেন্দ্র চক্সের ছায়ার সঠিত পৃথিবীর উপর দিয়া স্বণ্টয় ৬৫০০ গুণত বেগে পাৰিত ত ইয়াছিল । আবঙ্গের উষ্ণতাত্নাসষ্ট ঐ বাতাবপ্তের প্রধান কারণ । এষ্ট অর হ্লাসে ণে বাতাবৰ্ত্ত জন্মিতে পারে, তাঙ্গ আবহবিদ্যার একটি নূতন তত্ব। ইহা ইষ্টতে ক্লেটন সাবে আর একটি তত্ত্ব অনুমান করিয়াছেন । স কলেই জানেন, এক অহোরায়ের মধ্যে আবর্থের চাপ দুইবার বাড়ে, দুইবার কমে । এই হ্রাসবৃদ্ধির কারণ জানা ছিল না । ক্লেটন সাতব মনে করেন, আবহের উষ্ণতার বৈষমোই আবঙ্গের এক্ট প্রকার জোয়ার ভাটা দেখা যায়। প্রতিদিন দিবাভাগে আবহ খুব গরম চয়, এবং রাত্রে তেমনই শীতল হয়। উষ্ণতার প্রভেদে একদিনের মধ্যেই দুইবার ছোটখাট বাতাবৰ্ত্ত জন্মিবার সম্ভাবনা । ১৮৮৫ খৃষ্টাবে ২৯ আগষ্ট তারিখে একবার স্বৰ্য্যগ্রহণ হয়।