পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] সেই ব্রতের উদযাপন করিতে হইবে। অন্য কেহ নাটাসাহিতানিহিত ঐতিহাসিক তথা সংকলনে উদ্যোগী হইলে, অল্লায়াসে বহু ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত পুনরায় লোকলোচনের সমীপৰ গ্ৰী হইতে পারে। শে দেশের সাহিতা ক্ষীণ, অথচ লিখিত ইতিহাস বিপুল, সে দেশের ইতিহাসে যাঙ্গ লিখিত নাই, তাহা আর সংকলিত হইবার আশা নাই। কিন্তু নে দশের সাহিত্য বিপুল, সে দেশের লিখিত ইতিহাস না থাকিলেও, সাঙ্গিতা অনেকাংশে তাঙ্গর অভাব পূরণ কfরতে সক্ষম | এই হিসাবে আমাদের দেশের ইতিহাসের অভাব সাঠিতোর সহায়তায় কালক্রমে কিd২পরিমাণে পরীকৃত হইতে পারে । কিন্তু তাতার জন্য বহু বিভাগে বহুসংখ্যক সাহিত্যসেবকের সেবারত গ্রহণ করা আবশ্রাক । এ কথা বঙ্গসাচিতো বহুবার ঘোষিত হইলে ৪, পুনঃ পুনঃ ঘোষিত হওয়া প্রয়োজন । কারণ, এখনও সাহিত্যালোচনা সখের সামগ্ৰী বলিয়াই পরিচিত ; তাই সাহিত্য শক্তির অপচয় করিয়াই সাহিতাসেবকগণ রুতার্থম্মষ্ঠ । এরূপ দিনে শ্ৰীক জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় সংস্কৃত নাট্যসাচিতোর থাযথ বঙ্গানুবাদ প্রচারে যেরূপ অধ্যবসায় ও রুতিত্বের পরিচয় দান করিতেছেন, তাঙ্গ যথার্থই বিস্ময়ের বিষয় । শ্ৰীঅক্ষয়কুমার মৈত্ৰেয় । বরুণাবিষ্কার । =নত ভাদ্রের প্রবাসীতে "প্রতকঙ্কর” বিষয়ক প্রবন্ধে গ্রক আবিষ্কারের দুইটি ক্রম আলোচনা করা হইয়াছে । তাতাদের মধ্যে প্রথমটি চক্ষে (অর্থাৎ মুক্তনেত্রে কিস্ব দরবীক্ষণ নেত্রে) দেখিয়া আবিষ্কার,দ্বিতীয়টি গণনাদ্বারা অস্তিত্ব প্রতিপাদন করিয়া আবিষ্কার। দৃষ্টিশক্তির সাঙ্গনে আবিষ্কারের আবার দুইটি বিধান আছে। গ্রহ বলিতে সূর্যোর চতুৰ্দ্দিকে ভ্রমণশীল জ্যোতিষ্ক বুঝায় । জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রথম পত্তন হইতেই, গতি দেখিয়া গ্রহ আবিষ্কারের বিধান চলিয়া আসিয়াছে । বার বার পর্যবেক্ষণ করিয়া কোন জ্যোতিষ্ককে স্থান পরিবর্তন করিতে দেখিলে, তাছার চতুষ্পাশ্বস্ত অপর সকল জোতিষ্কের তুলনায়, তাহাকে গতিশীল জ্যোতিষ্ক অথবা “গ্রহ” বলা যায় । গতি দেখিয়া গ্রহ চিনিয়া লওয়া প্রবাসী S)ჯ(r সময়সাপেক্ষ। কোন গ্রহ ও পৃথিবীর অবস্থিতিভেদে কোন কোন সময় এরূপ ঘটে যে পৃথিবী হইতে গ্রহকে কিছু দিন পর্যাস্ত এক স্থানে নিশ্চল দেখায় ; তখন তাকরি আপাতঃদৃষ্ট গতির অভাবে তাহাকে গ্রহ বলিয়া চিনিয়া লওয়া যাইতে পারে না। কিন্তু ঐ অবস্থায় গ্রহ চিনিয়া লইবার অপর একটি বিধান রহিয়াছে । তাঙ্ক। দূরবীক্ষণের তীক্ষতাসাপেক্ষ । আমাদের পরিচিত মে সকল গ্রহ আছে তাহারা সকলেই সে রপরিবারভুক্ত ; একারণ, আকাশের অপর BBB SBBBBBS BBB BBBB BBBB BBS বী । এই সন্নিধান হেতু, তীক্ষ দূরবীক্ষণ দ্বারা দেখিলে তাঙ্গদের আরতি আমাদের দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। আমরা মুক্তনেত্রে জ্যোতিষ্কসকলকে যেরূপ এক একটি আপোকবিন্দুরূপে দেখিয়৷ থাকি, দূরবীক্ষণ দ্বারা তাঙ্গদের কোনটি যদি কেবলমাত্র বিন্দরূপে না দেপাঠয়া বিশিষ্ট মারুতিবিশিষ্ট দেখায়, তবে ইষ্ঠ নিশ্চয় জানিতে পারি যে ঐ জ্যোতিষ্ক একটি গ্রষ্ঠ feন্ন আর কিছু হটতে পারে না । যদি কোন গ্রহ, মানুষের অপরিজ্ঞাত অবস্থায়, কোন দুরবীক্ষণ ক্ষেত্রে আবির্ভূত গুইবার সময় পৃথিবী হইতে এত দূরে অবস্থিতি করে ধে ঐ দূরবীক্ষণ তাঙ্গার বিশিষ্টাকৃতি দেখাষ্টতে অসমর্থ হয়,তাত গুইলে, তাছার গতি না দেখিলে, তাঙ্গকে গ্রহ বলিয়া চিনিয়া লইবার অন্ত উপায় নাই । গ্ৰহ কখনও আপন কক্ষে নিশ্চল থাকে না । - কিন্তু কখন কখন তাঙ্গার স্থিতি এরূপ হয় যে, স্বীয় কক্ষে চলিবার সময় পুথিবী যদি তাঙ্গর ঠিক সম্মুখে কিঙ্গ। পশ্চাতে থাকে, অর্থাৎ পৃথিবী হইতে দেখিতে গেলে তাঙ্গার গতিরেখা পৃথিবীস্থ মানবের দৃষ্টিরেখার সঠিত মিলিয়া একস্তত্রবদ্ধ হইয়া যায়। তখন মানুষের চক্ষে ঐ গ্রহ কিছু কালের জন্য নিশ্চলতা প্রাপ্ত হয় । গ্রহ কক্ষের যে যে বিন্দুতে এরূপ ঘটে, সে সকল বিন্দুকে তাঙ্গার “আচল বিন্দু” বলা যায়। ঐরাপ একটি অচল বিন্দুতে অবস্থান কালে কোন গ্রহ দূরবীক্ষণ ক্ষেত্রে আবির্ভূত হইলে, তাতার কোন বিশিষ্ট আকার না দেখিতে পাইলে, তাহাকে সংজেক্ট গ্রিনক্ষত্র বলিয়া ভ্রম জন্মিতে পারে। ইহা হইতে সহজে অনুভব করা যাইতে পারে যে কত সন্ম নৈসগিক অস্তুরায় অতিবাহন করিয়া এক একটি গ্রহাবিষ্কার ঘটিতে থাকে ।