পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و اسوارقا দুর জাতীয় মহাসমিতির সভাপতিকে প্রকৃতিপুঞ্জের মঙ্গলার্থ মন্থণার জন্য আচবান করিয়া টঙ্গাকে সন্মানিত ও অনুগ্রহীত করিয়াছেন। সুতরাং বুদ্ধিমান, দায়িত্বজ্ঞানবিশিষ্ট রাজপুরুষের কংগ্রেসের সঠিত গবৰ্ণমেণ্টের প্রকৃত কোন বিরোধ আছে বলিয়া মনে করেন, এরূপ ভাবিবার অবসর নাই । অপরিচিত আগস্থকের ন্যায় নবাড়তি জাতীয় মহাসমিতির প্রতি আ শিক সন্দেহ নিতান্ত অসম্ভব নয় ; কিন্তু যতই দিন যাইবে, ততই গবর্ণমেণ্টের সঠিত চড়ার সম্পর্ক অধিকতর সত্ত্বাবপুর্ণ হওয়ার আশা করা যায়। তারপর, যদিষ্ট মাজ কাল আমাদের প্রতি গবৰ্ণমেণ্টের পূৰ্ব্বভাগের কিঞ্চিং ব্যতিক্রম ইয়া থাকে, সে জন্য কংগ্রেসকে দোষী করা যায় না । ক গ্রেস ভারতবর্মীয় শিক্ষিত সমাজের কতকগুলি আশা ও আকাঙ্গার প্রকটভাব মাত্র। যদি রাজপুরুষেরা কংগ্রেসের প্রতি বিরূপ হন, তবে বলিতে হয় যে তাহার সেই সমুদয় আশা ও আকাঙ্কার উপরই বিরূপ । কিন্তু সে গুলি আমাদের শিক্ষার ফল । ইংরেজী শিক্ষার অস্তিত্বে তাঙ্গাদের উদ্ভব অনিবাৰ্গা । সুতরাং ংগ্রেসের প্রতি রাজপুরুষদিগের বিমুখত স্বীকার করিলে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হই যে অনিবাৰ্য্য কারণে সে সকল আশা ও আকাঙ্ক আমাদিগের হৃদয় অধিকার করিতেছে, আমাদের শাসিতৃগণ তাঙ্গদের প্রতিকুল । এবং তাঙ্গ হইলে, কংগ্রেসের স্মৃষ্টিব্যতীত ও যখনই বা যে ভাবেই সে গুলি প্রকাশিত হইত, অচিরাং উক্ত প্রতিকূলতা ও আবির্ভূত হইত। তাই মনে হয় এবিষয়ে ক গ্রেস নিতান্তুষ্ট নির্দোষ । যাহার কংগ্রেসওয়ালাদিগকে ব গ্রিস্ত মনে করেন, তাহারা ভুলিয়া যান যে ঠাঙ্গদের নিজ যুক্তি অনুসারেও কংগ্রেসট ব্যাধি হইতে পারে না। ওটা প্রমাপ মত্র, মাগল রোগ ইংরেজী শিক্ষা। প্রকৃত প্রস্তাবেই ক’গ্রেস আমাদের প্রতি গবৰ্ণমেণ্টের বিষ, দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে, তর্কানুরোধে এইরূপ পুৰ্ব্বপক্ষ করিয়া লওয়া যাউক । এই পুৰ্ব্বপক্ষ স্বীকৃত হইলে আমাদের এই মাত্র ক্ষতি দেখা যায় যে, যখন আমাদের গবর্ণমেণ্টপ্রাসাদের দ্বারে ভিক্ষার জন্ত চীংকার করিবার ও ক্ষমত। ছিল না, তখন নিতান্ত নিঃসহায়, নিঃসম্বল ও কৃপাপাত্র জ্ঞানে ই রেজ রাজপুরুষের আমাদিগকে যে ভুক্তাবশিষ্ট প্রবাসী' [ ১ম ভাগ । অল্পকণিকা অথবা ভিক্ষুক যোগ্য অন্তবিধ যৎকিঞ্চিং দান করিতেন, এখন আমরা তাঙ্গ হইতে বঞ্চিত হইব। কিন্তু যদি গবর্ণমেণ্ট দেখিতে পান যে কংগ্রেসমগুপে সমবেত ভারতবর্ষ পূৰ্ব্ববং দীন ভিখারি নহে, পরস্থ শক্তিমান, স্বপদে দণ্ডায়মানসমর্থ এবং আত্মনির্ভরপর, তবেই গবর্ণমেণ্টের তাদৃশ ভিক্ষাদানবিমূখত সম্ভব হয়। কাজেই আমাদের কল্পিত পূৰ্ব্বপক্ষ স্বীকার করিলে সিদ্ধান্ত করিতে হয় যে কংগ্রেস আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করিয়াছে। অর্থাং পূৰ্ব্বে গবর্ণমেণ্ট আমাদিগকে কৃপাপাত্ৰ মনে করিতেন ; কিন্তু এখন কৃপা কর দূরে থাকুক, আমাদিগকে জব্দ রাখা আবখ্যক বোধ করিতেছেন। কিন্তু যদি ক‘গ্রেস ভারতীয় প্রজাবর্গের শক্তি বুদ্ধি করিয়া তাহাদিগকে অসমর্থলভ্য অনুগ্রহে বঞ্চিত করিয়া থাকে, তবে তাঙ্গাতে তঃপের পরিবর্ষে আনন্দেরই কথা । সুতরাং গবৰ্ণমেণ্টের বিরোধজননরূপ যে অপরাধ জাতীয় মহাসমিতির স্বন্ধে আরোপিত হয়, তাহা প্রকৃতপক্ষে উহার স্তুতিবাদ বলিয়াই প্রতীতি জন্মে । কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আর একটা অভিযোগ এই যে উক্ত হিন্দু মুসলমানের বিচ্ছেদ সবটন করিয়াছে । কিন্তু এই অভিযোগও যুক্তিসঙ্গত নহে । ইংরেজ গবৰ্ণমেণ্টের সহিত পূৰ্ব্বাপরই হিন্দু ও মুসলমান সমাজের সম্পর্ক কিয়ং পরিমাণে বিভিন্ন । ইংরেজের হিন্দুদিগের হস্ত হইতেই ভারতবর্ষ গ্রহণ করিয়াছেন, এই আধুনিক ঐতিহাসিক মত সত্ত্বেও একথা স্বীকার করতে হইবে যে, ইংরেজ রাজত্ব প্রতিষ্ঠার প্রাক্কালে দিল্লী, লক্ষে মুর্শিদাবাদ, হায়দরাবাদ ও শ্রীরঙ্গপত্তনে মুসলমান রাজদও পরিচালিত হইতেছিল। তখনও মুসলমানগণ আপনাদগকে বিজেতৃস্থানাভিষিক্ত মনে করিতেছিলেন ; হিন্দুগণ স্বাধীনতা লাভের জন্য নুনাধক কৃতকার্যতার সহিত চেষ্টা করিতেছিলেন মাত্র । দিল্লীশ্বরের নামের তখনও প্রবল প্রভাব,স্বয়ং ইংরেঞ্জ কোম্পানী যে নামের মোহিনী শক্তি স্বীয় শক্তি সম্বস্কনার্থ প্রয়োগ করিতে ক্রটি করেন নাই। তাই ইংরেজাধিকার পরাধীনতায় অভস্ত হিন্দুর নিকট একের পরিবর্তে অপর বৈদেশিকের রাজত্ব . মুসলমানের চক্ষে তাহা আত্মভোগ্য সিংহাসনে অপরের অধিষ্ঠান, স্বাধীনতার পরিবর্তে পরাধীনতা । কাজেই হিন্দুর রাজভক্তি যত সহজ, মুসলমানের