পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراسری، সাহায্যে চারিদিকে মুসলমান ছাত্রদের জন্য বোর্ডিং স্থাপিত হইতেছে । কোন কোন আ লো-ইণ্ডিয়ান হয়ত মনে করেন, এই সকল কারণে মুসলমানগণ হিন্দুদিগঙ্গঠতে অধিক গুর কৃতজ্ঞ থাকিবেন ; অর্থাং তাঙ্গার কগ্রেসে যোগ দিবেন না। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস ইংরেজ রাজপুরুষগণকর্তৃক উৎসাষ্ঠিত ঠিক এই সকল ব্যাপারই মুসলমানদিগকে ক গ্রেসের দিকে অধিকতর আকৃষ্ট করবে । মুসলমানগণ এপন ও রাজকৰ্ম্মচারী নিৰ্ব্বাচনাথ পরীক্ষাতে হিন্দুদিগের সঠিত প্রতিযোগিতা করিতে সমর্থ নতেন । এথন ও আইন, চিকিৎসা প্রভৃতি ব্যবসায়ে এবং মিউনিসিপালিটী, জিলাবোর্ড বা ব্যবস্থাপক সমাজে শিক্ষিত হিন্দুদিগের সঠিত তাঙ্গারা মাটিয়া উঠিতে পারিতেছেন না । এখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রকৃতিপুঞ্জের অলারিত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ উন্মুক্ত হইলে হিন্দুগণই প্রাধান্ত লাভ করিবেন। এই কারণেই মুসলমানসমাজ কংগ্রেসালু মোদিত প্রজাতন্থামু রূপ শাসনপ্রণালীর তত সমর্থন করিতেছেন না । কিন্তু মুসলমান শিক্ষাসমিতি, আলীগড় কলেজ, ও মুসলমান ছাত্রনিবাসগুলিরিদ্ধার শিক্ষা যতই বিস্তুত হইবে,ততই মুসল মানগণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার উপযোগী শক্তি লাভ করি বন । তখন হিন্দুপ্রাধান্তর বিভাষিক। তাঃ দিগকে পীড়িত করিবে না। এতদ্ব্যতীত, বিষ্ণুততর শিক্ষা উচ্চতর রাজনৈতিক আদশের স্মৃষ্টি করবে। সেই আদশের আয়ন্ত্রীকরণ প্রবৃত্তিও মুসলমানদিগকে কংগ্রেসমগুপে ষ্টি দুদিগের সঠিত সন্মি লিত করিবে । অতএব জাতীয় মহাসমিতি হিন্দুমুসলমানের প্রচ্ছন্ন বৈষম্য স্বাক্ত করিয়া উন্ন ও আদর্শ ও সমৰিক শক্তিমত্ত লাভের মূলভূত শিক্ষাভিমুখে মুসলমান সমাজের উদ্যম পরিচালন পূৰ্ব্বক স্বীয় সাফল্য সস্তুবন৷ নিশ্চিততর এবং সমগ্র ‘ ভারতের ভবিষাং উজ্জ্বলতর করিয়াছে ! কংগ্রেসের বিরুদ্ধে উথাপিত যুক্তিগুলির মধ্যে যে দুইটার প্রকৃত গুরুত্ব আছে বলিয়া আমার মনে হয়, তাঙ্গর উত্তর দিতে চেষ্টা করিলাম । এখন কংগ্রেসের উপকারিতাসম্বন্ধে দুই একটী কথা বলিয়া উপসংহার করিব । ভারতবর্ষের রাজনৈতিক সংস্কারই কংগ্রেসের মুখ্য উদ্দেশ্য । ইহার পুণ্ঠপোষকগণ বলিয়া থাকেন ইহাম্বারা সেই উদ্দেশু প্রবাসী [ ১ম ভাগ কথঞ্চিৎ সংসাধিতও হইয়াছে । কিন্তু আমার বোধ হু: সে কুতকার্য্যত অতি সামান্ত ; উল্লেখযোগাই নহে। অধিক স্থ ক গ্রেসের বয়োবুদ্ধির সহিত আমাদের রাজনৈতিক অধিকার পৰ্ব্ব করিবার চেষ্টা হইতেছে । মুদ্রাযন্ত্রসম্বন্ধীয় নুতন আইন এবং কলিকাতা মিউ.মসিপালিটির নূতন গঠন তাচার প্রমাণ ! ফলতঃ কংগ্রেসদ্বারা প্রত্যক্ষভাবে ভারতের রাজ নৈতিক সংস্কার সাধিত হইবে, এরূপ অাশা কোন ক্রমেই পোষণ করিতে পারি না । অথচ কংগ্রেসের উপকারিত। মই, অথবা সীমান্ত মাত্র, এরূপও বোধ হয় না । জাতীয় মহাস.িতি ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ মস্তিস্ক গুলির সন্মিলন । ইছাদের সমবেত শক্তি অপরিমেয় । তাচ জাতীয় মহাসমিতির জাতীয় উদ্ধারসাধন ক্ষমতা সম্বন্ধে আমরা অসন্দিগ্ধচিত্ত । জাতীয় মহাসমিতির ফল প্রত্যক্ষ নহে, পরোক্ষ । এষ্ট মহামিলন ভারতের জাতীয় ঐ কাসাবনের পন্থা প্রস্থত করিতেছে । ইঙ্গারই অনুকরণে ভারতবাসিগণ নানা বিভাগে সমবেত উদ্যমশীলত। প্রদর্শন করিতেছে । কংগ্রেস ধৰ্ম্ম, সমাজ, শিক্ষা, রুমি, শিল্প প্রভৃতি সৰ্ব্ববিষয়ে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করিয়াছে । এই সকল বিষয়ে সুমপু ভার ও বর্ষকে ধীতনিদ্র করিতে সমর্থ হইলে জাতীয় মহাসমিতি রাজনৈতিক অধিকার লাভ অপেক্ষা ও মহত্তর ধ্যাপারের অনুষ্ঠাতা হইল, সন্দেহ নাই। এবং তদবস্থায় কংগ্রেসের পরোক্ষ ফলস্বরূপ রাজনৈতিক উন্নতি সহজে উক্ত সঞ্চবিধ আভ্যন্তরীণ উন্নতর পদাঙ্কানু সরণ করিবে । সুপ্তোথিত কল্প ভারতবর্ষের নানাবিষয়ক নবোস্থ্যম যে জাতীয়মহাসমিতির প্রভাবপ্রস্থত, তাহা হৃদয়ঙ্গম করিতে স্বাক্ষদর্শন বা চিন্তাশীলতার প্রয়োজন হয় না-চক্ষুরুন্মীলন মাত্র তাহ বোধগম্য হয় । জাতীয় মহাসমিতির অস্তিত্বেই কংগ্রেসের জীবন ; প্রাদেশিক সমিতিগুলি উহার প্রত্যঙ্গ । মুসলমান শিক্ষণসমিতি কংগ্রেসেরই প্রতিবিম্ব । একের বিষয় শিক্ষা, অপরের রাজনীতি ; প্রথমটা সুধু মুসলমানের, দ্বিতীয়ট হিন্দু মুসলমান উভয়ের । এতদ্ব্যতীত কংগ্রেসের ও মুসলমান শিক্ষাসমিতির মধ্যে কোনও পার্থক্য নাই । কংগ্নেসসংশ্রবে কৃষি ও শিল্পপ্রদর্শনীও আরম্ভ হইল। সামাজিকসমিতির ন্তায় একেশ্বরবাদীদিগেরও একটা সমিতি