পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'9:ఫ్ ది সকলেই জানেন, চারি দশায় প্রজাপতির এক জন্ম শেষ হয় । প্রথম দশায় উচ্চ ডিগ্ন । দ্বিতীয় দশায় উষ্ঠা পোকা । তৃতীয় দশায় উহা নির্জীব নিস্তন্ধ আকারে থাকে । চতুর্থ দশায় পদ ও পক্ষ যুক্ত প্রজাপতি । ডিম্ব উদ্ভেদের পর কোন কোন প্রজাপতি শু য়া পোকা আকারে গাছের পাতা থাচয় পাঁচ ছয় দিন কাটায় । ত গন উকার ক্ষুধ অ তশ য়প্রবল থাকে ; দিবারালি থাইলে ও যেন ক্ষুধার নিবৃত্তি হয় না। পরে উৎ। নিশ্চল নিজাব স্থান খজির দ্রুতবেগে নিজ দেহ স্ট্র রাজালে আপুত করে । এই স্ট্র কোষে তাহার দেখের অদ্ভুত পরিবহন ঠাইতে থাকে। শুয়৷ পোকার প। কয়টা অদৃশ্ব হয়, লঙ্গ আকার ক্রমশঃ হ্রস্ব হইতে থাকে, গায়ের গুয়া খসিয়া যায় । ভিতরে ভিতরে দেহের এমন পরিবত্তন হইতে থাকে যে, পরিবস্তুন সমাপ্তির পরে উচ্চা প্রকৃতপতঙ্গের আকারে উড়িতে মারস্তু করে । তৃতীয় দশায় দেখিলে হঠাৎ মনে হয় যে উচ্চার জীবন নাই, অসাড় ; কিন্তু টিপিলে বা নাড়াচাড়া করিলে নড়িতে থাকে । প্রজাপতির এই চারিদশর উল্লেখ করিবার উদেশ্য এই যে, চারিদ শার চারিট নাম চাই । ঢ়িস্ব শব্দ আছে পোক। শব্দ ও আছে । দ্বিতীয় দশার নাম পোকা বলা গেল । ইংরাজীতে তখন উত। ar।b, la va । তৃতীয় দশায় #twtfits pupa, chrysalis | Papa <ifra qrsofáগত অর্থ সোণালী । ক রবী-গাছের পাতায় সোণালী ধ্ৰুপালী রঙ্গের বিচিত্র কোস পালিত দেখা যায় । থাকে বলিয়া এই অবস্তায় কোষপ্ত বল! যাইতে পারে । চতুর্থ দশায় প্রজাপতির imag০ বা প্রকৃত মূৰ্ত্তি । কুমর পোকার ও এই চারি দশা আছে। তবে প্রথম তিনটা দশা মাতার লালামিশ্রিত কদমকোষেই গত হয় । মাতা দ্বিতীয় দশায় ভাব সস্থানের দেহবৃদ্ধি ও ক্ষুন্নবৃত্তি করিবার আভি পায়ে অল্প পতঙ্গের পোকাকে বিষপ্রয়োগে ংজ্ঞাহীন করিয়া কোষমধ্যে স্থাপন করে । তৃতীয় দশ গত হইলে কদমকোষ ভিন্ন করিয়া প্রকৃত মূৰ্ত্তি বতর্গত क्लग्न ! উপরে কয়েকটা নাম ৰিচার করা গিয়াছে । এরূপ বিচারের প্রয়োজন আছে। যেহেতু এক এক নামের সহিত বহুজ্ঞান জড়িত থাকে। কুমার পোকার বৃত্তাস্তলেখক কোমে প্রবাসী [ ১ম ভাগ উচ্চার পোকার খাদ্যকে সরীসৃপ বলিয়াছেন। কিন্তু সরীস্টপ অর্থে সংস্কৃত সর্প, এবং তাঙ্গ হইতে উহা বাঙ্গালায় সমগ্র reptiles শ্রেণীর নাম হইয়াছে। এইরূপে, চলিত কথায় কুমর পোক নাম থাকিলেও কুমর পতঙ্গ বলাই ভাল বোধ হয় । উচ্চার ছয় পদ, ও চার পক্ষ আছে। বিজ্ঞানে Èsi hymenoptera atstā (order) অন্তর্গত । চার পক্ষ ক্ষু জ্বকে নিৰ্ম্মিত । এই নিমিত্ত বর্গের নাম সত্বক পতঙ্গ করা যাইতে পারে । প্রজাপতির ও চারি পক্ষ । কিন্তু পক্ষে ঠাক্টস বা শল্প আছে । প্রজাপতির ডান হাতে ধরিলে এই শল্প হতে জড়াইয়া যায়। এজন্য উহাকে সশল্প পতঙ্গ বলা ঘাইতে পারে। আর একটী নামের উল্লেখ করা আবগুক । ইংরাজি ins("ta নামের মত একটা শ্রেণীর নাম চাই । যাচাদের দেহ কতকগুলি ৬,ংশে কৰ্ত্তিত, তাহদের সামান্ত নাম inseota ছিল । এইরূপে ঐ নামে মাকড়সা, বিছা, প্রজাপতি, কাকড়া, চিংড়ি প্রভৃতি অনেক প্রাণী বুঝাইত । এপূম ঐ শব্দের অর্থ সংকীর্ণ হইয়াছে । কেহ কেহ ঐ নাম ত্যাগ করয়। এই রূপে, বাঙ্গালায় আমরা ষটপদ শ্রেণী ত বা ষটপদাদির মধ্যে কুমর পতঙ্গের স্থল নিদে শ করিতে পারি । hexapoda Ffasit:GR I এই সকল কথা যাচাই হউক, কুমর পতঙ্গের বিবরণ লেখক আরসলা ও কাচপোকার প্রবাদের উল্লেখ করিয়া ভাবে বলিয়াছেন যেন প্রবাদটী সত্য । কিন্তু তাহার ন্যায় ধিনি স্বচক্ষে দেখিয়া মতামত প্রকাশ করিতে চান, তিনি কখনই এই প্রকার অনুমানে সস্তুষ্ট হইতে পারেন না। এজন্য আশা করি, লেখকমহাশয় ঐ প্রবাদের মূল অন্বেষণ করিবেন । এইটুকু মা এ দেখা গিয়াছে যে, কাচপোকা আরসলার মস্তকের স্পর্শনে’ (যদ্বারা স্পৰ্শজ্ঞান হয়—গুয়া ? Antentiae GF ফুটাইয়া বিষ প্রবেশ করাইয়। দেয় । ফলে আরসলা সংজ্ঞাহীন হইয়া মাথা নীচু করিয়া থাকে। কাচপোক তখন একটা স্পৰ্শন নিজের মুখে ধরিয়া ভারসলাকে অবলীলাক্রমে যথা ইচ্ছা তণ টানিয়া লইয়া যায় । কাচপোকা অপেক্ষ আরগলা আকারে ও বলে বড় । কিন্তু হুলবিদ্ধ হইবার পর তাহ পলায়নের চেষ্ট। না করিয়া কাচপোকার অনুগমন করে।