পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8있 তেন । এরূপ একটা গভীর চক্রান্ত যে ষ্টাঙ্গাদের চক্ষে পড়িবে না ইহা অসম্ভব । এই কদম ও সিন্ র কিসের সঙ্কেত , সেই সম্বন্ধে অসংখা BBB B BBBBB BBBk DDu BBBB S BBBBS চিঙ্গ অনেকে অনুমান করিতে লাগিল ইংরাজ-সপা । সিন্দুর চিপ গণনায় বার লক্ষ ৪ তল । কিন্তু যাচারা চিঙ্গ করিয়াছিল তাঙ্গার। ত গণিয় করে নাই, আর কত লোকে করিয়াছিল তাত হে বা কে জানে ? ইংরাজদিগকে মারিয়া কদমে পুতিয়া রাপিবে চয়ত ইহাই সঙ্কেত। আবার কেত অনুমান করিল যে কদম এষ্ট ভারতভূমিস্বরূপ, সিন্দ্র-চিহ্ন রাজতিলক । তাঙ্গার পর কথা উঠিল, ইঙ্গ কাতার কাজ ? গ্রামবাসী নানাস্থানের লোক এষ্ট কম্মে যোগদান করিয়া থাকিবে, কিন্তু ইহার ভিতর সন্ন্যাসীদিগের ঠাত নিশ্চয় আছে । পুলিসের প্রতি হুকুম ইল সাধু সন্ন্যাসী ফকীরের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিবে । ভিতরে ভিতরে চারিদিকে অনুসন্ধান হইতে লাগিল। কাহার এই কম্মে লিপ্ত আছে, ইং বিদ্রোঙ্গের স্ত্র পাত কিনা, এই সকল বিষয়ে নানাবিধ তদন্থ হইতে লাগিল । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । গাজিপুরের একট। গলি দিয়া এক দিবস প্রাতঃকালে একজন সন্ন্যাসী চলিয়া ধাইতে ছিল । তাতার বয়স অন্ন, মূৰ্ত্তি মনোঙর, মাথায় ৬ টা । মনের নিশ্চি স্ততায় সে মৃদু মৃদু গান গাড়িতে পাচিতে চলিয়াছিল । তাতার পশ্চাতে সঙ্গর-কোত ওয়াল অশ্বারোহণে আগমন করিতেছিলেন । Iাসাকে দেখিয়৷ ডাকিয়া বলিলেন, “আরে ও বাবাজি " একটা কথা শোন ।” সন্ন্যাসী দাড়াইল । কোত ওয়াল সাহেবের স্বর কিছু কঠোর, তাহাতে আদেশের ভাব অত্যন্ত প্রবল। অশ্বারোহীর নিকট হইতে পথযাত্রীর পলায়নও কুকুর । সন্ন্যাসীর নিকটে আসিয়া কোত ওয়াল তাহাকে একবার আপাদমস্তক দেখিলেন । দেখিয় বলিলেন, “কি বাবাজি । তিলক কাটিবার যে বড় ঘট৷ ” সন্ন্যাসী মৃদু মৃদু হাসিয়া কছিল, "তোমার মত জরিদার পাগড়ী আর ঘোড়া পাইব কোথা ?” প্রবাসা | >3 5t6 কোতওয়ালের ক্র কুটি ত হইতে লাগিল । জিজ্ঞাস করিলেন, “কোথায় যাওয়া হইতেছে ?” "ভিক্ষা করিতে যাইতেছি, আর কোথায় যাইব ?” "ভিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে আর কিছু হয় না ?” “আর কি হইবে ? গৃহস্ত এক মুঠ চাল দেয়, ঘুম টুম কেত দেয় না ।” তৰ্জ্জন গর্জন করিয়া কোত ওয়াল কতিলেন, “তোমার ত বড় সাংস হে ! আমি কে, জান ?” “তা। আর জানি না : সাধু সন্ন্যাসী অসাধু আপনাকে কে না চেনে ! দুষ্ট্রের পালনকৰ্ত্তা, শিষ্ট্রের শাসন কৰ্ত্ত। আপনি,•আপনাকে চিনিব না ।” “তোমাকে বড় বেতমিজ দেখিতেছি । একটু শিক্ষ না পাইলে তোমার জবান দোর স্ত হইবে না । আইস আমাপ সঙ্গে ।” সন্ন্যাসী বলিল, “কোথায় যাইব ?” “হাজাত ।” “সেখানে কি উপবাসী থাকিতে হয় ?” “ন, উপবাসী থাকিবার নিয়ম নাই ।” “কত দিন থাকিতে হইবে ?” “পাচ সাত দিন।” “আর কিছু বেশী দিন হয় না ?” কোত ওয়াল অত্যন্ত বিঘ্নিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” “মাস দুই কি হাজতে থাকা যায় না ?” “তুমি অধিক দিন থাকিতে চাহিতেছ কেন ?” “তাহা তইলে সে কয় দিন আর আঙ্গারের ভাবন ভাবিতে হয় না । ভিক্ষা আর তেমন পাওয়া যায় না, আর এত মেহনত ও আর কোন কৰ্ম্মে করিতে হয় না।” হাজতে পাঠাইবার আগে কোত ওয়াল সন্ন্যাসীকে আপনার গৃহে লইয়া গেলেন। সন্ন্যাসীর কাছে কোন কথা পাওয়া যায় কি না একবার চেষ্টা করি দেখিবার ইচ্ছা ছিল । বৈঠকখানা হইতে কোত ওয়ালের সঙ্কেতে অন্ত লোক উঠিয়া গেল। কোতওয়াল তখন সন্ন্যাসীকে বলিলেন, “দেখ, আমার কাছে বেশী চালাকি করিও না । তোমার মত ঢের ঢের বাবাজী দেখিয়াছি।” "?r *