পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లీసెసి কিন্তু বিদ্যাভূষণ মহাশয় দেখাইয়াছেন যে, ক্ষীর অর্থে মৃণালের রসও বুঝায় বস্তুতঃ ক্ষীর অর্থে জল, অর্কাদি রক্ষের সাদা তথবং রস, এবং দুগ্ধ বুঝায়। উপস্থিত স্থলে জল হইতে পারে না, এবং দুগ্ধ বাদ দিলে আর্কাদি বৃক্ষের ক্ষীর থাকে। অনেক স্থানে গাছের শাদা রসকে চলিত কথায় ক্ষীর বলে । ক্ষীরই গাছ প্রসিদ্ধ । চলিত ওড়িয়াতে মাকণ প্রভৃতি গাছের দুধের মত শাদ রসকে ক্ষীর বলে । অনেক গাছের ক্ষীর আছে। পদ্মের মৃণালের,জলজ কলমী শাকের রসও দুধের মত শাদা । সুতরাং সেই রসকে ক্ষীর বলা যাইতে পারে । সকলেই জানেন, হাস ঘাস, কোন কেন গাছের কোমল পাতা, কলার পোল, কলমী ও পদ্মের ডাটা ভক্ষণ করে। বিদ্যাভূষণ মহাশয় প্রাচীন গ্রন্থ হইতে দেখাইয়াছেন যে, পদ্মের মৃণালদণ্ড হংসের আহার । অতএব বোধ হইতেছে, কংসের ক্ষীরপান অর্থে মুণালদির দুগ্ধবৎ শাদ রস পান বুঝিতে হইবে । ইহার ভিতরে আর একটু কথা আছে। পদ্মপাতার মৃণালের রস শাদা, গাঢ় দুধের মত। এই রসে অল্প জল, এবং সেই জলে শাদ কঠিন চূৰ্ণবং পদাৰ্থ ভাসিয়া বেড়ায় । এষ্ট চূর্ণ জলে মিশে না, সুরাতে মিশে। পদ্মমৃণালের ক্ষীরে জল মি*াইলে ঐ শাদা পদার্থ এজন্য পৃথক হইal পড়ে। কারণ উহা ধূনজাতীয় পদার্থ। পদ্মক্ষীরের আস্বাদ ঈধং তিক্ত ও লবণ। বস্তুতঃ উহা কেবলমাত্র জল নহে । যদি হংসের ক্ষীরপান অর্থে মৃণাল-ক্ষীর হয়, তাহাঙ্কষ্টলে ক্ষীর-নীর-বিবেচনক্ষমতা হংসের নছে । মুণালের ক্ষীরের ধৰ্ম্মই এই যে, উহা জলে মিশে না, ভাসিয়া বা পৃথক হইয়া পড়ে । সমুদয় বিবেচনা করিলে মনে হয় হংসের নীরত্যাগ ও ক্ষীরপান অর্থে গবাদি পশুর দুগ্ধপান নহে, মৃণালের কূঞ্জবং রস বুঝিতে হইবে । হংস যখন মৃণালের রস পান করে, তখন সেই রয়ের , জলীয়াংশও পান করে । কিন্তু রসের জলবং অংশ হইতে ক্ষীরবৎ অংশ পৃথক হয় বলিয়া মনে হয় যেন হংসই উহাদিগকে পৃথক্ করে । পয়মৃণালের भौग्न छरल भिटभ मां हेझ अॉम मां थांfकाल मौद्गङrां★ क्रौन्न গ্রহণ বাস্তৰিক বিস্ময়কর বিষয় ৰষ্টে । প্রবাসী [ ১ম ভাগ । টাকার কথা । তামার কনিষ্ঠ ভ্রাতার বয়স যখন দুই তিন বৎসর তখন সে অত্যন্ত আদুরে ছেলে ছিল । ফুধ খাওয়া, জাম গীয়ে দেওয়া প্রভূত সকল কার্য্যেই সে ৭িষম বাহন। করিত এবং শেষে উচ্চৈঃস্বরে কান্না জুড়িয়া দিত। সে সময়ে তাহাকে ঠাণ্ড করা আমাদের কাহারও সাধ্য হইত না । তখন কেবল পুরাতন ভূত্য মনিরামই অবলীলাক্রমে তাহাকে শাস্ত করিতে পারিত । উচ্চেঃস্বরে রোরুদ্যমান শিশুকে কোলে লইয়াই সে তাড়াতাড়ি নানারূপ খাবারের গল্প ফাদিয়া দিত। মন্দিরের স্থায় সন্দেশ, গাড়ির দ্যায় জিলাপী, একঘর লুচি প্রভৃতি দ্রবা মূহুৰ্ত্ত মধে একত্র হইয যখন মনিরমের হিন্দিবঙ্গমিশ্রত নিজস্ব ভাষায় সেই বালকের অ ফুট কল্পনার সম্মুখে মৃত্য করিত, তখন আমরা তাঙ্গার মুখে কান্নার পরিবর্তে হাসির রেখা দেখিতে পাইতাম । অনেকে বলেন যে আজকাল সাধারণ বাঙ্গালী পাঠক মাসিকপত্রাদির প্রবন্ধ আগাগোড়া বেশ মন দিয়া পড়েন ন। সাহিত্য, বিজ্ঞান ইতিহাসাদি ত দূরের কথা, রীতিমত উপন্যাসের পৃষ্ঠায় বিচরণ কালেও পাঠকের অধীর দৃষ্টির উল্লম্ফনী শক্তির বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায়। গল্পের ঘটনাবলীর মধ্যে প্রাকৃতিক দৃষ্ঠের বর্ণনা এবং নীতিবিষয়ক আলোচনা ও উপদেশ সমুহ রঙ্গালয়ে দুই অঙ্কের মধ্যবৰ্ত্তী সময়ের স্তায় কষ্টকর বোধে পরিত্যক্ত হইয়া থাকে । ইহা সুলক্ষণ বলিয়া বোধ হয় না । ছেলের বাহানার স্থায় ইহা চাঞ্চল্য, অধীরতা,ঔদাস্ত ও মানসিক দুৰ্ব্বলতার চিন্তু বই আর কিছুই নহে। তাই আমরা ভৃত্য মনিরামের পস্থা অনুসরণ করিঃ অজি টাকার কথা পাড়িলাম। এই অর্থগতপ্রাণ কলিযুগে অন্ত কথা শুনুন আর না শুনুন টাকার কথা কেহ উপেক্ষপ কর্ণরবেন না, বিশ্বাস আছে। আজ কাল যেমন অর্থ বলিতেই ঝকঝকে সাদা চাকৃতি ও ঝন ঝন শব্দ আমাদের মনে উদিত হয়, বহুশত বৎসর পুৰ্ব্বে আদিম মানবের মনে অবশু সেরূপ হইত না । ভূপ্রোথিত মৃৎপাত্র ও শিলাফলকাদি এবং অতি প্রাচীন । ভাষা সমূহের গঠন হইতে যে সকল পণ্ডিতের গতীয়গবেষণা