পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9.సి\ు রূপার যে দর তাছাতে পূৰ্ব্বোক্ত নিয়মসমূহ যে সাধারণের পক্ষে নিতাপ্ত সুবিধাজনক ও গবৰ্ণমেণ্টের সদাশয়তার পরিচায়ক তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । তেরআন ওজনের একটী টাকা কাটিয়া অধিকারীকে ফের ৩ দিলে বাজারে তাঙ্কার মূল্য সাড়ে আট আনা বা নয় আনার অধিক হয় না,কিন্তু গবর্ণমেণ্ট তের আন মূল্যে তাঙ্গ গ্রহণ করেন। বর আন অপেক্ষ কম ওজনের টাকা ফেরত দেওয়ায় অধিকারীর কিছু ক্ষতি হয় বটে কিন্তু ঐক্কপ টাকা কদাচিৎ তুষ্ট একট দেখিতে পাওয়া যায় এবং তাঙ্ক এত বিকৃত সে সকলেরই তাহা চিনিতে পারা ও না লওয়া কৰ্ত্তব্য । ভারতবর্ষের কোষাগারসমূহে বৎসরে গড়ে দেড়লক্ষাধিক হালকা টীকা ধরা পড়ে এবং কাটা হইয় থাকে । হালকা টাকার প্রসঙ্গে মেকি টাকার বিষয় গুই একটা কথা বলিলে অপ্রাসঙ্গিক হয় না । সৌভাগোর বিষয় যে এদেশে প্রচলিত টাকার মধ্যে মেকি টাকা অধিক নাই । প্রায় এক কোটি টাকার পরীক্ষার ফল সংগ্ৰহ করিয়া দেখা গিয়াছে যে সাধারণতঃ এক লক্ষের মধ্যে কুড়ি পচিশট মেকি থাকে । মেকিগুলি অধিকাংশই অল্পমূল্য শ্বেতবর্ণ মিশ্রিত ধাতুতে প্রস্থত. কিন্তু গত কয়েক বৎসরের মধ্যে রেপোর মূলা হা হওয়ার পরে যে সকল মেকি প্রস্বত হইয়াছে তাঙ্গদের কতকগুলিতে কিছু রেপোর ভাগ দেখিতে পুাওয়া যায়। এমন কি গবৰ্ণমেণ্টের টাকার ন্তায় উত্তম রূপায় প্রস্বত জাল টাকা ও দুষ্ট একটা দেখ গিয়াছে। এক্ষণে রেপোর যে দর তাহাতে যথার্থ রূপাশ জাল টাক। প্রস্তুত করিলেও প্রত্যেক টাকায় পাচ ছয় আনা লাভ থাকে অথচ মেকি টাকা সহজে ধরা পড়ে না । জন্ত চতুর প্রবঞ্চকেরা আজকাল এই উপায় অবলম্বন করিতেছে। মেকি টাকা, অনেক সময় এমন সুন্দরন্ধপে প্রস্তুত হয় যে তাহ ধরা অত্যস্ত কঠিন । কিন্তু অভ্যাসের ফলে মেকি টাক। ধরা সহজ হইয়া পড়ে। দুই সহস্ৰ টাকার মধ্যে একটী নেকি টাকা মিশাইয়। দিলে পাচ সাত মিনিটের মধ্যে ধরিয়া দিতে পারে এমন বেনে বা পোদ্ধার দুর্লভ নহে । ধারের কাটা দেখিয়া লওয়াই মেকি চিনিবার প্রধান উপায়। অন্ত সমস্ত অংশ সুন্দর রূপে নকল করিতে পরিলেও মেককরের সমানভাবে ধার কাটিতে পারে না । এই প্রবাসী" [ ১ম ভাগ । গবর্ণমেণ্টের কোষাগারে মেকি টাকা ধরা পড়িলে উহ! কাটিয়া যাতর টাকা তাহাকে ফেরত দেওয়া হয় এবং ঐ টাকা প্রস্তুতকরণে সে সংশ্লিষ্ট এরূপ সন্দেহ হইলে তাহাকে পুলিশের চস্তে অৰ্পণ করা হইয়া থাকে । মেকি টাকা প্রস্থ ও করিবার দণ্ড যাবজ্জীবন দ্বীপাস্তুরবাস । ভারতবর্ষের কোষাগারসমূঙ্গে প্রতি বৎসর গড়ে বিশ হাজার মেকি টাকা ধরা পড়ে ও কটা হয় । এক্ষণে একটী বিষয়ের উল্লেখ করিয়া আমরা বর্তমান প্রবন্ধ শেষ করিব । ধনীর ভাণ্ডারে, দরিদ্রের কুটারে, হাটে বাজারে সর্বত্রই টাকার অধিষ্ঠান । কত স্থানে কত ভাবে যে সহস্ৰ সহস্র টাক। ছড়ান রহিয়াছে,তাহ ভাবিলেও বিস্মিত হইতে হয় । এখন যদি কেহ প্রস্তাব করে যে দেশে সব্বশুদ্ধ কত টাকা আছে তাক গণনা করা হউক, তাছাইলে প্রথমতঃ সে বাতুল বলিয়া উপহাসাম্পদ হইবে সন্দেহ নাই । কিন্তু দীরভাবে বিবেচনা করিয়া দেখিলে টাকার গণনা কাৰ্য্য যে মোটামুটি সম্পন্ন করা যায় তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই । কেহ বলিতে পারেন যে সরকারী টাকশালেরত হিসাব আছে, প্রতবৎসর কত টাকা প্রস্তুত হইয়াছে তাহ দেখিয়৷ ঠিক দাও, তাহা হইলেক্ট বুঝ। যাইবে মোট টাকার সংখ্য। কত । কিন্তু যখন ভাবিয়া দেখা যায় নে বৎসর বৎসর কত টাক। রপ্তানি হইয়াছে, কত টাকা গলান হইয়াছে, কত টকা মানবের অগম্য স্থানে পড়িয়া চিরদিনের জন্ত হারাইয়া গিয়াছে,তখন বুঝা যায় যে যত টাকা প্রস্তুত হইয়াছে তাহার অদ্ধেক ও বর্তমান আছে কি না সন্দেহ । দশবংমর পূরে যখন রূপার দর টাকায় ভরির অধিক ছিল, তখন অলঙ্কার প্রস্তুত করিবার জন্য যে প্রতি বৎসর কতটাক গলান তইত, তাঙ্কার ইয়ত্তা কে করিবে ? এখনও পর্য্যন্ত কোন মধ্যবিত্ত লোকের গৃহে দশ বশ ভরি “টাক। ভাঙ্গা” রূপার গঙ্কন নাই ? আরও প্রতিবৎসর কত হালকা টাকা কাটা হয়, কত পুরাতন টক টাকশালে গলাইয় ফেলা হয় । ভাবিয়া দেখুন ১৮৪০ সালের পূৰ্ব্বে কত কোটি টাকা ছিল, কিন্তু এক্ষণে নানা কারণে তাহার প্রায় একটও দেখা যায় না । সুতরাং কত টাকা প্রস্তুত হইয়াছে,তাহা দেখিয়া বর্তমান টাকার সংখ্যা ঠিক করিবার উপায় নাই। তবে