পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] e একথ। জানি। রাখা ভ{ল যে ১৮৩৫ সাল হইতে আরন্থ করিয়া ভারতবর্ষে তিনশত পঞ্চাল্ল কোটি টাকা প্রস্থত ঠইয়াছে। ত মধ্যে দুইশত সাড়েচারি কোটি বম্বের টাকশালে, ১৩৯॥৯ ( একশত সাড়ে উনচল্লিশ ) কোটি কলিকাতার টাকশালে ও ১১ কোটি মান্দ্রজের টাকশালে প্রস্থত । ১৮৬২ সালে মান্দ্রাজের টাকশাল উঠিয়া যায় । এক্ষণে ভারতবর্ষে দুইটামাত্র টাকশালে টাকা প্রস্থত হয় । মোট প্রস্তুত টাকার সংখ্যা হইতে ইচা বুঝা যায় যে বৰ্ত্তমান টাকার সংখ্যা যতই হউক, ৩৫৫ কোটির অধিক হইতে পারে না । ভারতের টাকা গণনার কথা বলিতে গেলে সব্বাগ্রে একটা কথা বলা উচিত। উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের একাউন টেণ্ট জেনারেল সুবিদ্বান শ্ৰীযুক্ত এফ বি হারিসন মহোদয়ই সব্বাগ্রে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন । জেভন্স্ প্রভৃতি প্রসিদ্ধ ইউরোপীয় পণ্ডিতগণের প্রদশিত উপায় বহু পরিশ্রমে ভারতবর্যের উপযোগ করিয়া দ্বারা টাকার সংখ্য। নির্ণয় বিষয়ে তিনি অনেক যত্ন করিয়াছেন। অদ্যাপি এ সকল বিষয়ে তাহার অনুসন্ধিৎসা ও চেষ্ট। দেপিয়া বিস্মিত হইতে হয় । এক্ষণে কি নিয়ণে টাকার সংখ্যা নির্ণয় করা হয়, তাঙ্গ মোটামুটি ভাবে দেখা যাউক । মনে করুন একটী কলসীর মধ্যে আধকলটা তেঁতুলের বীজ আছে এবং একে একে ন গনিয়া তাহার সংখ্যা নগ্ধারণ করিতে হইবে। যদি আর ৪ একশত সেই প্রকার বীজ বিশেষরূপে চিহিত করিয়া সেই কলসীতে মিশাইয়। দেওয়া যায়, তবে সেই মিশ্রিত বীজরাশি হইতে কতকগুলি উঠাইলে তাহার মধ্যে দুই চারিটি চিন্ত্রিত বীজ দেখা যাইবে । মিশ্রণ কাৰ্য্য পুব ভালরূপে সম্পন্ন করিলে fচfহুত বীজগুলি কল দীপ্ত বীজরাশির মধ্যে সমানভাবে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িবে। এক্ষণে যদি পাত্র হইতে একশত বীজ উঠাইয়া দেখা যায় যে তাতার মধ্যে পাচটি চিন্ত্রিত, তাতাহইলে বুঝিতে হইবে যে কলসীর মধ্যস্থ সমস্ত বীজরাশির শত রা ৫টা চিহিত । চিত্বিত বীজের সংখ্যা একশত,ইষ্ঠা জানা থাকায় মোট বীজসংখ্যা ধে ২ • • • তাহ। নিশ্চয় জানা যাইবে । সুতরাং নির্ণীত হইবে যে মিশ্রণের পূৰ্ব্বে কলসীতে ১৯• • বীজ ছিল । প্রবাসী ף אלא মনে করুন ১৮৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে বার কোটী নূতন টাকা প্রস্তুত হইল । পরীক্ষাদ্বারা দেখা গি{xাছে ;ে টাকশাল তে বাহির হইবার পরে তিন চারি বৎসরের মধ্যেই নুতন টান । পুরাতন টাকার সহিত মশি{া প্রচলিত মুদ্রার মধ্যে সমান ভাবে ব্যাপ্ত হইয় পড়ে । এ ক্ষণে যদি ১৯ • খ্ৰীষ্টাব্দে দশ হাজার টাক ৰাছিয়। দেখা যা যে তাতার মধ্যে এক হাজার বা শতকরা দশটা ১৮৯৯ সালের টাক, তাত ই ঠলে fক সদ্ধাস্তু হইবে ? যে মুদ্রারাশির দশমাংশ বার কোটি, তাঙ্গর পরমাণ কত ? এই সঙ্গজ প্রশ্নের উত্তরে বুঝা যাইবে যে এ দেশে প্রচলিত মুদ্রারাশির পরিমাণ নাধিক একশত কুড়ি কোটি । অনেক বর্ষের টাকা সম্বন্ধে এষ্ট hপ গণনা করিয়া ও নানা উপায়ে আঞ্জাত বিষয়সমুঙ্গের যথ{সাধা নিষ্কাশন, নিশ্চয় বা অনুমান দ্বারা বহু পরিশ্রম ও গণিতসঙ্গন্ধী গবেষণার ফলে নিৰ্ণীত হইয়াছে যে বৰ্ত্তমান কালে প্রচলিত টাকার সংপা। ১১৫ তহঁতে ১২৫ কোটির মধ্যে । সুতরাং দেখা যাইতেছে মে ১৮৩৫ সাল হঠতে যত টাকা প্রস্তুত হইয়াছে, তাত র অদেক ও এক্ষণে বৰ্ত্তমান নাই । > শ্রীজ্ঞানশরণ কাব্যানন্দ । কবির প্রতি অনুরোধ। মধুর প্রণয় গান আর গাঠিয়ে না, • --আর গাঠিয়ে না । চের গুষ্ট নবীন উমায়, ক্টাপি মেলি ধরণ জানায় জাবলৈাকে জীবনের নল উদ্দীপনা ! আর গাঠিয়ে না, --আর গাঠিয়ে না ! ক্ষাস্থ দে ও প্রেম-গীতি, কবি ! গাষ্টিয়ে না, —মার গাঠিয়ে না ! মিলনের নিশি হের শেষ, খুলে ফেল নায়কের বেশ ;– সুধার সে সুগাবেশ আর চাচিয়ে না ! আর গাহিয়ে না,—কবি ! গতিরো না ! প্রেমমন্ত্রে মুগ্ধ বঙ্গ ! আর গাঠিয়ে না,— প্রেম গাছিয়ো না !