পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ ও ১২শ সংখ্যা । ] দেওয়ানিআমের চত্বরের উত্তরপূৰ্ব্বদিকে ডাকবাঙ্গলার সেই রাস্তটা আসিয়া মিশিয়াছে। এই রাস্তার উত্তর দিকে টাকশালের ধ্বংসাবশেষ, কিন্তু সেখানে টাকশাল সংক্রান্ত কোন নিদর্শন পাওয়া যায় নাই । এষ্ট পথ দিয়া প্রবেশ করিয়া চত্বরের দক্ষিণ দ্বার দিয়া "খোয়াবগার’ পশ্চাতে দক্ষিণ দিকে ডাক বাঙ্গলার নিকটে আসিয়া গাড়ী থামে । চত্বরের দক্ষিণ দ্বার দিয়া বাহিরে আসিলে পশ্চিম কোণে "হাম্মাম” বা স্নানাগার। স্নানাগারেও নানা রূপ চিত্র ছিল, এখন সকলই লুপ্তপ্রায়, শেষদশায় রচিয়াছে । স্মিথ সাহেব স্থানে স্থানে তাঙ্কার ও উদ্ধারে সমর্থ হহঁয়াছিলেন ; journal of Indian Art and Industly, vol vi, No. 47 কাগজে তাহার কিঞ্চিৎ নমুন দিয়াছেন । “হাম্মামের” দক্ষিণে ও খোয়াবগার পশ্চাতের চত্বরের পূৰ্ব্ব দিকে ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রাজবৈপ্তের আবাস নিষ্ঠিত রছিয়াছে বলিয়া প্রবাদ । এই চত্বরের দক্ষিণ সীমায় আজকাল ডাকলাঙ্গলা ; পূৰ্ব্বে ঠহাই “দপ্তরখানা” ( Record office ) ছিল বলিয়। কথিত এই স্থানট। খাস মহল ইত্যাদি অপেক্ষ অনেক নিম্ন ভূমিতে । এখান হইতে সলিমচিস্তির দর্গার পূৰ্ব্বদ্বারে একটি পথ চলিয়া গিয়াছে । সে দ্বার দিয়া প্রবেশ করিয়া পুনরায় বুলদরজায় আসা যায় । বুলনাদরজার বামপাশে প্রকা গু লাধান ইন্দ্বারা । তাহার জল এখন অব্যবহার্য্য । বুলনদেরজার দক্ষিণে দৃঢ় প্রশস্ত প্রস্তর সোপানাবলি নিম্নভূমিতে নামি য়াছে। আধুনিক ফতেপুর-সিক্রি ইঙ্গারই পূৰ্ব্বদিকে ; যথেষ্ট বসতি থাকিলেও ঐহীন বাড়ী রাস্তা ঘাট ইত্যাদি সেই মাকৰর সাহের আমলের । যে ফতেপুর-সিক্রিতে দেশ দেশাস্তরের শিল্পী আসিয়া আশ্রয় পাইত এবং যেখানে সকল শিল্পের উৎকর্ষ সাধিত হইয়াছিল, সেখানে আজ বাণিজ্যদ্রব্যের মধ্যে কেবল সিক্রির পাহাড়ের প্রস্তর উল্লেথযোগ্য । ফতেপুর-সিক্রির উত্তরদিকে কিছুদূরে এক বিস্তীর্ণ হ্রদ ছিল, দৈর্ঘ্যে ৬ মাইল এবং প্রস্থে প্রায় দুষ্ট মাইল হইবে। হ্রদের উত্তর দিকে পৰ্ব্বত এবং দক্ষিণদিকে উচ্চ বাধ । কখন কখনও হ্রদের জল বাধ ছাড়াইয়া চারিদিক প্লাবিত করিয়া যথেষ্ট ক্ষতি করিত । আকবরসাহের সময়ে এরূপ এক ट्रै झं ! প্রবাসী 8ՀՖ՝ প্লাবনের বিবরণ অাইন আকবরিক্তে বর্ণিত আছে । এখান হইতেই নানা উপায়ে ফতেপুর-সিক্রির বিভিন্ন স্তানের চৌবাচ্চা জলপূর্ণ করা চই ও ! সে সকল সরঞ্জমি এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত ষ্টষ্টয়াছে । উত্তরপশ্চিম প্রদেশের ছোটলাট টমাসন সাহেবের সময়ে এই হ্রদের জল সেচন করিয়া ফেলা হইয়াছে । তদবধি লোকের। সেখানে শস্ত্যাদি জন্মাইতেছে । ঐতিহাসিক যৎকিঞ্চিৎ | ৩ । নাট্য বিচার । সনও স্বত-সাহিত্যের ইতিগসলেখক অধ্যাপক ওয়েবর বলেন,—দ্বিসহস্ৰ বৎসর পূর্কে ভারতপ্রাস্থে কিয়ংকালের জন্ত যে যবনরাজা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহার সঃশবে গ্ৰীকনাট্যের অনুকরণে ভারতীয় নাটাসাঞ্চিত জন্ম গ্রহণ করে । এ কথা সত্য হইলে, ভারতীয় নাট্যসাহিতো গাকনাট্যের ছায়। বৰ্ত্তমান থাকিত । মধ্যাপক ওয়েবর সেরূপ কোন ছায়া আবিষ্কারে অক্ষম হইয়াও, কেবল কয়েকটি অনুমানের উপর নির্ভর করিয়া স্বমত প্রচারিত কfরয়াছেন । * ঠাঙ্গাল ইতিহাস বিবিধ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রামাণিক ওস্ত রূপে অধীত ও অধ্যাপিত ৪ চয় আসিতেছে । তৎস্থলে ভারতীয় নাট্যসাহিত্য গ্রীক নাট্যের অমুকুতি মাঞ্জ বলিয়। পরিগণিত হইলার যোগ্য কিনা, তাষ্ঠীর সমালোচনা আব: শুক । মধ্যএসিয়ায় গ্রীক রাজ্যের কোন ধারাবাহিক ইতিহাস প্রাপ্ত হওয়া যায় না। দিগ্বিজয়ী সেকন্দর শাঙ্গের সেনানায়কগণের চেষ্টায় কিয়ংকালের জন্য ভারতপ্রোস্থে যে যবন রাজ্য সংস্থাপিত কষ্টয়াছিল, তাঙ্গাতে ভারতীয় শিক্ষা দীক্ষার প্রভাবই প্রবল ছিল । সেই অত:প্লকfলস্থায়ী যবনরাজ্যষ্ট বে ভারতীয় কলানৈপুণ্যের শিক্ষাক্ষেত্র, এরূপ সিদ্ধান্ত স্বীকার করিবার মত যথেষ্ট প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায় না । সংস্কৃত নাট্যসাহিত্য রূপক ও উপরূপক নামক ভাগদ্বয়ে পিভক্ত। তন্মধ্যে রূপক সমধিক পুরাতন । ভরতবিরচিত নাট্যশাস্ত্রে উপরূপকের উল্লেখ নাই ; সমগ্ৰ নাট্যসাহিত্য রূপক নামেই ব্যাখ্যাত হইয়াছে। এই শ্রেণী-বিভাগ ভার.

  • Weber's History of Indian Literature, P. 207.