পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫২২

8२ 8 সাহিত্যের কথা প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছিল। অধ্যাপক ওয়েবর এই সকল বৌদ্ধ গ্রন্থকে আধুনিক বলিয়। প্রতিপন্ন করিতে পারেন নাই ; সেগুলি যথার্থই পুরাতন কিনা তাছাতে কিঞ্চিৎ সন্দেহ প্রকাশ করিয়ান্ট নিরস্ত হইয়াছেন । প্রথমে সিদ্ধাস্ত স্থাপনা করিয়া পশ্চাং তাঙ্গাকে সমর্থন করিতে গিয়া অধ্যাপক ওয়েবর এইরূপ অনেক তর্কের যথাযোগ্য মীমাংসা করিতে অগ্রসর হন নাই । সকল শ্রেণীর নাট্যসাচিতা সকল শ্রেণীর লোকের চিত্ত্ব বিনোদনে সমর্থ হয় না । সুতরাং জনসমাজের রুচি ভেদেই যে নানাশেণীর নাট্য প্রচলিত হইয়াছিল, তাচ্চ সহজেই বুঝিতে পারা যায়। সেকালে কোন শ্রেণীর নাটা কান শ্রেণীর লোকের চিন্তুবিনোদন করিত, ভরতমুনি তাহার পরিচয় প্রদান করিয়া গিয়াছেন । যথা— "নন শীল: প্রকৃতয়: শালমা;}ং বিনিৰ্ম্মিতং । উওমাধমমধ্যানাং বুদ্ধলালস্য যেসি তাম্ ॥ छुंगास्त्रि ठम्ल“: कम्भि निम्न%|: मभग्न श्रिt 5 । অথেল পরাশ্চৈব মোক্ষে লাথ লি রাগিন: | শূল।ণীeৎসরেীদ্রেসু নিযুদেখtহবেযুচ । ধৰ্ম্ম খানপুরাণেষু বৃদ্ধ স্তুমাপ্তি সদবুদ ॥” লোকভেদে রুচিভেদের স্যায় কালভেদে ও রুচিভেদ প্রব - ৰ্ত্তিত হইয়া থাকে । তজ্জন্ত এক সময়ে রূপকের আদর ছিল । কালভেদে ও চিভেদে উপরূপক প্রচলিত হইয়াছিল। সেকালের জনসাধারণের সাহিতারুচি কিরূপ ছিল, নটাসাহিতো তাহার প্রমাণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। মুচ্চকটিক যে সাহিতারুচির পরিচয় প্রদান করে, তাত সমাজ ও সাহিতোর সমুন্নত ও সমৃদ্ধাবস্থার কথা । নাটোত পত্তির আদিযুগে এরূপ গ্ৰন্থ বিরচিত হওয়ার সম্ভাবনা নাই । ৪ । নাট্যরুচি। রূপক সাহিত্যের নাটারুচি প্রথমে রাজরুচির অনুবৰ্ত্তন করিত। তখন রাজাই নাট্যশালার প্রধান উৎসাহদাতা ছিলেন । তজ্জন্ত রূপকে শৃঙ্গাররসের অভাব না থাকিলেও, কবিলেখনী সত্ত্বাস্থ ও সংযত ভাষার ব্যবহার করিত । রাজা, রাণী ও রাজপরিষদের বিদ্বন্মগুলী অভিনয়দর্শনে সমাগত হইতেন বলিয়া, অভিনয় ব্যাপারেও সংযতভাব মুরক্ষিত হইত। প্রবাসী ১ম ভাগ । লজ্জাকরং তু যৎ । এবং বিধং ভলেং যং যং তত্ত্বও রঙ্গেন করয়েৎ | পিতৃ পুত্ৰ যন্মত্ত, নাটকং। তন্ম দে নি সমিণি বঞ্জ নয়মি যত্ন তঃ ॥ রূপকনাট্যে এই পধিনিদেশের ব্যতিক্রম দেখিতে পাওয়া যায় ন। কালভেদে রুচিভেদ প্রবত্তিত হইয়া, ক্রমে কিছু কিছু অসংযত ভাব, ভাসা ও লাস্তাঙ্গ প্রচলিত হইয়াছিল। রূপকে স্থান লাভ না করায়, উপরূপকের সৃষ্টি থাকিবে । কারণ, যে সকল গ্রন্থ উপরূপকশ্রেণীর গত, তাহাতেই এইরূপ রুচিপার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। রূপকের আদিরসে আবিলত। অল্প ; তাহ পরকলএবিষয়ক জঘন্তরস নহে ; অনাবিল দাম্পত্যপ্রেমের উচ্ছ,াস মাত্র । তখনকার মানবসমাজে ভাবগোপনের চেষ্টা বড় অধিক ছিল বলিয়া বোধ হয় না । তজ্জন্ত দাম্পত্যপ্রেমের চিত্রে স্বাভাবিক বর্ণাতিশম্য প্রকাশিত হইয়া পড়িত । কিন্তু তাহা ও ধৰ্ম্মশৃঙ্গার, অথশূঙ্গার ও কামশৃঙ্গার নামক ভাগ রয়ে বিভক্ত হইয়া উত্তম, মধ্যম ও অধম আধ্য প্রাপ্ত হইয়াছিল। রূপকে অধম শ্রেণীর কামশুঙ্গার বিরল, তাহ। উপরূপকেই সমধিক অভিব্যক্ত । রূপকের নায়ক দুষ্মন্থ নায়িকা শকুন্তলার সহিত সুসঙ্গত হইবার প্রবল আকাঙ্ক্ষায় অধীর হইয়া ও সংঘত ; উপরূপকের মায়ুক রত্নাবলীর রাজ৷ দাসী বলিয়। জানিয়া ও সাগরিকাকে সম্ভোগ করিবার জন্ম অসংযত, ও ব্যাকুল,—শিষ্টাচার লঙ্ঘন করিতেও সমুণ্ঠত ! সেকালের প্রহসন কিরূপ ছিল, তাহ জানিবার জন্য প্রচুর কৌতুহল থাকিলেও, কৌতুহল চরিতার্থ করিবা মত যথেষ্ট উপকরণের অভাব। প্রহসন ও ভাণ কবিকল্পিত আখ্যানবস্তু অবলম্বনে রচিত হইত। প্রহসনে ধুঃ নায়কের অশালীনত্ব প্রদর্শন করিয়া লোকশিক্ষার্থ বিশুদ্ধ হান্তরসের অবতারণা করাই একমাত্র লক্ষ্য ছিল বলিয়। বোধ হয় । তথাপি প্রহসনে কালক্রমে রুচিবিকার প্রবিষ্ট হইয়। ইহাকে শুদ্ধ, সংকীর্ণ ও বিকৃত নামক ভাগত্রয়ে বিভক্ত করিয়া উত্তম, মধ্যম ও অধম আখ্যা প্রদান করিয়াছিল। শুদ্ধ প্রহসনের নায়ক একজন-ব্রাহ্মণ বা তপস্বী । সংকীর্ণ প্রহসনে বহু ধৃষ্ট নায়কের আস্ফালন । বিকৃত তাহ অপেক্ষাও উচ্ছঙ্খল। হাস্তাৰ্ণৰ বিকৃত প্রহসনের নিকৃষ্ট দৃষ্টান্ত । রূপক তত্ব। হইয়া অস্তু