পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 ইষ্ঠার পিতা কলিকাতার একটা সওদাগরী অাপিষে কৰ্ম্ম করিতেন । বামকালীবাবু দশবর্ষ, বয়ঃক্রমকালে পিতৃহীন ঠাঙার শোকার্তা জননী তখন ঠাতাকে লইয়া কাশীবাসিনী হন । এখানে পিতৃষ্ঠান বালক প্রথমে জয়নারায়ণ কলেজে ভর্তি হন । তৎপরে বারাণসী কলেজে মধ্যয়ন করেন এবং যথাসময়ে জুনিয়র ও সানিয়র বৃত্তি লাভ করিয়া বারাণসীর কমিশনর রী ড সাহেবের নিকট আইন অধ্যয়ন করেন । আইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চহয়। তৎকালীন ছোটলাট টমসন বাতাগুরের নিকট কৰ্ম্মপ্রার্থী হন। কিন্তু ছোটলাট প্রথমে তাহাকে আগার আদালতে উৰ্দ্দ, সেরেস্তার কৰ্ম্ম শিক্ষা করিতে পরামর্শ দেন । এই সময় ঠাহীর বয়ঃক্রম ১৭ বৎসর । আগ্র অবস্থানকালে স্থানীয় কলেক্টর সাহেবের অনুরোধক্রমে ষ্টনি কয়েকখানি ইংরাজী প্ৰপত্ৰশিক্ষার উদ্ধ অনুবাদ পুস্তক প্রণয়ন করেন । ঐ পুস্তক গুলি গ্রাম্য পাঠশালার ছাত্ৰগণের পাঠ্য নিদ্ধারিত হয় । পরে রামকালীবাবু মৈনপুরী জেলা আদালতের অনুবাদকের পদ প্রাপ্ত হন এবং ১৮৫৬ সালে গাজীপুরে উচ্চবেতনে উক্তপদে অধিষ্ঠিত হন । এষ্ট সময় মহম্মদাবাদ মুন্সিফী পদ শূন্ত হওয়ায় রামকালীবাবু যোগ্য তার পুরস্কারস্বরূপ উখ। প্রাপ্ত হন । সিপাহীবিদ্রোহের শান্তি হইলে রামকালীবাবু কয়েক বৎসর অতীব দক্ষতার সহিত কৰ্ম্ম করিয়া উত্তর পশ্চিমের নন। স্থানে মুন্সিফ সদরাল ও জজের পদে উন্নীত মগন ভারত-গভর্ণমেণ্টের আদেশে হাইকোটে দেশীয় বিচারপতির পদ সৃষ্টি করা হয় তখন স্থানীয় হাইকোটের প্রধান বিচারপতি জর্ভিস ষ্টয়াট মহোদয় বাবু রামকালী চৌধুরী, বাবু কাশীনাথ বিশ্বাস এবং বাবু দ্বারকানাথ বিশ্বাস এই তিনজন ৰাঙ্গালীর नाम উক্ত পদের উপযোগী বলিয়া উল্লেখ করেন । কিন্তু সে সময় ভিন্নপ্রদেশবাসীকে ঐ পদে নিয়োজিত কর যুক্তিযুক্ত বিবেচনা না করায় প্রস্তাবটি কার্য্যে পরিণত হয় নাই । তবে রামকালীবাবুর কার্য্যকুশলতা, সুবিচারপৃদ্ধতি এবং অসাধারণ সত্যনিষ্ঠার পরিচয় পাইয়া গভর্ণমেণ্ট তাহাকে এলাহাবাদ ছোট আদালতের জজ মিযুক্ত করেন । ১৮৮৪ সালে ইনি পেন্সন গ্রহণ করিয়া काँगैौ६भी कम । ज्ञांछकौञ्च कर्पू झझेरङ श्रवनन्न काळेम्ना ७ রামকালীবাবু বশিষ্ট্রঞ্চ অলসভাবে ক্ষেপণ করেন স্তন | を高 ] প্রবাসী ১ম ভাগ। নাই। প্রকৃত কৰ্ম্মবীরগণ তাঙ্গ পারেন না । তাহদের কৰ্ম্মক্ষেত্র উত্তরো স্তুর বৃদ্ধিলাভ করে। ইনি সারাটি জীবন বিবিধ সংকাৰ্য্যে এবং পরচিতরতে উৎসর্গ করিয়াছিলেন। ইনি বস্তু কাল বারাণসীর মিউনিসিপাল কমিশনর, অনররি ম্যাক্তিষ্টেট, বোর্ডের ভাইসচেয়ারম্যান, ষ্টাণ্ডিং কংগ্রেস কমিটির যাবজীবন প্রেসিডেন্ট, কারমাইকেল লাষ্টরেরী, বাঙ্গালীটোল স্কুল, বাঙ্গালী টালা এসোসি এশন, বঙ্গসাহি ত্যসমাজ, এচিসন অফ নেজ, টোটাল এবষ্টনেন্স, সোসাইটি প্রভৃতিব সভাপতি এবং কাশী নাগরীপ্রচারিণী সভার একজন সুযোগ সদস্ত ছিলেন । উৰ্দ্দর পরিবর্তে নাগরী যাহাতে স্থানীয় আদালতের ভাসা হয়, ইনি জন্য বহুকাল হইতে চেষ্টা করিতেছিলেন এবং অবশেসে “নাগরী মেমোরিয়াল” ল্যাপারে যং পরোনাস্তি সাতালা করিয়াছিলেন । রামকালী বাবু উত্তর-পশ্চিমের নানা স্থানে বিবিধ সদনুষ্ঠানে যোগদান করেন। ইনি কিছুকাল প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভার সভা ছিলেন । সত্যনিষ্ঠা, সৎসাহস, সঠিষ্ণুতা, চরিত্রের নিৰ্ম্মলত। প্রভৃতি অনন্যসাধারণ গুণরাশিতে ইনি সমাজের আদর্শ স্থানীয় চইয়। ১৯০০ সালের অক্টোবর মাসে পরলোক গমন করেন । ইনি বর্ণ, ধৰ্ম্ম, ও জাতিনির্বিশেষে সৰ্ব্বজনপ্রিয় চইয়াছিলেন । এমন কি ষ্টষ্টার ঘোর তর বিরুদ্ধবাদী য়্যাণ্টিকংগ্রেস নেতা স্ব নামথ্যাত সার সৈয়দ আহমদ এক সময়ে *footsgrosa “He is an honest enemy" | ##to বিদ্যানুরাগ এতদূর প্রবল ছিল যে উপরোক্ত সভা সমিতিতে যোগ দান করিয়াও রীতিমত সাহিত্যসেবা করিতেন । " The Reflector” বলিয়া এলাহাবাদ হইতে যে পত্রিক। প্রকাশিত হইত ইনি তাঙ্কর একজন প্রধান লেখক ছিলেন । ইউরোপীয় এবং হিন্দু দর্শন তাহার প্রিয় প্রসঙ্গ ছিল এব’ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে তাহার প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল । কাণপুর অবস্থানকালে ইনি অমরোগে আক্রান্ত হইয়৷ কিছুদিনের জন্ত নাইনিতাল পাহাড়ে গমন করেন । এখানে তাহার বৈবাহ ক বাবু সারদাপ্রসাদ সন্ন্যাল, এবং ৬ নীলকমল মিত্রের সহিত একবাসায় অবস্থান করেন । সারদাবা; বলেন, রামকালীবাবু অলসভাবে জীবন ক্ষেপণ করিতে একান্তই নারাজ ছিলেন । এখানেও তিনি নানা কার্ষে আপনাকে ব্যাপৃত রাখিতেন । অধ্যয়ন, ভ্রমনাদির পর