পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ ও ১২শ সংখ্যা । ] যে টুকু সময় পাইতেন, তাহার মধ্যে পাৰ্ব্বতীয় নানা প্রকার গাছের পাতা সংগ্ৰহ করিয়া তাঙ্গাদের তালিকা প্রস্বত করতেন । এইরূপে যে কোন সছপায়ে আলস্তকে জয় করিতে সৰ্ব্বদাই চেষ্টা করিতেন। ইনি এতদঞ্চলে এতদূর প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন যে তাহাকে জানেন না এমন প্রবাসী বাঙ্গালী এ প্রদেশে বিরল। কাশীপ্রবাসের অব্যবহিত পরেই এলাহাবাদে বাঙ্গালীর আবির্ভাব হয় । প্রায় নকবই বৎসর হইল মহাত্মা কেশবচন্দ্র সেনের পিতামহ দেওয়ান রামকমল সেন কোন কৰ্ম্মোপলক্ষে অযোধ্যার নবাবের সঠিত সাক্ষা ২ করিতে যান। ৬ রামধন মুখোপাধ্যায় তাহার সমভিবাঙ্গারে ছিলেন । রামকমলবাবু রা.ধনবাবুকে প্রধাগে রাপিয়া যান । হনি কলিকাতা ভবানীপুর হইতে আসিয়াছিলেন । শুনা যায় প্রথমে ইনি ওভারসিয়ারের কৰ্ম্ম করেন ; পরে "ফোটের কণ্টাক্টার” হইয়। প্রভূত অর্থ উপাৰ্জ্জন করেন । রামধন বাবুর ন্যায় ধনীর কথা এলাহাবাদে অল্পষ্ট শুনা যায় । যদিও তাহার পূৰ্ব্বে দুই একজন বাঙ্গালী প্রয়াগপ্রবাসী হইয়াছিলেন, তথাপি প্রসিদ্ধ বাঙ্গালীগণের মধ্যে নিষ্ঠ প্রথম । গঙ্গাযমুন সঙ্গমের নিকট ইষ্ঠার ১২ মস্থল প্রাসাদ ছিল । জসরা নামক স্থানে সুবিস্তুত জমাদারী ছিল । প্রায় ২৫/২৬ বৎসর হইল রামধনবাবুর মৃত্যু হ’হয়াছে। কথিত আছে মৃত্যুকালে ইনি এিশলক্ষ টাকা লগদ রাখিয়া যান । এক্ষণে এলাহাব.দ দুর্গের সম্মুখস্থ "লাল কুঠি” তাহার স্মৃতি বচন করিতেছে মাত্র। ঐ কুঠা প্রয়াগপ্রবাসী শ্ৰীযুক্ত চারুচন্দ্র মিত্রের অধিকারে আছে । চারুবাবুর পিতা এলাহাবাদের বিখ্যাত নীলকমল মত্রের নাম স্থানীয় সকলের নিকট সুপরিচিত । কলিকাত ইডেন উষ্ঠানের স্তায় সুবিস্তৃত গভর্ণমেণ্টের উষ্ঠান "আলফে ড পার্কের মধ্যস্থলে স্থানীয় জনসাধারণের সান্ধ্যভ্রমণ এবং বিশ্রামের জন্য যে পুষ্পসজ্জিত ভূমির মধ্যস্ত প্রস্তর বেদী দেখিতে পাওয়া যায়, তাঙ্গ নীলকমল মিত্র মহাশয়ের কীৰ্ত্তি । ইহার ব্যবসায় এতদঞ্চলের প্রায় সকল প্রধান প্রধান সহরে বিস্তৃত ছিল । বারাণসীর বিখ্যাত চৌধুরীবংশসস্তৃত ৮রামেশ্বর চৌধুরী অল্পবয়সে গহত্যাগ করিয়ু পর্যটন করিতে করিতে প্রয়াগে_ প্রবর্তী 886. আসিয়া উপস্থিত হন । শুনা যায় তাহার গলগগু বা গণ্ডমালা দেখিয়া পরিপারের মধ্যে কেহ কেহ তাহাকে ঘূর্ণ করতেন । ঠাষ্ট্র-র গৃষ্ঠভাগের ইয়াক্ট কারণ । প্রয়াগের সন্নিকটে জনৈক সন্ন্যাসীর সঠিত ঠাঙ্গর সাক্ষাৎ হয় এবং এই সপ্ল্যাসী প্রদ ও ভস্মলেপনে ইষ্টার গণ্ডমালা ভাল হইয়। যায় । সাধুর উপদেশমত ༢”ཝི་༢༣:༢ এলাহাবাদ স্থায়ী হন । তাতার পর কমি সেরিয়ট অপিষে কৰ্ম্ম প্রাপ্ত কইয়। দোস্তমহম্মদের সময় কাবুলযুদ্ধে গমন করেন । তথা ইষ্টতে প্রভূত অর্থ উপাৰ্জ্জন করিয়া এলাহাবাদে প্রত্যাগত ছন । এথানে রেলের কণ্টাক্টরী করিয়াও অনেক অর্থ সঞ্চয় করেন মৃত্যুকালে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নগদ, রাজপ্রাসাদতুল বাগান বাট এবং পঞ্চাধিক সহস্র টাকা মাসিক মায়ের ৪মিদারী প্রভৃতি রাখিয়া যান । তাহার এই অতুল ঐশ্বৰ্য্য এক্ষণে স্বপ্নবং ছয় দাড়াইয়াছে । ৬ রামধন মুখোপাধ", ৬ রামেশ্বর চৌধুরী ও মিওর কলেজের সংস্কৃত অধ্যাপক মঙ্গমঙ্গোপাধ্যায় পণ্ডিত আদি খারাম ভট্টাচার্গোর স্বৰ্গীয় পিতা, জমিদার মাধবচন্দ্র চক্রবত্তী বাবু তারিণীচরণ চট্টোপধ্যায়, বায়ু মাধবচন্দ্র মিত্র প্রভৃতি এলাগুণবাদের অতি পুরাতন প্রবাসী । দারাগঞ্জের মিত্রপরিবারও বহু পুরাতন । তৎকালে সরকারী দপ্তর গুলি কেল্লার নিকট অবস্থিত থাকায় কী ডগল্প এলং দারীগঞ্জেই লাঙ্গাল গণ প্রথম বাস নির্দেশ করেন । ক্রমে অনেকে মুঠিগঞ্জ ও কর্ণেলগঞ্জে এবং সিপাঠাযুদ্ধের দুষ্ট এক বংসর পূর্ব হইতে ৮ঈশানচন্দ্র দাস, স্বৰ্গীয় গোপালচন্দ্র পাকড়াশ ও বা সারদা প্রসাদ সান্ন্যাল প্রমুখ বদ্ধিষ্ণু বাঙ্গালীগণ সাহাগল্প, আন্তর ব্লু ষ্টয়া প্রভৃতি পল্লীতে আসিয়া বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া স্থায়ী বসবাসী হন । এখানে যে সকল বাঙ্গালী মিউটিনীর সময় ছিলেন ঠাঙ্গদের অনেকেই ফুর্গের ভিতর সাশ্রয় গ্রহণ করিয়; সে দুদিনে আত্মরক্ষা করিতে সমর্থ হন । অনেকে সৰ্ব্বস্বাস্তও হইয়াছিলেন । এষ্ট সময়ের fতন চারি বংসর পূৰ্ব্বে উত্তরপাড়ানিবাসী স্বৰ্গীয় প্যাঙ্গামোহন বন্দ্যোপাধ্যায় কাণীস্থ কোন আঞ্জীয়ের নিকট আসিয়; উপস্থিত হন, এবং এখানে অধ্যয়নাদির পর মুন্সেফা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । যে সুৰ্যয় বিদ্রোহ হয় নাই সেই সময় ইনি এলাহাবাদের নিকটস্থ মঞ্চনপুর নামক স্থানের মুন্সেফ ছিলেন । স্থানায় প্রভুত শক্তিশালী জমিদারবর্গ বিরোধী,