পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৫৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8Qや সহজে বলিতে পালিতীম ; বাঙ্গালা অশুদ্ধ হইত। বাঙ্গালী ছেলের মুখে শুনা যাঙ্গত “কুকুর তুক্‌চে” (ডাকচে); “ধ্বসনা (নদীর গিরচে” পড়চে) । যখন ভাগলপুর জিলা স্কুলে প্রৰ্ত্তি শুষ্ট তখন বাঙ্গাল পড়াইবার পণ্ডিত মহাশয় ছিলেন ন। পণ্ডিতজীর নিকট হিন্দী (Socolui পড়তে তইত । ইংরাজার ‘মানে চিন্দীতে বলিতে হইত। আমার তা9াতে সুবিধ। বই অসুবিধা ছিল না। “পণ্ডিজ্জী’ আমায় বড়ই ভাল বাসিতেন । আমার ‘দোচা’ ‘চোঁপাই’ আরক্তি ত{চার বড়ই ভাল লাগিত । স্কুলে কেহ ঠাহর সচিত দেখা করিতে আসিলে আমায় ডাকিতেন ‘ষ্টধর আও’ ! আমি কাছে যাইতাম, তিনি বলিতেন “বোলো”, আর আমি জুলিয়া লিয়। অ{ওড়াইতাম “সুত বিত নারী ভওয়ন পরিবরা, হোষ্টি জান জগ বারচিবার ।" (জগতে বায়বীর হইয়া যাইতেছে) ইতাদি । পরীক্ষায় হিন্দীতে প্রথম হইয়াছিলাম । তষ্ঠার পরের লংসরেই স্কুলে একটি বাঙ্গলা পণ্ডিত নিযুক্ত ইষ্টলেন । আমি বাঙ্গাল ধরিলাম, ক্লাসে অনেক নীচে পড়িয়া থাকি তাম। কিন্তু অন্ত বাঙ্গালীর ছেলে হিন্দীতে তেমন নঙ্গর পাঠত না । আমি হিনী শিখিয়াছিলাম গয়াতে । ভাগলপুরের হিন্দী অতি ছাই । ভা রকম লেখা পড়া জানা লোক ভিন্ন ভাল হিন্দী কি উদ্ধ, কেহই বলিতে পারে না । তখন বাঙ্গালীদের কুস্তিলড় প্রধান বায়াম ছিল । সকলে ব্যায়াম করিতেন না । যাচারা করিতেন তাষ্ঠ রা কুস্তিষ্ট লড়িতেন । তখন বাঙ্গালী ছেলের মুখে ধোরিয়া পাট', 'স ওয়ারী’, ‘চৌকী", "উখেড়’, ‘জোড়ালতী’ এই সব কথাই প্রায় শুন৷ ধtষ্টত । কয়েকটি বাঙ্গালী ছেলে এক এ হইলেই খ্যাতনাম "কুস্তি বাজ’গণের কুস্তির ভিন্ন ভিন্ন প্যাচের সমালোচনা হইত। ধূলায় হাত ঘসিয়া পাঞ্জা কসা আবম্ভ হইত। যখন প্যারালেন্স ও হরাইজন্টাল বার, ট্রাপিজ প্রভৃতি আসিল তখন জিম্ন্তাষ্টিক্‌ খুব চলিতে লাগিল। ভাগলপুরের বাঙ্গালীটোলা জিমৃষ্ঠাষ্টিক কবে অনেক খেলা এমন হইত যাহং সার্কাসের খেলার চেয়ে কোনও অংশে নিকৃষ্ট নহে । আমিও আমাদের পাড়ার জিমন্তাষ্টিক পাটিতে ভত্তি হইলাম। এক একদিন বড় লোকদিগকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া স্কুলার পোষাক পরিয়া ক্রাড। language) প্রবাসী [ ১ম ভাগ । দেখাইতাম । ইতাই আমাদের প্রধান আমোদের ব্যাপার ছিল । আমি গ্রাউণ্ড এক্সরসাইজ’ হইতে ‘বার প্লে’তে প্রমোশন পাইবার পূর্বেই ক্রিকেটু আদিয়া সব জিম্ন্তাষ্টিক্‌ পাটি ভাঙ্গিয়া দিল তখন চারিদিকে ক্রিকেটু ক্লব গঠিত ইষ্টতে লাগিল। কিছু দিন পরে ফুটবল আসিয়া ক্রিকেট উঠাষ্টয়া দিল । এখন আবার টেনিস হইয়াছে। এখন ক্রিকেট ফুটবল টেনিস তিনটিই চলিতেছে। তবে ফুটবলষ্ট বেশী। ১ । কয়েক বৎসর পূর্বের কথা বলিলাম। এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন তইয়াছে । গয়াতে অনেক বাঙ্গালী । ভাগলপুর ত বাঙ্গালতে ছাইয়া গিয়াছে । বাকীপুরে বাঙ্গলর সংখ্যা খুব বেশী। বাকীপুর একটি প্রকা ও সহর । পাটনাকে তিন ভাগ করা হইয়াছে । ক্যান্টনমেন্ট --দানাপুর ; বাজার, রাজা নবাব জমীদারদিগের আডড{—পাটন। সিটি কাছারী-বাকীপুর। সুতরাং বাকীপুরেই বাঙ্গালী অধিক । পাটনা সিটিতেও বাঙ্গালর সংখ্যা মন্দ নয় । দানাপুর একটি ছোট গোরাদের সঙ্গর ; দুই একজন রেলওয়ে কৰ্ম্ম,ারী ব্যতীত বাঙ্গালী নষ্ট । জামালপুরের ওয়ার্কশপৃ, শুনিতে পাই, এই জাতীয় কারখানার মধ্যে পুথিবীতে সকলের চেয়ে বড় । কৰ্ম্মচারী বাঙ্গালী এখানে অনেক । বাঙ্গালীদের পাড়াটি প্রকাগু । ‘মেস অনেক ! মুঙ্গের একটি ছোট সাজান সহয় । বড় সুন্দর স্তান । সহরের তুলনায় এখানে বাঙ্গালী কম নষ্ঠে । গাজীপুর অতি শান্ত, ছোট সহব। অনেক বাঙ্গালী কিছুদিনের জন্য এখানে আসিয়া বেড়াইয়া যান । কেহ কেহ বাড়ী ঘর করিয়াছেন । মজঃফরপুরে বাঙ্গালী অনেক। মোতিহারী, দ্বারভাঙ্গা, সমস্তিপুর, আরা, কোথাও বাঙ্গালীর সংখ্য মন্দ নন্তে । বাঙ্গালী বিহার ছাইয়া ফেলিয়াছে । বঙ্গের বাহিরে বিচারেই বাঙ্গালীর সংখ্যা সব চেয়ে বেণী । এত বাঙ্গালী আর কোথাও নাই। এখন সৰ্ব্বত্র রেলপথ হইয়াছে । বিহার বঙ্গ হইতে দূর নহে। বিহারই বঙ্গের সৰ্ব্বাপেক্ষ নিকটবর্তী স্তান । বিহারী বাঙ্গালীর প্রতিবাসী । তাহার বিছার অতি চমৎকার স্থান। জল বায়ু খুব ভাল। আগে ম্যালেরিয়া কি পদার্থ তাছা এদেশের লোক জানিত না । এখন লোকসংখ্যা বুদ্ধি হওয়াতে এ সব স্থান ক্রমে খারাপ হইয়া উঠিতেছে । কয়েক বৎসর পর্কে অনেক বাঙ্গালী ভাগলপুর