পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե- օ তাহার সম্পত্তি শিক্ষাকার্য্যে নিয়োজিত হইবে কি না এখনও বলা যায় না। শ্ৰীযুক্ত জামষেদজী নসেরবাজী তাতার ৩০ লক্ষ টাকা দানের অঙ্গীকারের কথা সকলেই অবগত আছেন । কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্র প্রেমচাদ রায়চাদ বৃত্তির কথা না শুনিয়াছেন ? এই বৃত্তির স্থাপয়িতা বিখ্যাত বণিক শ্রীযুক্ত প্রেমচাদ রায়চাদ এখন ও জীবিত আছেন । তিনি ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লক্ষ টাকা দানকরেন । উষ্ঠার সুদ হইতে বার্ষিক ১৪০ ০. টাকা পরিমিত পাচটি বৃত্তি দেওয়া হয়। পূৰ্ব্বে কোন উপযুক্ত ছাত্র একটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া সৰ্ব্বোচ্চ স্তান অধিকার করিলেই ঠাঙ্গকে ৫ বৎসর ধরিয়া বৃত্তি দেওয়া হইত। এখন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে ও গবেষণা ও বিষ্ঠানুশীলনের পরিচয় দিতে হয় । এই পরিবর্তনটি বড়ই ভাল হইয়াছে । স্বৰ্গীয় ভূদেব মুখোপাধ্যায় মহোদয় ১৮৯৯ অব্দের ৬ষ্ট জানুয়ারি তারিখে স্বীয় জনকের নামে “ বিশ্বনাথ ফাগু ” ধনভাণ্ডার স্থাপনপূৰ্ব্বক উষ্ঠাতে স্বোপার্জিত দেড় লক্ষ টাকার কাগজ এবং এডুকেশন গেজেট সংবাদপত্র ও বুধোদয় যস্থ –মোট এক লক্ষ মাটি হাজার টাকার সম্পত্তি –প্রধানতঃ সংস্কৃত শাস্ত্রচচ্চার এবং কিয় ২ পরিমাণে দাতব্য চিকিৎসার সাষ্ট্রাম্যাথে দান করেন । লাল গুরপ্রসন্ন ঘোষ কলিকাতার একজন প্রসিদ্ধ ধনী ছিলেন । কয়েক মাস উইল তাঙ্গার মৃতু ইয়াছে । ইয়ুরোপে গিয়া শিল্প শিক্ষার জন্স রঞ্জি স্থাপনাথ তিনি কলিকাত৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা দান করিয়া গিয়াছেন । সংবাদ পত্রে পড়িয়াছিলাম যে ভাগলপুরের বিখ্যাত উকীল ৬ সুৰ্য্যনারায়ণ সিংহ বিজ্ঞানচচ্চার জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ লক্ষ টাকা দান করিয়া গিয়াছেন । গ্ৰন্থকারমাহাত্ম্য। বঙ্কিমচন্ত্রের পদাঙ্ক অনুসরণে | জনমেজয় কহিলেন, ভগবন । আপনি যে গ্রন্থকার নামক অপূৰ্ব্ব মনুষ্যজাতির উল্লেখ করিলেন, তাহারা ধরিত্রীর কোন খণ্ডে আবিভূ ত হইবেন,এবং জগতের কোন মহাকাৰ্য্য সাধন করিবেন ? তাহাদিগের কথা শুনিবার নিমিত্ত আমার প্রবাসী [ >भ छांशं । অত্যন্ত কৌতূহল জন্মিতেছে, অতএব আপনি আমার প্রতি অনুকম্প প্রদর্শনপূর্বক সেই গুহ বৃত্তান্ত সবিস্তারে কীৰ্ত্তন করুন | © বৈশম্পায়ন কছিলেন, রাজন। গ্রন্থকারগণ কলিযুগের সন্ধা-মূহুর্তে এই ভারতভূমিতেই অবতীর্ণ হইবেন। র্তাঙ্গার নানা স্থানে, নানা প্রকারে প্রকটিত হইবেন । তাঙ্গাদিগের চক্ষু কোটরগত, কেশ রক্ষ, বসন মলিন ও জীর্ণ, তাহাদিগের কটাক্ষ কুটিল, গতি কুটিল, এবং চিত্তও কুটিল । যিনি মাতৃভাষায় অনভিজ্ঞ এবং অপর ভাষা যাহার পক্ষে বিষবৎ, তিনিই গ্রন্থকার । যাহার রসনাগ্র ক্ষুরধার ও র্যাহার লেখনীর অগ্রভাগ সম্পূর্ণ ধারশূন্য, তাহাকেই গ্রন্থকার বলিয়া জানিবেন। লক্ষ্মী র্যাঙ্গার দ্বারে পদার্পণ করেন না এবং যাচার প্রতাপে সরস্বতী পদ্মাসন ত্যাগ করিয়া সমুদ্রপারে পলায়ন করেন, डिनिल्ले নিশ্চিত গ্রন্থকার । ঙ্গে মহাভাগ । সে কালে সংস্কৃত বাৰ্তাত আরও অনেক ভাষা জগতে প্রচলিত হইবে ধিনি সেই সকল ভামা না জানিয়া তৎসমৃদয়ের শ্লোক উদ্ধত করিবেন তিনিই গ্রন্থকার। যাহার গৃহে রন্ধনশালায় অগ্নি জলে না, কিন্তু যাঙ্গর হৃদয়ে সৰ্ব্বদ ঈর্ষাগ্নি জলিতে থাকে, তিনিই গ্রন্থকার । যিনি স্বপ্রণীত গ্রন্থের বিজ্ঞাপন স্বয়ং রচনা করেন এবং সেই বিজ্ঞাপনে আপনাকে ব্যাসবাল্মীকির সমকক্ষ বলিয়া বর্ণনা করেন, তিনি গ্রন্থকার বাতীত আর কেহ নতেন। যিনি স্বরচিত পুস্তকের স্বয়ং সমালোচনা করেন এবং সেই সমালোচনা অপরের নামে অন্ত পত্রে প্রকাশ করেন, তিনিই গ্রন্থকার । যাহার নাসিকায় মসিচিহ্ন ও পৃষ্ঠে কষাচিহ্ন, তাঙ্গকে অভ,ান্তরূপে গ্রন্থকার বলিয়া জানিবেন। যিনি গৃহে গৃহিণীর সমাদর প্রাপ্ত হন না ও বাহিরে পাঠকের সমাদর প্রাপ্ত হন না, তিনিই গ্রন্থকার । যিনি পুস্তকবিক্রেতারূপী সুর্য্যকে গ্রহ উপগ্রহ রূপে প্রদক্ষিণ করেন, যিনি পুস্তকবিক্রেত রাজাধিরাজের পারিষদরূপে তাহার পদতলে উপবিষ্ট হইয়া রসিকতার ভাণ করেন, তাহাকে নিশ্চিত গ্রন্থকার বলিয়া জানিবেন। যিনি পুস্তকবিক্রেতার দ্বারে বিক্রয়লব্ধ পুস্তকের মল্যের