পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] আফিসের হেডক্লার্ক ছিলেন। র্তাহার বর্তমান বাট যেখানে সেট মুটীগঞ্জ নামক স্থান পূৰ্ব্বে ধুমন খা নামক জনৈক মুসলমান জনীদারের এলাকাধীন ছিল। আমূটা সাহেব ংবর্ণমেণ্টের তরফ হইতে র্তাহাকে বারশত টাকা বার্ষিক পেনসন দিয়া উক্ত স্থান ক্রয় করিয়া নিজ-নামে ইহার নামকরণ করেন ও ( এখনও ধুমন খার বংশধরগণ উক্ত পেন্সন ভোগ করিয়া থাকেন ) গুরুনারায়ণ বাবুকে দান করিতে ইচ্ছা করেন কিন্তু গুরুনারায়ণ বাবু সমস্ত পল্লীট না লইয়া প্রয়োজন মত অল্প স্থান লইয়া তাঙ্গতে বাটী নিৰ্ম্মাণ করান। এই বাসভবনে ১৮১৫ খৃষ্টাব্দে মে মাসে রাসনেহারী বাবু জন্মগ্রহণ করেন। ইহঁরা পাচ ভ্রাতা ও এক ভগিনী ছিলেন। ইনি আপন পিতামাতার চতুর্থ পুত্র ছিলেন । দয়া, মায়া, পধোপকারিতা প্রভৃতি যে সকল সদ্‌গুণ থাকিলে লোকে "পদবাচা হয় রাসবেঙ্গরী বাবুর তৎসমুদয় যথেষ্ট ছিল। পাঁচ বৎসর বয়ঃক্রম কালে ইনি স্বগ্রামে ( চব্বিশ পরগণার অন্তর্গত আনোরপুরে ) গিয়াছিলেন। বাল্যশিক্ষা তাহার 4াবাসতের স্কুলে হয় ; দেশে যাইবার কিছুদিন পরে তষ্ঠার * তৃবিয়োগ ঘটে । ১২ বৎসর বয়সে পনরায় এলাহাবাদে আইসেন এবং গবর্ণমেণ্ট স্কুলে ভর্তি হয়েন । তৎকালে ঐ ¥লের প্রধান শিক্ষকদ্বয় বিখ্যাত ট্রেমস ও লিবিস সাহেল ঠ: fর লদ্ধিমত্ত দর্শনে তাহাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন । বাল্যাবধি রাসনেহারী বাবুর ধৰ্ম্মে বিশেষ অনুরাগ ছিল । দীপনের প্রারম্ভে তিনি সন্ন্যাসগ্রহণেচ্ছু হইয়া জনেক ন্নিাসীর সহিত বাট হইতে চলিয়া মান । তাঙ্গর লাতার মনেক অনুসন্ধানে ত্রিবেণীতীর হইতে র্তাহাকে লষ্টয় মাইসেন ; “অবিবাহিতের সন্ন্যাস গ্রহণে অধিকার নাই, দরিয়া যাঠয়া বিবাহ কর, পরে সস্তানাদি হইলে এ পথের থিক হইতে পরিবে” বলিয়া সন্ন্যাসী তাহাকে বিদায় করিয়া দলেন। সন্ন্যাসী ও ভ্রাতৃগণের পীড়াপীড়িতে অনিচ্ছায় তিনি টি আসিলেন। তাহার সঙ্গোদরের অল্প বয়সেই বিবাহ ীি তাহাকে সংসারাবদ্ধ করিলেন । - তিনি যেরূপ নানা গুণে বিভূষিত ছিলেন, দেখিতেও "ষ্টরূপ স্বন্দর সৌম্যমূৰ্ত্তি ছিলেন, মিষ্টভাষী ও আমোদপ্রিয় মলেন । র্তাহার সহিত আলাপ করিয়া লোকে প্রীত হইত। গাড়ার চড়িবার ক্ষমতা তাহার অসাধারণ ছিল। যেমনই সিপাহীবিদ্রোহের সময় প্রবাসী বাঙ্গালী । 889 ইষ্ট ঘোড়া হউক না কেন তাহার শাসনুমানিত। তিনি এরূপ বলশালী ছিলেন ও এরূপ ৰ্যায়ামকৌশল শিথিয়াছিলেন যে তৎকালে কুন্তীতে তাহার সমকক্ষ প্রায় কেহ ছিল না। মৃজাপুরের বিখ্যাত পালোয়ান ওস্তাদ সৰ্বনাম সিংএর নিকট তিনি কুন্তী শিথিয়াছিলেন। সরনাম সিংও তাহাকে বড় ভালবাসিতেন। তাহার শক্তির জন্ত দুষ্ট বদমায়েস লোকেরাও তাহাকে ভয় এবং ভক্তি করিত। একবার তাহার কোন আত্মীয়ের বাটী ডাকাত পড়িয়াছিল । তিনি শুনিয়া কয়েকজন অনুচর সঙ্গে করিয়া সেখানে উপস্থিত হইলেন। বলিলেন, “আমি থাকিতে তোরা এইরূপ অত্যাচার করিতে সাহস করিস ?” তাহাকে দেপিয়া ডাকাতের দলপতি সসন্ত্রমে অভিবাদন করিয়া কঠিল “ক্ষমা করুন আমি জানিতাম না ইহা আপনার আত্মায়ের বাটী"। এই বলিযা মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সদলে তথা হইতে অস্তস্থিত হইল। তিনি সেতার ও তবলা বাজাইতে মুনিপুণ ছিলেন এবং সুগায়ক ও ছিলেন । শহর গান শুনিয়া সকলে মুগ্ধ হইত। স্কুল ছাড়িয়া এত দিন তিনি কলেক্টরি আফিষে কৰ্ম্ম করিতেন। কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়া শ্বশুরবাট বুনোলখণ্ডে যান। সিপাহীবিদ্রোহের সময় ইহার জীবনে অনেক ঘটনা ঘটিয় ছিল ও তিনি কয়েকবার মৃত্যুমুখে পতিত হইতে হইতে লাচিয়াছেন । সে সমস্ত বিস্তারিত লিখিতে গেলে একখানি সুন্দর সুবৃহৎ পুস্তক হয়। বাদার ৬০ নং পুৰ্ব্বিয়া পল্টনে দেড়শত টাকা বেতনে তাঙ্গর কেরাণাগিরি কৰ্ম্ম হয়। সেই পল্টন আম্বালায় যায়। তিনিও সপরিবারে আম্বালায় গেলেন । সেই পণ্টনের অধ্যক্ষ কমাণ্ডিং কর্ণেল র্যাণ্ডেল ও আডজুটেণ্ট কাপ্তেন সেবিয়ার সাহেব ছিলেন । এই সাহেবদ্বয় বিশেষতঃ সেরিয়ার সাহেল তাঙ্গকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন । অম্বালা হইতে সে পল্টন যখন দিল্লী যায় রাসবেহারী বাবু তখন নিজ শ্যালক বাবু কামৃতানাথ কীৰ্ত্তির (তিনি ৬নং পণ্টনে কৰ্ম্ম করিতেন) নিকট স্ত্রী পুত্র রাথিয়া পল্টনের সঙ্গে দিল্লি গেলেন। কর্ণালে পৌছিলে সংবাদ আসিল “রোতকে সিপাহীগণ বিদ্রোহী হইয়াছে খাজনা লুট করিয়াছে ইংরাজদের মারিতেছে অতএব তোমরা এই পণ্টন লইয়া . রোতকে গিয়া তাহাদের শাসিত কর।” সে পল্টন দিল্লী