পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

888 . R কোর্ট মাশেলের আইনামুযায়ী তদারক করিয়া ২৫/৩০ জনকে বিদ্রোহী বলিয়া ধরিয়া আনিয়া ফাসী দেওয়া হয় ( এই বিদ্রোহীদলের মধ্যে অনেক সস্ত্রান্ত ভদ্রলোক ও বড় জমীদারত্ত ছিলেন )। ২য় দিনেও দোষী নির্দোষী প্রায় ৫০ জনকে ধরিয়া আনিল ও তাঙ্গদের ক্ষণসীর হুকুম হইল ! রাসবেস্থার বাবু দেখিলেন দোষীর সঙ্গে নির্দোষীর প্রাণ দণ্ড হয় । তিনি ভালরূপ তদন্ত করিয়া তাহদের নির্দোষিতার অনেক প্রমাণ পাইলেন এবং সাহেবদের বলিয়া প্রায় ৩০ জনের প্রাণদণ্ড রহিত করিলেন । তাহারা মুক্তকণ্ঠে আশীৰ্ব্বাদ ও জগদীশ্বরের নিকট র্তাহার দীর্ঘায়ু কামনা করিতে করিতে চলিয়া গেল । তদবধি প্রত্যহ যে সমস্ত লোক ধরিয়া আনা হইত তাহার দয়াতে নির্দোষী মাত্রেই মুক্তিলাভ করিত অর্থাৎ কোনরূপ অন্তায় বিচার হক্টত না । এদিকে বিদ্রোহিগণ প্রত্যহ আপনাদের দলপুষ্ট করিতে লাগিল এবং বেরিলী মিরাট প্রভৃতি স্থানে বিদ্রোহানল জলিয়া উঠিল । সে ভয়ানক সময়ের কথা সকলেষ্ট অবগত আছেন । ৬০নং পল্টনের কর্তারা পাছে তাঙ্গদের সিপাতীর ক্ষেপিয় উঠে এই ভয়ে সদাই সশঙ্কিত থাকিতেন। প্রজার ও সিপাহীরা সকলেই রাসবেহারী বাবুকে ভালবাসিত ও মাষ্ঠ করিত । তিনিও রাজার বিদ্রোহণচরণ করা কিরূপ অন্তায় ও বিপদকালে প্রভুর সাহায্য না করা কতদূর কৃতন্ত্রের কাজ তাহা সকলকে বিশেষরূপে বুঝাইয়া দিতেন। কিন্তু সিপাহীরা এতই উন্মত্ত হইয়া উঠিল যে রাজা বা প্রভ কিছুষ্ট মানিল না । অন্য সকল পল্টনই প্রায় বিদ্রোহী হইয়াছিল । ৬০ নম্বর পল্টন তখন পর্য্যস্ত যদিও কার্য্যত কোনরূপ বিদ্রোহীচরণ করে নাই, কিন্তু আর থাকে না ; ইহাদের ভাবভঙ্গীতে সৰ্ব্বদা অসন্তোষ ভাব লক্ষিত হইতে লাগিল, যেন কাহারও আজ্ঞার প্রত্যাশী হইয়া রহিয়াছে হুকুম পাইলেই যেন পালন করিতে ব্যস্ত। এইভাবে দিন কয়েক গেল। একদিন কয়েক জন সিপাহী ২৫/৩০ জন ক্ষত্রিয়ানী স্ত্রীলোক ধরিয়া রাসবিহারী বাবুর নিকট লইয়া আসিল । তাহারা সন্ত্রান্ত ঘরের স্ত্রীলোক সকলেই সুন্দরী এবং অনেকেই যুবতী। প্রবাসী । না গিয়া রোতকেই যাইল। সেখানে পৌঁছিয়া প্রথম নিষ্ট ৭ম ভাগ । डाशराब गात्र ३ः शज शृक्ष डाशंबा हे डीवन বিপ্লবের সময়ে বাড়ী ঘর ছাড়িয়া পাটিয়ালাভিমুখে যাইতেছিল । যে ভয়ে তাহারা দেশ ত্যাগ করিয়া পলাইতেছিল তাহাদের তাহাই ঘটিল, পথিমধ্যে কৃতান্তকিঙ্করসদৃশ উন্মত্ত সিপাহীদের “হাতেই পড়িল । পুরুষ ২টি ভয়ে ও অপমানে নিৰ্ব্বাক ; স্ত্রীলোকের মান ও প্রাণভয়ে একেবারে ইতজ্ঞান হষ্টয়া কাদিয়াই আকুল হইল। সিপাহিরা তাহদের বাবুকে বলিল, “বাবু সাহেব আপনি এখন ইহাদের বসাইয়৷ রাখুন ; আপনি ইচ্ছামত গ্রহণ করিয়া আমাদের দিবেন, আমরা রাত্রে আসিয়া লষ্টয়া মাইব ।” সিপাহীর চলিয়৷ গেলে স্ত্রীলোকেরা কাদিতে কঁাদিতে র্তাহাকে বলিল, “বাৰু আপনি গরীবের মা বাপ, আপনি আমাদের রক্ষা করুন। সিপাহীদের নিকট পাঠাইবেন না ।” তিনি তাহদের আশ্বাস বাকো কহিলেন, “মা সকল তোমরা কেঁদ না, স্থির হও ; আমি তোমাদের সকলকেই বাচাইব । তোমরা ইচ্ছামত আহারাদি করিয়া বিশ্রাম কর।” তাহার' তাহার কথায় আশ্বস্ত হইল, লজ্জা ভয়ে ও পথশ্রমে তাতারা নিতান্ত অবসন্ন হইয়াছিল, জল পান করিয়া সুস্থ ইষ্টল। সে সময়ে তাহাদের মনের যে কি ভয়ানক অবস্থা তাই অননুমেয় । সন্ধা হইলে রাসবেতারী বাবু স্বীয় প্রভু সেবিয়ার সাহেবের নিকট “ গিয়৷ সমস্ত কথা পলিলেন ও কয়েক জন বিশ্বাসী অনুচর সঙ্গে দিয়া সেই সল স্ত্রীলোক ও পুরুষ গুটিকে তাহদের অভিলৰ্মিত স্থানে পাঠাষ্টয়া দিলেন । তাহারা যাইবার কালীন তাহাদেব মাতার নিকট যাহা ছিল স্বর্ণমুদ্র হীরা জড়োয় গহন প্রভৃতি প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার জিনিষ দিয়া গেল ও প্রাণ ভরিয়া জগদীশ্বরের নিকট র্তাহার মঙ্গল কামনা করিয়া গেল। তিনি ঐ সকল ধন রত্ন লইতে অস্বীকৃত হওয়ায় তাহার কোন মতে শুনিল না । বলিল, “আমাদের ধন মান ও প্রাণ সমস্তই যাইতে বসিয়াছিল, আপনার কৃপায় আমরা এ যাত্রা বঁচিয়া গেলাম, এ ছার ধনের জন্ত শেষে আবার অনর্থ ঘটিবে। আর আপনার এ উপকারের প্রতিশোধ দেওয়া আমাদের সাধ্য নহে। যৎকিঞ্চিৎ অর্থ গ্রহণ করিয়া আমাদের কৃতাৰ্থ করুন।” সেই সকল দ্রব্যের মধ্যে একটি অত্যুৎকৃষ্ট কাচলি ছিল। তাহাতে ছোট বড় অনেক হীরা বসান ছিল তন্মধ্যে ২ খানি হীরা এত বড় ও