পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाबा AASAASAASAASAASAASAAAS िशउडिरहेन। नि ** ཨེ་ཝ་ পৃথিবীর बाब नमड़ हुन। সেই আগেকার ۱۰۰ م» و « জানিত আমহাষ্ট ੋ একটা বাড়ী ভাড়া লইয়া হিন্দুহিতৈষীর আপিস বসিয়াছে ;—প্রতিদিন মধ্যাহ্নে গোর আপিসে গিয়া সমস্ত বাংলাদেশে তাহার দলের লোক যেখানে যে আছে সবাইকে পত্র লিখিয়া জাগ্রত করিয়া রাখে । এই থানেই তাহার ভক্তরা তাহার মুখে উপদেশ শুনিতে আসে এবং তাহার সহকারিতা করিয়া নিজেকে ধন্ত মনে করে। সেদিনও গোরা সেই আপিসের কাজে গিয়াছিল। বিনয় একেবারে যেন দৌড়িয়া অন্তঃপুরে আনন্দময়ীর ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল। আনন্দময়ী তখন ভাত খাইতে বসিয়াছিলেন এবং লছমিয়া তাহার কাছে বসিয়া তাহাকে পাথা করিতেছিল। আনন্দময়ী আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিলেন,—“কি রে বিনয়, কি হয়েছে তোর ?” বিনয় তাহার সম্মুখে বসিয়া পড়িয়া কহিল,—“ম বড় ক্ষিদে পেয়েচে, আমাকে খেতে দাও।” আনন্দময়ী ব্যস্ত হইয়া কছিলেন,—“তবেই ত মুস্কিলে ফেল্লি। বামুন ঠাকুর চলে গেছে—তোরা যে আবার”— বিনয় কহিল,—“আমি কি বামুন ঠাকুরের রান্না থেতে এলুম! তা হলে আমার বাসার বামুন কি দোষ করলে ? আমি তোমার পাতের প্রসাদ খাব মা। লছমিয়া, দে ত আমাকে এক প্লাস জল এনে!” লছমিয়া জল আনিয়া দিতেই বিনয় ঢক্‌ টক্‌ করিয়া খাইয়া ফেলিল। তখন আনন্দময়ী আর একটা থালা আনাইয়া নিজের পাতের ভাত সস্নেহে সযত্নে মাখিয়া সেই থালে তুলিয়া দিতে থাকিলেন এবং বিনয় বহুদিনের বুভুকুর মত তাহাই খাইতে লাগিল। ', आनन्यौब मानज्ञ ७कफे ८वमना अभ्छ मूब इङ्गेन । তাহার মুখের প্রসন্নতা দেখিয়া বিনয়েরও বুকের একটা বোঝা যেন নামিয়া গেল। আনন্দময়ী বালিশের খোল সেলাই করিতে বসিয়ু গেলেন, কেয়াখয়ের তৈরি করিবার জন্ত পাশের ঘরে কেয়ীফুল জড় হইয়াছিল তাহারই গন্ধ আসিতে লাগিল, বিনয় আনন্দময়ীর পায়ের কাছে উৰ্দ্ধোখিত একটা হাতে মাথা রাখিয়া আধশোওয়া রকমে পড়িয়া রহিল, రిలt দিনের মত আনলে বকিয়া ধাতে লাগিল। এই একটা বাধ ভাঙ্গিয়া যাইতেই নিয়ের দ্বয়ের নূতন বন্ত আরো যেন উদাম হইয়া উঠিল। আনন্দমীর ঘর, হইতে বাহির হইয়া রাস্ত দিয়া সে যেন একেবারে উড়িয়া চলিল ; মাটির স্পর্শ তাহার যেন পায়ে ঠেকিল না ; তাহার ইচ্ছা করিতে লাগিল মনের যে কথাটা লইয়া সে এ কয়দিন সঙ্কোচে পীড়িত হইয়াছে তাহাই আজ মুখ তুলিয়া সকলের কাছে ঘোষণা করিয়া দেয় । - বাড়িতে আসিয়া তাহার টেবিলের সামনে কাগজ কলম লইয়া বসিল—একটা কিছু লিখিতে পারিলে সে বঁাচিয়া যায় কিন্তু একলাইনও লেখা হইল না । কেবল ভাবিতে ভাবিতে অন্তমনস্কভাবে কতকগুলা ছবি আঁকিল ; সে ছবির শিল্পকলা যে সাধারণের কাছে প্রকাশ করিবার নহে বিনয়ের ব্যবহারেই তাহার প্রমাণ হইল, কলম ফেলিয়া দিয়া কাগজখানা সে টুকরা টুকরা করিয়া ছিড়িয়া ফেলিল । আজ সে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল, যেমন করিয়া হউক্‌ পরেশ বাবুর বাড়ি যাইবই। তাই কোনমতে তিনটে না বাজিতেই মুখ ধুইয়.সাফ কাপড় পরিয়া প্রস্তুত হইল— কেবল জুতাটা সম্বন্ধে তাহার মনে অত্যন্ত দ্বিধা জন্মিল, বহুকালের নির্দয় ব্যবহারে জুতাটা একটু ছিড়িয়া আসিয়াছিল, ইতিপূৰ্ব্বে সে সম্বন্ধে সে মনোযোগমাত্র করে নাই, আজ কেবলি মনে হইতে লাগিল জুতাটা বদল করিতে পারিলে ভাল হইত, এ জুতা দেখিলে নিশ্চয় লোকে হাসিবে এমনে মনে করিতে পারে আমি কৃপণ–এখনি গাড়ি করিয়া জুতার দোকানে গিয়া জুতা কিনিবার জন্ত বিনয় ব্যস্ত হইল-বাক্স খুলিয়া দেখিল হাতে টাকা নাই, বাড়ি হইতে টাকা আসিতে আরো দিনছয়েক দেরি আছে; সেই লেফাফার মধ্যে যে টাকা আছে সেটা বাহির করিয়া নাড়িয়া চাড়িয়া আবার লেফাফার মধ্যে রাখিয়া দিল। তখন কেঁচোটা লম্বা করিয়া ঝুলাইয়া দিয়া জুতাটা যথাসম্ভব ঢাকিয় চলিবার সঙ্কর করিয়া বিনয় বাহির হইল। কি কথা উঠিলে বিনয় তাহার কিরূপ উত্তর দিবে তাহাই সে মনে মনে