পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] AASAASAASAASAASAASAAAS و دهه۹۰ به ۳ ماهه ۶۰ به هم*** هاه হইতেছে। নতুব,—এই শক্তি স্বীকার না করিলে— কারণ-ব্রহ্মাও অসৎ হইয়া-বান।” এই উদ্ধত অংশগুলিই যথেষ্ট। ইহা হইতেই পাঠক বুঝিতে পরিবেন যে, শঙ্কর ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন এবং এই শক্তি দ্বারাই ব্রহ্মকে জগতের কারণ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। " এখন দেখিতে হইবে যে যদি শঙ্কর ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিলেন, তবে তাহার নিগুণ ব্রহ্মের কি গতি হইবে ? এই তত্ত্বট লোক বুঝে না। বুঝে না বলিয়াই শঙ্করের উপরে অবিচার করিয়া বসে। নিগুণ, নিক্রিয় ব্ৰহ্মই যে শক্তিদ্বারা জগৎ সৃষ্টি করেন, এ কথা শঙ্কর সুস্পষ্ট বলিয়া দিয়াছেন । পাঠক ঐতরেয় উপনিষদের (৫৩) ভাষাটা দেখুন। {ঙ্কর বলিতেছেন--- 登、 “প্রত্যস্তমিতসৰ্ব্বোপাধিশেষং নিক্রিয়ং শাস্তং. . . . . . . . . তোস্তবিশুদ্ধপ্রজ্ঞোপাধিসম্বন্ধেন সৰ্ব্বজ্ঞমীশ্বরং সৰ্ব্বসাধারণাIাকতজগদ্বীজপ্ৰবৰ্ত্তকং নিয়স্তৃত্বাদস্তামিসংজ্ঞংভবতি।” অব্যাকুতশক্তিই এই জগতের বীজ। নিগুণ, নিক্রিয়, কোপাধিবৰ্জ্জিত ব্ৰহ্মই,—এই অব্যাকৃত শক্তির প্রবর্তক । গুণ ব্রহ্মদ্বারাই, এই শক্তি জগৎরুপে প্রবর্তিত হয়। পাঠক, অপেক্ষ স্পষ্ট কথা সম্ভবে কি ? নিগুণ, নিক্রিয় ব্রহ্মে থাকিয়াই যে প্রাণশক্তি জগদাকারে ভিব্যক্ত হয়, তদ্বিষয়ে শঙ্করাচার্য্যের আর একটী উক্তি পাঠক 狐一 ঈশ উপনিষদের ৪ মন্ত্রের “তিষ্ঠত্তস্মিন মাতরিশ্বা দধীতি”— ষ্যে শঙ্কর বলিতেছেন–“ব্ৰহ্ম স্বয়ং অবিক্রিয়। এই অবিক্রিয় ক্ষ ওতপ্রোতভাবে “মাতরিশ্ব” অর্থাৎ প্রাণশক্তি অবস্থিত ছে। এইপ্রাণশক্তি,-অবিক্রিয়ত্রহ্মে অবস্থিত রহিয়া তের যাবতীয় কাৰ্য্য নির্বাহ করিতেছে —এই শক্তি তই অগ্নি ও স্বৰ্য্যাদির জলনদহনবৰ্ষণাদি ক্রিয় এবং গীদিগের চেষ্টলক্ষণক্রিয়া হইতেছে।” ইহা অপেক্ষ আর সুস্পষ্ট উক্তি হইতে পারে ? নিগুণ ব্রহ্মই যখন সৃষ্টিকাৰ্য্যে ক্ত, তখনই তাহাকেই সগুণত্ৰহ্ম বলাযায় । বস্তুতঃ নিগুণে গুণে কোন ভেদ নাই । তবে কেন নিগুণ ব্রহ্মকে,-কাৰ্য্যও কারণের অতীত হইয়াছে ? ইহার তাৎপৰ্য্য কিরূপ? ভাষের অনেকস্থানে শঙ্করাচার্য্য ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন কি না ? • 8&S বলা হইয়াছে যে, নিগুণ ব্ৰহ্ম—অব্যাকৃত, শক্তি হইতেও পৃথক। ইহার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে না পরিাতেই নিগুৰ্ণব্ৰহ্মকে সগুণব্ৰহ্ম হইতে নিতান্ত ভিন্ন বলিয়া লোক ধরিয়া লইয়াছে। ব্ৰহ্মপদার্থ প্রকৃতপক্ষে অনন্তজ্ঞান ও অনন্তশক্তিস্বরূপ, যে কয়েকটা শক্তি মিলিয়া মিশিয়া জগৎরুপে দেখা ਿ যে জ্ঞান জগতে প্রকাশিত হইয়াছে –সেই কয়েকট শক্তি ও জ্ঞান কি ব্রহ্মের অনন্তশক্তি ও অনস্তজ্ঞানের ইয়ত্ত করিতে পারে ? কখনই না । ইহাই বুঝাইবার জন্ত, শঙ্কর সগুণ ব্ৰহ্ম ছাড়াও নিগুণত্রহ্মের স্থান রাখিয়াছেন। অনন্তশক্তি স্বরূপ ব্রহ্ম, কয়েকটমাত্র শক্তিকে যেন আপন হইতে পৃথক । করিয়া দিয়া, তদ্বারা জগৎস্যষ্টি ও জগৎপালন করিতেছেন । এই তত্ত্বই, পুরুষস্থক্তের “যজ্ঞে”—ব্রহ্মের আত্মত্যাগে প্রদর্শিত হইয়াছে। ব্ৰহ্ম জীবের কল্যাণার্থে আত্মত্যাগ করিয়াছেন,–নিজেরই কতকগুলি শক্তিকে যেন কিছু পৃথক্ করিয়া দিয়াছেন এবং তদ্বারা জগৎস্যষ্টি ও পালন করিতেছেন। এই উদ্দেশুেই নিগুণ ব্ৰহ্মকে,—অব্যাকৃত শক্তি হইতে পৃথক্ বলা হইয়াছে। কিন্তু শক্তি,–ব্রহ্ম হইতে পৃথক নহে, উহা ব্ৰহ্মই । শঙ্কর-ভায্যের রত্নপ্রভাটীকাকার বেদান্ত দর্শনে এ কথা স্পষ্ট করিয়া বলিয়াছেন । “নিতাস্যাপি জ্ঞানস্য ব্রহ্মস্বরূপাদভেদং কল্পয়িত্ব কাৰ্য্যত্বোপচারাৎ ব্রহ্মগ্ৰস্তৎকর্তৃত্বব্যপদেশ" (১।১৫)। এই টকাটুকু বুঝা নিতান্ত কৰ্ত্তব্য। আমরা উপরে দেখিয়াছি, শক্তি দ্বারাই ব্ৰহ্ম জগতের কারণ। শক্তি দ্বারাই ব্ৰহ্ম জগতের কর্তা। শক্তি সংসর্গে জগতের যে নানাবিজ্ঞান প্রকাশিত হইতেছে, ব্ৰহ্ম সেই বিজ্ঞানেরও কৰ্ত্ত ; সুতরাং ব্ৰহ্ম সৰ্ব্বজ্ঞ। এখন কথা হইতেছে যে, যাহার নিত্যজ্ঞান ও নিত্যশক্তি,—র্তাহাকে সেই শক্তি ও জ্ঞানের ‘কৰ্ত্তা’ও ‘জ্ঞাতা কিরূপে বলা যায় ? বিকার বা কাৰ্য্য না থাকিলে, কর্তৃত্ব ও জ্ঞাতৃত্ব হইতে পারে না । কোন ক্রিয়া-বিশেষের আমরা কর্তা, এবং কোন জ্ঞানবিশেষের আমরা জ্ঞাতা । ব্ৰহ্ম, নিত্যশক্তি ও নিত্যজ্ঞানস্বরূপ। সুতরাং তিনি কৰ্ত্ত ও জ্ঞাত হইবেন কিরূপে ? ভাৰ্য্যকার ও টীকাকার এই প্রশ্নেরই উত্তর দিতে গিয়া যাহা বলিয়াছেন, তাহা বুঝিলেই সকল গোল মিটিয়া যায়। লোকে এই সকল মীমাংসা তলাইয়া বুঝেন বলিয়াই, শঙ্করের নামে যা তা’ বলিয় বেড়ায় । ফলতঃ, ব্ৰহ্ম নিত্যজ্ঞান ও নিত্য