পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8やo পিতা নবজামাতাকে সম্বোধন পূৰ্ব্বক বলিয়া দেন, “ইহাকে (স্বীয় কস্তাকে জামাতার হস্তাপিত করিয়া) গ্রহণ কর। আমি বড় সাধ করিয়া ইহাকে তোমার হস্তে অর্পণ করিলাম । এ নিতান্ত বালিকা, গৃহকৰ্ম্ম কিছুই জানে না। যদি কোন সময়ে তুমি কৰ্ম্মস্থল হইতে আসিয়া দেখ যে, ভাত গুড়াইয়া ফেলিয়াছে, অথবা তদ্রুপ আর কোন দোষ করিয়াছে, তবে তাহাকে শিক্ষা দিও, প্রহার করিও না। এরূপে তিন বৎসর চলিয়া গেলেও যদি অনিষ্ট করিতে থাকে, তাহা হইলে প্রহার করিতে পার, তজ্জন্ত আমি অসন্তুষ্ট হইব না। কিন্তু একবারে প্রাণে মারিয়া ফেলিলে, আমি তোমা হইতে প্রাণের মূল্য দাবী করিব।” অনন্তর কন্যাপক্ষীয় সকলে এবং অপরাপর আত্মীয়স্বজনদিগেরও প্রায় অনেকে বিবাহ বাড়ী হইতে বিদায় গ্রহণ করে। বিবাহের দুই তিন দিন পরে বর নানাবিধ মস্ত এবং পিষ্টকাদির সহিত নবোঢ়াসমভিব্যাহারে শ্বশুরালয়ে গমন করে এবং তথায় দুই চারি দিন অবস্থানের পর সস্ত্রীক চলিয়া আইসে। ইহারই নাম “বিবাহের “ছুইদ ভাঙান” অর্থাৎ ইহাতেই বিবাহজনিত অপবিত্রতা (?) নষ্ট হইয়া যায়। এমন কি, ইহা না হইলে নবদম্পতীর একত্র বাসও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে এবং তাহারা অপর কাহারও মঞ্চেও * উঠিতে পারে না। চাক্মাসমাজের ইহা অতিশয় উল্লেখযোগ্য সংস্কার । বর তুলিয়া আনিয়া বিবাহ এবং উপরিবর্ণিত বিবাহ পদ্ধতিতে বিশেষ কোন প্রভেদ নাই; কেবল বর-আলয়ের কার্য্যগুলিও কন্যার পিত্রালয়ে হইয় থাকে মাত্র। ইহাতে বরযাত্রীদিগের সহিত বরও গিয়া থাকে। তাহারা যাহতে বিবাহ দিন প্রাতে পাত্রীর পিত্রালয়ে উপস্থিত হইতে পারে, সেই হিসাবে যাত্রা করে। বলা বাহুল্য, ‘বর তুলিয়া বিবাহে “বিবাহের ছুইদ ভাঙাইবার” প্রয়োজন হয় না ।

  • ইহুদিগের মধ্যে সাধারণ অ বসবাস চালাইরা থাকে উচ্চশ্রেণী হইতেও ইহা অদ্যপি সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত श्य नाई। मङ्गाख करग्रक अद्रिषारग्न भांज बात्रांशैौ अश्रूकब्रट्न शृशनि প্রস্তত্ব করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। প্রত্যুত কেবল চাক্মাগণ বলিয়। माइ, भोर्लङ छाडि भाष्जब्र३.श्रेष्ट्री पापश्। ब्रिशकिङ श्झ।

প্রবাসী। - বস্থাপন্ন প্রায় সকলেই মঞ্চোপরি { ৭ম ভাগ । বড় বিবাহ । } রাজপরিবার এবং সম্রাস্ত দেওমান পরিবার ভিন্ন অপর সাধারণে এ বিবাহের অধিকারী নহে* । ইহা একপক্ষে যেমন ব্যয়সাধ্য পক্ষান্তরে তেমনি বংশমর্য্যাদা সাপেক্ষ । বিবাহের আনুষঙ্গিক অপরাপর কার্য্য—পাত্ৰী তুলিয়া বিবাহেরই অনুরূপ। তবে সেই সঙ্গে আড়ম্বরাদির ত কথাই নাই। অধিকন্তু তিন খানি গৃহ নিৰ্ম্মিত হয়, তাহার এক ঘরে বরপক্ষ, আর এক ঘরে কষ্ঠাপক্ষ থাকেন। অপর গৃহ খানি “ফুল ঘর” নামেই আখ্যাত। তাহাতে নবদম্পতিকে যথাবিধি বসাইয়া ঠাকুর (ভিক্ষু ) ‘জয়মঙ্গলস্বত্র’ রূপান্তরে “সিগলমোগলতারা” পাঠ করিয়াশুনাইয়া থাকেন। পূৰ্ব্বকালে সাধারণ বিবাহেও এই “তারা” ( শাস্ত্রগ্রন্থ ) পঠিত হইত ; এক্ষণে প্রায় অস্তৰ্হিত। এই “বড় বিবাহে"ও নবদম্পতীকে “ছু ইন্দ্রভাঙাইয়া” আসিতে হয়। গৃহ জামাত । যাহারা নিতান্ত সম্বলহীন এবং যাহাদের পরিবারে অপর কেহ নাই, তাহার শ্বশুরবাড়ীতে গিয়া শ্বশুরেরই ব্যয়ে বিবাহ করিয়া থাকে। পাত্ৰ তুলিয়া লইয়া বিবাহের সহিত ইহার অনেক সাদৃশু রহিয়াছে। গৃহ জামাতা হইলেও আজীবন শ্বশুরবাড়ীতে অবস্থান অধুনা প্রায় ঘটয় উঠে না। অনেকেই আপনাকে পরিবারচালনক্ষম বুঝিলে স্ত্রীকে লইয়া সরিয়া পড়ে। যাহা হউক, বর্তমানে এই শ্রেণীর বিবাহ কদাচিৎ পরিদৃষ্ট হয়। হিন্দুসমাজ হইতেও ইহা বহুপরিমাণে কমিয় গিয়াছে। নতুবা কুলীন পরিবার যেরূপ ভারগ্রস্ত হইয়া উঠিতেছিল, এতদিন উহা সেই ভাবে প্রবল থাকিলে সম্ভবত এতদিনে হিন্দুসমাজ বিধ্বস্ত হইয়া যাইত ! মনোমিলনে বিবাহ । ত্রিপুরাসমাজে এই বিবাহ “হিকনানানী” আখ্যায় প্রথিত । এাচীনকালে হিন্দুসম্প্রদায়ে যে স্বয়ম্বর প্রথা ছিল, অধুনা পাশ্চাত্য প্রদেশের "কোর্টসিপ” (Courtship) এবং ব্রাহ্মসমাজের মনোমিলন পদ্ধতিতে তাহার কিঞ্চিৎ গন্ধ

  • * এমন কি, ইহাদের সমাজে জাতীয় রাজাদেশ ব্যতিরেকে সাধারণ চাক্ম পরিবারে কেহ কোন স্বর্ণাভরণ, অধিক কি "বাজু”, “চন্দ্রহার" এবং পায়ের “মল” প্রভূতি রৌপ্যালঙ্কারও ধারণ করিতে কিংবা সম্রাঙ্ক পরিয়ারের স্বায় অবরোধগ্ৰখ প্রবর্তনে সমর্থ মহে । .