পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8૭૭ সেখানে নরকঙ্কাল বাহির হই কালে সেই ভূমি সুজলা সফল ছিল, কালে আবহ অবস্থার পরিবর্তনে মরুতে পরিণত হইয়াছে। নরকঙ্কাল দেীিয় মিশরের আদিমবাসীদিগকে" আসীয় বংশ বলিয়া জানা যাইতেছে । সেই সকল মরশরীর এমন অবিকৃত আছে যে অস্ত্র পাকস্থলীতে খাদ্য, এমন কি ঔষধ পর্য্যন্ত আজো অবিকৃত আছে। তাত দেখিয়া তদানীন্তন কালের খাদ্যপেয় ঔষধ প্রভৃতির স্বরূপ অবগত হওয়া যাইতেছে। বৈজ্ঞানিকগণ সেই সকল শরীর দেখিয়া তাহাদের মৃত্যুকারণও স্থির করিয়াছেন ; কেহ মুত্রস্থালীর পীড়ায়, কেহ পাথুরী রোগে, কেহ বিকৃত অস্থির জন্য মারিয়াছে বুঝা যায়। এই সকল মনুষ্যের সহিত অধুনাতন অধিবাসীর আশ্চৰ্য্য সাদৃশ্ব দেখা গিয়াছে। এই বিপুল কালের মধ্যেও সেই আদিম মনুষ্যের বংশপরম্পরায় কোন পরিবর্তন ঘটে নাই । তাহাদের মধ্যে অভিব্যক্তি স্থগিত হইয়া আছে, ইহা আশ্চর্য্যের বিষয় বটে। কবরের মধ্যে তদানীন্তন কালের আচার ব্যবহার, জীবন যাপন পদ্ধতি প্রভৃতির ইতিহাস প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে। তাহাদের অস্ত্ৰ শস্ত্র প্রস্তরনিৰ্ম্মিত। তখনই সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি তাহাদের মধ্যে জাগ্রত হইয়াছিল ; অস্ত্রের বাট সাপ বা অন্তান্ত জন্তুর মস্তকের অনুকরণে অঙ্কিত। মৃৎ পাত্রে বহুবিধ মূৰ্ত্তি অঙ্কিত। ধাতুর চিহ্ন মাত্র নাই। বোধ হয় ধাতুর ব্যবহার তখনো জ্ঞাত হয় নাই। কবরের মধ্যেও মনুষ্য শরীর অবিকৃত রাখিবার চেষ্টা সেই ইতিহাসতীত কালেও মিশরবাসীর আয়ত্ত হইয়াছিল দেখা যায়। তৎকালে ঘাসের বুনোট চ্যাটাইয়ের মধ্যে লবণ মাখান মৃতদেহ জড়াইয় রাখা হইত। সেই মৃতদেহের সঙ্গে অস্ত্ৰ শস্ত্র থাস্থ্যপেয় কবরে রাখা হইত, ইহার নিদর্শন পাওয়া যায়। কবরগুলি বৃত্তাভাসের আকারে বা চৌকা করিয়া তৈয়ার হইত। ঘাসের মাদুর চাপা দিয়া তাহার উপর মাটি ঢাকা দেওয়া হইত। সকল দেহগুলি একই রকমে রক্ষিত দেখা গিয়াছে। ছাঁটু মুড়িয়া তাহার উপর দাড়ি রাখিয়া পাশ ফিরিয়া শোয়ান। প্রবাসী । हेश প্রমাণ করিতেছে যে এক- বোধ হয় এইরূপ করিয়া গোর শহতামলা মনুষ্যবাসোপযোগী ছিল । - [ ৭ম ভাগ । ب -عه همه - »، مهم. به همهء «ه»...چ ۰۰: দেওয়াই তাৎকালিক প্রণ স্ত্রীলোকের কবরের মধ্যে চুড়ি, বালা, চিরুণী, বাকষ্ট, মালা প্রভৃতি পা ৫য়া গিয়াছে। নাগা-এডু ডার.বোধ হয় সমগ্রদেশের গোরস্থানরূপেই ব্যবহৃত হইত। কারণ সেখানে বহুকালের ভিন্ন ভিন্ন নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। রোমসম্রাট জষ্টিনিয়নের নামাঙ্কিত মুদ্র কোন কোন কবরে পাওয়া গিয়াছে। তাৎকালিক কবরের মধ্যে মালা, কণ্ঠহার, বালা চুড়ি, কাণের মাকড়ি, আংটি, মাথার মুকুট, ক্রুশযুক্ত গহনা, প্রভৃতি পাওয়া গিয়াছে। ঐ সকল ব্রোঞ্জ ধাতু নিৰ্ম্মিত, এবং কোন কোনটা গিল্টী করা । পরবর্তী কালের “মমী" অর্থাৎ মস্লাদ্বারা রক্ষিত শরীরের আবরণ খুলিয়া অতি চমৎকার স্বগ্ন বস্ত্র, রত্নাভরণ, শিল্পকলার নিদর্শন, জ্যামিতিক চিত্র, নরনারীর মূৰ্ত্তি প্রভৃতি পাওয়া গিয়াছে। তৎকালে যথেষ্ট শিল্পোন্নতি হইয়াছিল বুঝিতে পারা যায়। সিংহল দ্বীপেও সংপ্ৰতি একটি সহরের ধ্বংসাবশেষ ভূগর্ভ হক্টতে আবিষ্কৃত হইয়াছে। সেই সহরে খুষ্টজন্মেরও বহু পূৰ্ব্বে চরম সভ্যতা প্রস্তত হইয়াছিল, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পূঞ্জীভূত হইয়া রহিয়াছে। এই দুই পুরাতত্ত্ব সায়েন্টিফিক আমেরিকান হইতে সংগৃহীত হইল। ইটের ইতিহাস । ইট আমাদের এত পরিচিত যে তাহ যে কোন কালে ছিল না, এবং মানুষ তাহা বুদ্ধি খরচ করিয়া উদ্ভাবন করিয়াছিল ইহা আমরা ভাবিয়াও দেখি না। অতি পুরাতন ' ভূগর্ভ উখিত জনপদের ধ্বংসাবশেষেও ইটের চিহ্ন দেখা যায়। সে তবে মনুষের ইতিহাসের কোন অতীত কাল যবে মানুষ ইট গড়িতে জানিত না । সায়েটিফিক্ আমেরিকান পত্রিকায় ইটের ইতিহাস প্রকাশিত হইয়াছে, তাহারই সার সঙ্কলন এখানে লিখিত হইতেছে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় নিযুক্ত অধ্যাপক ই, জে, ব্যাঙ্কস ব্যাবিলোনীয়ার মধ্যে একটি সহর খুঁড়িয়া বাহির করিয়াছেন। অধ্যাপকের মতে ইহা পৃথিবীর প্রাচীনতম সহর ।