পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম সংখ্যা । ] একটি মন্দিরের আবর্জন রাশির মধ্যে একটি প্রস্তর পাত্র નામ গিয়াছে, তাহার গায়ে হাতির দাত বসাইয়া নানাবিধ চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে। এবং সেই সঙ্গে কতকগুলি ষ্ট্রট ও পাওয়া গিয়াছে । SEETCH of the DESIGN on THE WASE প্রস্তর পাত্রের গায়ে আঁকা ছবির নক্সা। প্রস্তরপাত্রের গায়ে তেরটি নরমূৰ্ত্তি খোদিত দেখা tয় । বোধ হয় ইহা কোন বিজয়ী রাজার শোভালান্ত্ৰা । ধ্যে দু’জন সপ্ততন্ত্রী ও পঞ্চতন্ত্রী বাদ্যযন্ত্র বাজাইতে বাজাইতে লিয়াছে, তাহদের পশ্চাতে মুকুটধারী রাজা, তাহার টোতে একজন বালক ও একজন স্তাবক। নগরবাসী কলে পল্লবনিৰ্ম্মাল্য হস্তে চুটিয়া আসিতেছে। কাহারে েিত নিৰ্ম্মাণ্য আছে, কেহ বা রাজার উদ্দেশে বর্ষণ করিয়াছে কানটা শূন্যে আছে, কোন কোনটা নীচে মাটিতে ড়িয়াছে। এই সকল নরমূর্তির নাসিক খগরাজকে বিষম লজ্জা দয়া লম্বা করিয়া অঙ্কিত। সকলে দিব্য ক্ষেীর পরিস্কৃত, স্তকের কেশ দীর্ঘ বেণীবদ্ধ। সকলের মাথায় টুপি, দস্থ ব্যক্তির টুপিতে একটা করিয়া ফিতার মত জড়ান, iজার টুপিতে তিনটি ছটা লাগান । এই পাত্র প্রায় ছয় হাজার বৎসর পূৰ্ব্বের ইতিহাস ংন করিতেছে । ইহার বয়স অধ্যাপকের আন্দাজে ৪৫০০ পুৰ্ব্বাদ যে সকল ইট পাওয়া গিয়াছে তাহ প্রথম সোপেটেমিয়াতে ১০০ ০০ বৎসর পূৰ্ব্বে ব্যবহৃত হয়। সোপোটেমিয়" সমতল জমি, সেখানে পাথর নাই । {থানে প্রথমে છે. নলঘাস প্রভৃতি উদ্ভিদ দ্বারা নিৰ্ম্মিত তি। পরে গৃহ একটু মজবুত করিবার ইচ্ছায় কাচ টর দেয়ালের প্রচলন হইয়া থাকিবে। পরে অভিজ্ঞতায় সংগ্রহ । g 8७१ ইহা দেখা গিয়াছিল যে, মাটি কোন মাকারে গড়িয়। রৌদ্রে শুখাইলে অধিক শক্ত হয় । এইরূপে প্রথম ইটের সূত্রপাত । বিস্ময় নামক স্থানে গভীর ভূ-প্লোথিত ঐকুধু ইটের দেয়াল বহু আবিষ্কৃত হইয়াছে। এইরূপ রৌদ্রপক ইটে শুধু যে সাধারণ লোকের গৃহ নিৰ্ম্মিত তাহা নহে, মন্দির ও রাজপ্রাসাদ প্রভৃতিও নিৰ্ম্মিত হইত। ৪৫০০ খৃষ্টপূৰ্ব্বে হয় ত’ কোন অৰ্দ্ধনগ্ন ব্যাবিলনীয় উনানের মধ্যে নরম কাদা পুড়িয়া শক্ত হইতে দেখিয়া ইটের উদ্ভাবন করিয়াছিল। প্রথম নিৰ্ম্মিত ইট সুগঠিত হয় নাই, তাহার তলা চ্যাপ্টা, উপর গোল ঢালু। এই সকল ইট ছোট ছোট ও পাতলা । কালক্রমে উহার আকার বড় এবং আয়তক্ষেত্রবৎ হইয়াছিল। এখন যেমন ইটের উপর ব্যবসায়ীর নাম মুদ্রিত করা হয়, ছয় হাজার বৎসর পূৰ্ব্বের ব্যাবিলনীয় আপনার অঙ্গুষ্ঠের বা লাঠির ছাপ নরম কাদায় অঙ্কিত করিয়া ইট চিহ্নিত করিত। যখন ইটের আকার বদ্ধিত হইল, তখন লম্বালম্বি একটা রেখা কাটিয়া দেওয়া হইত ; পরবর্তী বংশায়ের সেই রেখা কৰ্ণ করিয়া টানিত, তৎপরবর্তীকালে উহ দুইটি কর্ণ করিয়া চিহ্নিত হইত। চতুর্থ বংশশাখা দুইটি লম্বালম্বি সমান্তরাল রেখা চিহ্নস্বরূপ ব্যবহার আরম্ভ করে। পঞ্চমসম্প্রদায় সমান্তরাল রেখা কর্ণক্রমে টানিতে থাকে ; এবং এইরূপ পর্য্যায়ক্রমে ৩, ৪, ৫ লাইন পৰ্য্যস্ত চিহ্ন দেখা যায়। তখন হয় ত সেই বংশের লোপ হওয়ায় আর রেখার ংখ্যা বৃদ্ধি হইতে পারে নাই । ৩৮০০ খৃষ্টপূৰ্ব্বাদে সেমাইটগণ ব্যাবিলনীয় ও সারগন আক্রমণ করে । তাং কালিক রাজ ইট চেীকা করিয়া তুলিয়াছিলেন এবং তদাকৃতি ইট আজো ঐ প্রদেশে প্রচলিত দেখা যায় । তিনি ইটের উপর রেখাচিহ্নের পরিবর্বে আপনার নাম ও উপাধি খোদিত করাইয়া ইট প্রস্তুত করাইতেন। তাহার পুত্র নরম সিং সারগনের ইট অত্যন্ত বড় মনে করিয়া কিঞ্চিং ছোট করিবার আদেশ করেন । সেই ইটেই ব্যাবিলনে নেবুকাডনেজারের প্রাসাদ নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল এবং ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের ধ্বংসকাল পর্য্যস্ত সেই ইট প্রচলিত ছিল ।