পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী । . ". ... * مميائي ميوه لويه : ફ્રેન નન ગ-- খৃষ্টপূৰ্ব্বাদ হইতে আরম্ভ দেখা যায় - সব ইটেই নাম লেখা ইষ্টত না। কাহাতেও লেখা খোদ হইত, কাহাতেও ছাপ মারা হইত। নরম সিঙের টুটে লিপিতৃ দেখা যায়—’নরম সিং, ইস্তারের মন্দিরনিৰ্ম্মাতা’। পরবর্তী নৃপতিগণের ইষ্টকলিপি দীর্ঘ এবং প্রায় সবই ইটের লিখিত হইত। ২৭৫০ খৃষ্টপূৰ্ব্বের ইটের ২০টার মধ্যে ১টাতে ৯ লাইন করিয়া লিপি পাওয়া গিয়াছে। প্রসিদ্ধ রাজা নেবুকাডনেজারের সময়ের ইটের লিপি নেবুকাডনেজার, ব্যাবিলনের রাজা, ইসাগিল ও ও এজিদ মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা, ব্যাবিলনের রাজা স্তাবেপোলাসারের প্রথমজাত পুত্ৰ’ । ২৮০০ খৃষ্টপূৰ্ব্বাদের মিস্ত্রীরা বুঝিয়াছিল যে ঠিক ঠাস করিয়া দেয়াল গাথিতে অনেক সময় ইট ভাঙিয়া বসাইতে হয় । তখন আধলী ইটও তৈয়ারি হইতে আরম্ভ হয় । সেই আধলা ইটের আকার আমাদের দেশের অধুনা প্রচলিত ইটের মত। সভ্যতার পূর্ণতার সঙ্গে ব্যাবিলনীয়গণ দেয়ালের কোণ, গোল থাম ও ইদারা এবং কারুকার্য্যের জন্ত গোল, গোলাৰ্দ্ধ, তেকেশন, তেরছা প্রভৃতি নানা আকারের ইট গড়িতে আরম্ভ করে । কোন ইট বা চৌকা, তার এক পিঠ কুঞ্জ, অপর পিঠ মুক্ত, এবং কোনটার বা একটা কোণ হষ্টতে একটা চৌকা অংশ কাটিয়া বাদ দেওয়া । 8a - o BogáttT FIN-Ns (planoconvex) šis ব্যবহৃত হইতে আরম্ভ হয়। সেই ইট বসাইতে আলকাতর। জাতীয় বিটুমেন মসলারূপে ব্যবহৃত হইত। ইহা যুফ্রেতিস নদীর উষ্ণ প্রস্রবণে কাদার সঙ্গে মিশ্রিত পাওয়া যাইত । নেবুকাড়নেজারের পূৰ্ব্বে চুণের ব্যবহার আরম্ভ হয়। চূণ আরব-আধত্যকা হইতে সংগৃহীত হইত। তৎপরে চুণই প্রধান মসলা হইয়৷ দাড়ায়। এই সকল ইটের গঠন পারিপাট্য, কাঠিন্য, স্থায়িত্ব, সুদৃষ্ঠত কখন কোন কালে পরাজিত হয় নাই। বিসমীয়াতে ৪৫০০ খৃষ্টপূৰ্ব্বের যে সব ষ্টট পাওয়া গিয়াছে, তাহা যেন আজিকার টাটকা গড় ইট ধলিয়া মনে হয়। পরবর্তী কালে যখন ইট পালিশ করিবার রীতি প্রবর্তিত হয়, তখন বহু জীবজন্তুর মুৰ্ত্তি রং-বেরঙে রঞ্জিত করিয়া ইটের গায়ে উচু করিয়া (in relief) গড়িয়া তোলা হইত। [१भ उांऽ । সেই সকল চিত্র এত সুন্দর ও সুগঠিত যেন নিপুণ ভাস্কর বহু প্রযত্নে এক একটিকে খুদিয়া যাহির করিয়াছে। এই আবিষ্কার স্থাপত্যপুরাবিদের যেমন আদরণীয়, সাধারণেরও তেমনি কৌতূহলোদ্দীপক সন্দেহ নাই। এবং ইহ প্রতীচ্যের উপর প্রাচ্যের আর একটি নূতন বিজয় ঘোষণা । দেীক্ষাসব । দ্রাক্ষাকুঞ্জবনে ‘রসভরে অসহ উচ্ছ, সে গুচ্ছে গুচ্ছে পুঞ্জে পুঞ্জে থরে থরে যবে ফল ধরে, তখন অঞ্চল ভরিয়া সেই বসন্তের নিটোল সুন্দর ফলগুলি উপভোগ করিতে কাহার না ইচ্ছা হয় । of man, সেই দ্রাক্ষা কাহার না প্রিয়, কে না তাহার সেই নিটোল সুন্দর রসভরা টুলটুলে রূপটুকু এক চুমুকে নিঃশেষ করিয়া উপভোগ করিতে চায় ? চায় সকলেই, কিন্তু নিন্দনীয় হইয়াছে শুধু মাতাল বেচারা। এমন কোমল অভিমানী ফলগুলি, যাহার ওষ্ঠের কোমল চাপে ফাটিয়া টুটিয়া যায়, তাহাদের প্রাণের মধ্যে এমন সৰ্ব্বনাশী নেশা আসে কোথা হইতে ! পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের মধ্যে নেশা বুঝি অনিবাৰ্য্য ! সত্য শিব সুন্দরের যে চরম মঙ্গলময় সৌন্দর্য্য डाई কি নেশা-ছাড়া ? هبة দ্রাক্ষার ক্ষুদ্র জীবনের ইতিহাসে যে কবিত্ব সঞ্চিত আছে তাহ চিন্তা করিলেই নেশা হয়, উপভোগ করিলে যে মাতাল চইব, পাগল হইব তার আর আশ্চৰ্য্য কি !" ভাবিয়া দেখ দ্রাক্ষাকুঞ্জবনে গুচ্ছ গুচ্ছ ধরিয়াছে ফল’ ; সুন্দরী রমণীগণ দলে দলে বসন্তবাহার রাগিণীতে গাহিয়া হাসিয়া জুলিয়া নাচিয়া লুটে নিল ভরিয়া অঞ্চল’ বসন্তের ‘জীবনের সকল সম্বল’ ; তার পর শোণিতরাগ-অরুণিত চরণাঘাতে অভিমানী ফলগুলি টুটিয়া ফাটিয়া মধুর রসধারা বহিয়া যায় ; তার পর সেই রস গাজিয়া ফাপিয়া উচ্ছসিত হইয়া মাদক হইয় উঠে। যেখানে রস সেখানে উচ্ছ,সি, যেখানে রসোচ্ছ,সি সেখানে মাদকতা ! দ্রাক্ষ রস গাজিয়া পচিয়া মাদক স্বরা হইয় উঠে। এক প্রকার জীবাণুর সংস্রবে রস পচিয়া গাজিয়া উঠে। এই জীবাণু প্রবেশ রোধ করিলে মধুর দ্রাক্ষরসে মাদকত জন্মিতে পারে না ; মধুর দ্রাক্ষারস সকলের স্বাস্থ্যপ্রদ স্বাছ CN “makes glad the heart