পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ફેંકર এই দ্বিবিধ আপত্তি খণ্ডন করা এখন আমাদিগের উদ্দেশু। সৰ্ব্বজনবিদিত হইলেও রামায়ণবর্ণিত সীতা কর্তৃক লক্ষণের প্রতি কটুক্তির পূর্ববর্তী ঘটনাবলী আর একবার স্মরণ করাষ্টয়া দেওয়া প্রয়োজন মনে করিতেছি। সীত দেবীর ঐকান্তিক অনুরোধে শ্রীরামচন্দ্র স্বর্ণমৃগবধার্থ কাননে প্রবিষ্ট হইয়াছেন। যাইবার পূৰ্ব্বে তিনি লক্ষ্মণের প্রতি আজ্ঞা প্রচার করিয়া গিয়াছেন যে তুমি কুটীরে থাকিয় বিশেষ সাবধান হইয়া সীতাকে রক্ষা করিবে । রামভক্ত লক্ষ্মণ সেই কাৰ্য্যসাধনে তৎপর হইয়া কুটীরে অবস্থান করিয়া সীতার রক্ষণাবেক্ষণ করিতেছেন, এমন সময়ে কাননাভ্যস্তর হইতে রামস্বরবতকণ্ঠে কে কাতরস্বরে ডাকিয়া উঠিল—হ লক্ষ্মণ ! হা সীতে ! এই স্বর শুনিয়া লক্ষ্মণ বিচলিত হইলেন না, কারণ তিনি বুঝিয়াছিলেন যে এ কোনও মায়াবীর প্রবঞ্চন মাত্র । কিন্তু রামের আর্তস্বর গুনিয়া ও তাহা শ্রীরামচন্দ্রই উচ্চারণ করিয়াছেন ভাবিয়া—সীতাদেবী অতিশয় বিচলিত হইলেন । তিনি লক্ষ্মণকে বলিলেন— 强é弱●蛇器邸●歌গচ্ছ জানীতি রাঘবম্ ॥ নহি মে জীবিতং স্থানে হৃদয়ঞ্চাবতিষ্ঠতে । ক্রোশতঃ পরমাৰ্ত্তস্ত এতঃ শব্দে ময়াভূশম্ ॥ আক্রঙ্গমানন্ত বনে ভ্রাতরং ত্রাতুমৰ্হসি । তং ক্ষিপ্ৰ মভিধাব ত্বং ভ্রাতরং শরণৈষিণম্। এই সময়ে সীতাদেবীর অবস্থা কেমন তাহ র্যাহারা সীতাদেবীর পতিপ্রেম—ৰ্তাহার চরিত্রের মূলতত্ত্ব—সম্যকৃ ধারণা করিতে পারিবেন তাহারাই কেবল বুঝিতে সুক্ষম হইবেন । রামচন্দ্র সীতাদেবীকে জানিতেন তাই মারীচের হা সীতে ! হা লক্ষ্মণ ! শব্দ শুনিয়াই তিনি আশঙ্কায় উৎকষ্ঠিত হইয়াছিলেন। র্তাহার মনে স্বতঃ চিন্ত উপস্থিত হইয়াছিল— রামে ক্লধির সিক্তাঙ্গt চেষ্টমানং মহীতলে। জগাম মনসা সীতাং লক্ষ্মণস্ত বচঃস্ময়ন ॥ 率 率 寧 寧 হা সীতে লক্ষ্মণোত্যৰ মাত্র দ্য তু মহাশ্বনম্। - মমীর রাক্ষসঃ সোয়ং শ্ৰুত্ব সীতা কথং ভবেৎ ॥ লক্ষ্মণও তাহ বুঝিয়াছিলেন। তাই রামচন্দ্রকে তিনি কহিয়াছিলেন – - স। তমাৰ্ত্ত স্বরং শ্রজা তব স্নেহেন মৈথিলী। গচ্ছ গচ্ছেত্তি মামাছ রুদন্তী ভয়বিক্লবা । 学 率 率 寧 প্রবাসী | [ १अ डां★ । উৰাচাঙ্কণি মুঞ্চস্তী দারুণং মমিদংবচঃ। ফলতঃ রামের সমূহ বিপদ ভাবিয়া রামময়জীবিত সীতার হৃদয় কতদূর দুঃস্থ হইয়াছিল তাহা যতক্ষণ বুঝিতে না পারা যাইবে ততক্ষণ সীতার তখনকার আচরণ ও কথা বুঝা যাইবে না। সীতা তখন আত্মহার, তাহার পতিদেবতার তাহার জীবনের জীবন, তাহার প্রিয়তমের অমঙ্গল নিশ্চয় হইয়াছে, এই চিন্তায় তাহার সমস্ত হৃদয় অভিভূত হইয়াছে, সমগ্র বিশ্ব র্তাহার হৃদয় হইতে দুরে অপস্থত হইয় তাহার পতির চিন্তা সেখানে পুর্ণমাত্রায় অধিকার বিস্তার করিয়াছে। এমন অবস্থায় লক্ষ্মণ তো তাহার কথা শুনিয়া রামকে উদ্ধার করিতে গেলেন না। কেন গেলেন না তাহ আমরা জানি— বাল্মীকি তাহ বলিয়া দিয়াছেন ঃ-- “ন জগাম তথোক্তন্তু ভ্রাতুরাজ্ঞায় শাসনমূ।” কিন্তু সীতার তখন তাহ বুঝিবার সম্ভাবনা আদেী ছিল না। রামের বিপদে রামকে উদ্ধার করিতে না যাইয়া সেই মুহূর্তেই লক্ষ্মণতাহার কাছে সৰ্ব্বগুণহীন হইয়া দাড়াইয়াছেন। সীতার হৃদয়ে তখন অন্তচিন্তার বা হিতাহিত বিবেচনার অবসর ছিল না । তিনি তখন চৈতন্ত-হীন, লক্ষণের নিজের কথায় “পরিমোহিতচেতনা”। তাই তিনি ভাবিলেন যে লক্ষ্মণ যখন রামের এমন বিপদে সাহায্য করিতে অগ্রসর হইতেছেন না, তখন বুঝি লক্ষ্মণ রামের যথার্থ ভক্ত নহেন, তিনি রামের শক্র, বুঝি লক্ষ্মণের কাছে রামের বিপদই প্রার্থনীয়। যদি লক্ষ্মণের বীরত্বে সন্দিহান হইবার কোনও কারণ থাকিত তবে হয় তো সীতাদেবী ভাবিলেও ভাবিতে• পারিতেন যে ভয়ে লক্ষ্মণ রামের সাহায্যে অগ্রসর হইতেছেন না, কিন্তু সে সন্দেহ তো তাহার নাই। তখন স্বভাবতঃই তাহার মনে হইল যে লক্ষ্মণ রামের শত্ৰু, লক্ষ্মণের মনে কুবাসনা আছে, নচেৎ কেন এমন হয় ? সামর্থ্য সত্ত্বেও কেন লক্ষ্মণ রামকে সহায়তা করিতে যাইতেছেন না ? তাই তিনি অতিশয় ব্যাকুলভাবে লক্ষ্মণকে ভৎসনা করিয়া কহিলেন – "সৌমিত্রে মিত্ররূপেণ ভ্রাতুৰমসি শঙ্কৰং। খবমতামবারা ভ্রাতরং নাভিপস্তসে ইচ্ছসিত্বং বিনশ্চন্তং রামং লক্ষ্মণমৎকৃত্বে। লোভাক্ত মৎকৃতে লুনং লাস্কগচ্ছসি রাবৰম্। বাসনং তে প্ৰিয়ং মস্তে স্নেহে ভ্রাতরি নাস্তিতে । • cठन डि♚नि षिअक९ ठम*छम् भशष्ठाठिन् ॥