পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] - ماههای مهمی ایدهه هیچهها چه ۶۰ ع - یه-****************شsره কিং হি সংশয়মাপয়ে তম্মিল্লিছ ময়াভযেৎ । কৰ্ত্তবামিহ তিষ্ঠত্যাঃ যৎ প্রধানত্ত্বমাগঔঃ ॥ এই তিরস্কারের সহিত মেঘনাদবধের তিরস্কারোক্তিট তুলনা করিলে দেখা যাইবে যে শেষোক্ত তিরস্কারটা তীক্ষতায় প্রথমোক্ত তিরস্কারের অপেক্ষা অনেক কম। কিন্তু সেই তিরস্কার গুনিয়াই মেঘনাদবধের লক্ষ্মণ সীতাকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন আর রামায়ণের লক্ষ্মণ উপরে উদ্ধৃত কঠিন তিরস্কার শুনিয়া কি করিয়াছিলেন ? তিনি সীতাদেবীকে বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহাকে ফেলিয়৷ চলিয়া যান নাই। এই স্থলে আমাদিগকে রামায়ণোক্ত লক্ষ্মণের চরিত্র একবার মানসপটে প্রতিফলিত করিতে হইবে । মহর্ষি বাল্মীকি লক্ষ্মণের চরিত্রে অশেষগুণের সমাবেশ করিয়াছেন। বীরত্বে লক্ষ্মণ অদ্বিতীয় বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। জিতেন্দ্রিয়ত্ব তাহার চরিত্রে জাজ্জ্বল্যমান। তিনি জ্ঞানী, বিনয়ী, ধৰ্ম্মরত মহাপুরুষ। কিন্তু যে গুণে তিনি কত সহস্ৰ বৎসর ধরিয়া ভারতবাসীর চিত্ত বিমোহিত করিয়া রাখিয়াছেন তাহ র্তাহার অপরূপ ও আমেয় ভ্রাতৃবৎসলতা ও সেই ভ্রাতৃ-প্রেমসনিত আত্মত্যাগ। রামচন্দ্র তাহার কাছে প্রত্যক্ষ দেবতা । এই দেবতার টানে তিনি পিতামাতা পত্নী অনায়াসে ত্যাগ সুখসম্পৎ অবহেলা করিয়া কেবল তৎসঙ্গলোভে বনগরী হইয়াছেন। রামের আজ্ঞার্তাহার পক্ষে বেদবাক্যস্বরূপ, সৰ্ব্বতোভাবে প্রতিপাল্য। রাম-পত্নী সীতাদেবী তাহার কতদুর মাননীয় তাহা আমরা সহজেই বুঝিতে পারি। ফলতঃ ীিতাদেবীকে তিনি দেবতার আসনেই বসাইয়াছিলেন – “উত্তরং নোৎসহে বক্তং দৈবতং ভবতীয়ম।” চর-ব্রহ্মচারী চিরজিতেন্দ্রিয় চিরবিনয়ী চিররিপুজয়ী লক্ষ্মণের দবতাস্থানীয়া-ভ্রাতৃজায়ার ভৎসনার ধৈর্য্যচ্যুতি সম্ভবে । তাই আমরা দেখিতে পাই যে আর্ষরামায়ণের লক্ষ্মণ তার প্রথমকটুক্তি শ্রবণ করিয়াও অবিচলিত রহিয়, iমাজ্ঞা-পালনে তৎপর রহিয়াছেন; অমন সন্দেহ-বিষ উদ্‌গীর্ণ ইলেও তিনি সীতাকে কহিতেছেন – স্বাস-ভূতাসি বৈদেহি গুস্তাময়ি মহাত্মন। রামেণবং ঘরারোহে নত্বাংত্যক্ত মিহোৎসহে ॥ কিন্তু পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে সীতার তখন বিচারবুদ্ধি রোহিত হইয়াছে। তাহার রামচন্দ্র যে বিপদগ্রস্ত হয় "موعه همه ماهانههای دادهها به همههه هاه 8bペ> তো শক্ৰকরে নিহতপ্রায়, তিনি যে কাতরম্বরে হা সীতে! হা লক্ষ্মণ ! বলিয়া ডাকিয়াছেন, তিনি যে কাননে একাকী, অসহায় অবস্থায় রহিয়াছেন ; আর তাহার ভ্রাতা লক্ষ্মণ কি না এখন তাহাকে বুঝাইতে আসিয়াছেন । একি তখন পাগলিনী সীতার সহ হয় ? এমন অবস্থায় আর কি বিশ্বাস থাকিতে পারে ? বিশ্বাস কেমন করিয়া থাকিবে ? যদি লক্ষ্মণ রামের বিপদ বুঝিয়াও তাহাকে বাচাইতে যাইতেছেন না, তবে আর রামময়প্রাণা সীতার তাহার প্রতি বিশ্বাস থাকা কি সম্ভব না স্বাভাবিক ? আজীবনের বিশ্বাস একটী দিনের সামান্ত ঘটনায় চিরদিনের জন্ত নষ্ট হইয়া যায় এমন সংসারে অনেক ঘটিয়া থাকে তাহ কে না জানেন ? সাহিত্যে ওথেলো তাহার একটা জলন্ত দৃষ্টান্ত,তাহ বলিয়া দিতে হইবে না। সীতার হৃদয়ে তখন শত সন্দেহ জাগিয়া উঠিয়াছে ; এক রামের উদ্ধার-চিন্তা ব্যতীত জগৎ সংসার তাহার কাছে লুপ্ত হইয়াছে। এই ভয়বিক্লবা শোক-বশীভুত বিমোহিতচেতন জানকী ভাল মন্দ বিবেচনা করিয়া, কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্য বাছিয়া লইয়া, লক্ষ্মণের প্রতি অবিচার হইতেছে কি না ভাবিয়া চিন্তিয়া তিরস্কার করিতে বসিবেন, তাহাই কি স্বাভাবিক ? যদি সীতাদেবী লক্ষ্মণকে কাপুরুষ বলিয়া জানিতেন তাহ হইলেও বা ভয়ের জন্ত তাঁহাকে উদ্ধার করিতে যাইতেছেন না এমন সন্দেহ তাহার মনে উদিত হইতে পারিত। কিন্তু সক্ষম হইয়াও যখন লক্ষ্মণ রামোদ্ধার কার্য্যে ব্ৰতী হইতেছেন না দেখিলেন তখন তাহাঁর মনে সকল প্রকার অনিষ্ট ও অমঙ্গলের চিন্তা উদিত হইয়া তাহাকে বশীভূত করিয়া ফেলিল, সকল পাপ লক্ষ্মণের দেহকে আশ্রয় করিয়াছে ইহাই তাহার মনে জাগিয়া উঠিল। শুধু লক্ষণের প্রতি নহে, বিশ্বজগতের প্রতিই তখন তিনি সন্ধিগ্ধচিত্তা। ভরতের প্রতি সন্দেহ, লক্ষ্মণের প্রতি সন্দেহ, সবারই প্রতি সন্দেহ। কে জিতেন্দ্রিয় ? কে সৰ্ব্বগুণশালী ? কে কখনও তাহার চরণ ভিন্ন মুখের দিকে চাহেন নাই ? যিনি তাহার ইন্দাবরনয়ন রামচন্দ্রকে এমন বিপন্ন জার্নিয়াও র্তাহার উদ্ধারার্থ গেলেন না সে লক্ষ্মণের সহস্ৰগুণ থাকিলেও এখন তিনি সৰ্ব্বপাপক্ষম । বুঝি সেই কপটাচারীর তাহাকে রাম-বিরহিত কৱাই. একমাত্র উদ্দেশু, বুঝি সে র্তাহারই লোভে রামের অনুগমন