পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] AASAASAASAASAASAASAASAASAAeeAeSMAAASAAAA প্রতিজ্ঞা ভাসিয়া গেল –ভাগীরথীতরঙ্গে যেমন একদিন ক্লাবত ভাসিয়া গিয়াছিল সেইরূপ। সেই श्लेिन श्हेष्ठ বাদশাহ জাহাঙ্গীর রাজধৰ্ম্ম বিশ্বত হইয়া নূরজাহানের মুখের দিকেই চাহিয়া থাকিতেন। হায় শের আফগান ! তাহার প্রেতাত্মা কি মেহেরের দিকে চাহিয়া অশ্রু বিসর্জন করে নাই? পাপ যখন পূর্ণ হইল—যখন কালসাপিনীর তীব্র নিশ্বাসম্পর্শে বাদসাহের কুসুমকুঞ্জ শুকাইতে লাগিল, তখন উন্নতছদয় মহব্বতের কৌশলে নুরজাহান বন্দিনী হইলেন ! যে জাহাঙ্গীরের চরণহলে আত্মবিক্রয় করিয়া শের আফগানের মেহের-উন-নিসা নূরজাহান রূপে ভারতেশ্বরী হইয়াছিলেন সেই জাহাঙ্গীর র্তাহার প্রাণ দণ্ডাজ্ঞা প্রদান করিলেন ! কুহকিনী আসিয়া সাশ্রনয়নে জাহাঙ্গীরের সম্মুখে দাড়াইলেন । বাদশাহের আর সহ হইল না । তিনি রোদন করিতে করিতে কহিলেন “মহব্বত, ইহাকে কি তুমি মার্জন করিতে পার না ? আহ, দেখ, দুই নয়নে অশ্রু "ঝরিতেছে!” নুরজাহান সেবারকার মত রক্ষা পাইলেন। পরে আবার তিনি স্বভ্রাতার হস্তেই বন্দিনী হইয়াছিলেন ! • জাহাঙ্গীরের পর শাহান সিংহাসনে আরোহণ করিলেন । পিতৃদ্রোহী স্বজনঘাতী শাজেহান আপনার কৰ্ম্মফল বিধিমত ভুগিয়াছিলেন। তাই একদিন তিনি বড় দুঃখ করিয়া বলিয়াছিলেন--‘পুত্র কর্তৃক পিতা অনেকবার সিংহাসনচ্যুত হইয়াছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যের দিনে পিতার অপমান শুধু ঔরঙ্গজেবের জন্যই সঞ্চিত ছিল ? সুচতুর ঔরঙ্গজব যখন কৌশলে সিংহাসনারোহণ করিলেন তখন বৃদ্ধ শাজেহান বন্দী। মুহুমুহুঁ: কামান গর্জনে আগ্রানগরী বিকম্পিত হইতে লাগিল ; জনসত্ত্য যখন বিজয়নিনাদে নবীন সম্রাটের আবাহন গান গাহিতেছিল তখন শাজেহান অশ্রুসিক্তবদনে তাহার স্নেহময়ী ছহিতাকে কহিলেন—‘জাহানার, দেখ ত আজি অকস্মাৎ এত আনন্দধ্বনি কিসের ? উহা জানিয়াই বা আমাদের কি ফল ? যাহারা আমাদিগকে ঘিরিয়া রাখিয়াছে তাহাদের হর্ষ কেবল আমাদের বিষাদকেই আরও বাড়াইয়া তুলিবে। কি দারার কোন অমঙ্গল ঘটিয়া থাকিবে। জাহানার, অমন করিয়া চতুর্দুিকে চাছিও না, কি জানি, তোমার 6 o'S প্রাণোপম সহোদরের ছিন্ন শির হয় ত নয়নে পড়িতে পারে। * * * * জাহানার, নবীন সম্রাট অসময়ে সিংহাসনে আরোহণ করিলেন। তাহার অন্তান্ত পাপকর্মের সহিত পিতৃহত্যা সংযুক্ত হইলেই ঠিক হইত ! হায় হতভাগ্য পতিত সম্রাট! ধৰ্ম্মের চক্ষু কখনও মুদ্রিত হয় না—বিধাতার_ বজ ব্যর্থ নহে—এইরূপেই প্রায়শ্চিত্তে প্রতিশোধ লুটিয়া থাকে ! তাই ঐতিহাসিক কহিতেছেন—“The means by which Shaw Jehan obtained the empire of the Moguls, were not more justifiable than those which he so much blamed in Aurungzeb.”* বাদশাহ ঔরঙ্গজেবের ইতিহাস উপন্যাসময়। দারার পিতৃস্নেহ, জাহানারার ভালবাসা, ঔরঙ্গজেবের ক্রুর স্বার্থসন্ধান,—নাদির বামুর পতিপ্রেম, পিয়ারে বামুর নারীধৰ্ম্মরক্ষা, সুজার পতন প্রভৃতির সংমিশ্রণে ঔরঙ্গজেবের কাহিনী একান্ত কাল্পনিক বলিয়া মনে হয়। মনে হয় যেন কোন বিখ্যাত কাল্পনিক কবি লোকশিক্ষার জন্ত নানাবিধ চরিত্র লিখিয়া ঔরঙ্গজেবের কাহিনী রচনা করিয়াছেন। এক সঙ্গে এত বৈচিত্রময় সত্যের সমাবেশ সহসা দৃষ্ট হয় না। গৃহবিতাড়িত স্বজনপরিত্যক্ত সিংহাসনবঞ্চিত হতভাগ্য দারা প্রাণভয়ে পারস্তাদেশে পলায়ন করিতেছেন ; তখন প্রাণোপমা পত্নী—সেই ফুলভাঁরাবনত বল্লর বিশুদ্ধা করিপদদলিত মৃত্যুশয্যায় শায়িনী। তাহার আর চলিবারও শক্তি ছিল না ; পথশ্রমে ক্লাস্তা, বিপদে বিশীর্ণ, রোগে দুৰ্ব্বল নাদির বামু তখন বেশ বুঝিতেছিলেন যে পলায়ন ভিন্ন উপায় নাই। তিনি স্বামীকে পলায়ন করিতে বলিলেন । কহিলেন—‘যম আসিয়া শীঘ্রই পাৰ্ব্বেজকন্যাকে রক্ষা করিবে ; প্রিয়তম, আমি তোমার পথের কণ্টক হইব না।” দ্বারা কোন প্রাণে র্তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া পলায়ন করিবেন ? তিনি জিহন খার আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। জিহন বাদসাহ পুত্রকে আশ্রয় দিবার জন্ত নিজের প্রাসাদ ছাড়িয়া দিলেন । সুলতান তখন একান্ত শক্তিহীনা। দারা সমস্ত নিশা রোদন করিয়া, জাগিয়া কাটাইলেন। প্রভাতে যখন পূৰ্ব্ব

  • History of Hindustan–Dow.