পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W ----م ۔. ৯ম সংখ্যা । ] ১৭৯৮ সালে সুরাটের জনসংখ্যা ছিল ছয় লক্ষ। ইংরাজ অধিকারের পর ১৮১৮ সালে জন সংখ্যা মাত্র ১৫৭১৯৫ হষ্টয়াছিল। ১৯০১ সালের সেন্সস অনুসারে জন সংখ্যা হয় ১১৯৩০৬ । ইহার মধ্যে হিন্দু ৮৫৫৭৭, মুসলমান ২২৮২১, পাসী ৫৭৫৪, জৈন ৪৬৭১, খৃষ্টান ৪৫৬, শিখ ৩, ও অন্যান্য ২৪। মুরাটে লেখা পড়া জানা লোকের সংখ্যা মোটের উপর শতকরা ১৩ জন ; পুরুষের শতকরা ২৪ ও স্ত্রীলোকের মধ্যে ২ জন মাত্র। হিন্দুর মধ্যে লেখাপড়া জানা পুরুষ শতকরা ২২, স্ত্রী ১, মোটের উপর শতকরা ১২ ; মুসলমান মোটের উপর ১৬, পুরুষ ৩১, স্ত্রী ২ ; জৈন মোটের উপর ৪৫, পুরুষ ৭৪, স্ত্রী ৯ । সুরাটের জৈনদিগের মধ্যেই বিদ্যা চর্চা অধিক । সুরাটের প্রধান ভাষা গুজরাতী । সুরাটের নিকটেই কাপসিক্ষেত্র ব্ৰোচ । এই ব্রোচ প্রাচীন ভৃগুকচ্ছ। এইখানে ভক্তশ্রেষ্ঠ প্ৰহলাদের বাড়ী ছিল। কংগ্রেসযাত্রিগণ এই ব্রোচ বা ভড়েীচ বা ভৃগুকচ্ছও দর্শন করিতে পারিবেন।* A

A' . সূর্যাদির পর্যায়ের অর্থ। অগ্রহায়ুণ মাসের প্রবাসী’তে ত্রযুক্ত বীরেশ্বর গোস্বামী "একটা প্রশ্ন’ নাম দিয়া বহুপ্রশ্নের উল্লেখ করিয়াছেন। একটি হউক বহু হউক, তাহার জিজ্ঞাসায় অনেকের চিত্ত প্রশ্নসম্বন্ধে আকৃষ্ট হইবে। সূর্যাদির পর্যায়ের অর্থ জানিতে এবং আধুনিক জ্ঞানের সহিত সে অর্থের ঐক্য দেখিতে পংডিত মাত্রেরই ইচ্ছা হওয়া স্বাভাবিক। অ-পংড়িত যে আমি, সময়ে সময়ে আমারও ইচ্ছা হইয়াছে। এই সহামুভূতিহেতু প্রশ্নসম্বন্ধে দুই এক কথা বলিতেছি। সম্প্রতি অবসর-অভাবে বাহুল্যে গেলাম না । গোস্বামী মহাশয় জিজ্ঞাসিয়াছেন, “আমাদের প্রাচীন হন্দু বৈজ্ঞানিকের ff Solar Spectrumega কথা অবগত ছলেন ? কিন্তু প্রাচীন হিন্দু বৈজ্ঞানিক—এই কথা শুনিব ত্রি কোন কোন পাঠক হয় ত কানে আংগুল দিবেন। কারণ ইহার বিজ্ঞান বলিতে বর্তমান দুই এক শতাব্দীর সূর্যাদির পর্যায়ের অর্থ। e যুরোপের বিজ্ঞান বোঝেন, পুরাণের কথাকে বিজ্ঞানের

  • এই প্রবন্ধ প্রধাণতঃ ইংরাজী Modern Review নামক মাসিক শ হইতে সংগৃহীত হইল ।

৫২৩

    • ,

পাঠ্যপুস্তকের উপযুক্ত ভাষায় দেখিতে অভিলাষ করেন, এবং পিতৃপিতামহ হইলেও প্রাচীন বলিয়াই প্রাচীনদিকে অশ্রদ্ধা করেন । অন্ত পাঠক আছেন। র্তাহারা সংস্কৃত্তি ভাষার লিখিত যে-কোন কথারই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাইতে উৎসুক হন, এবং প্রাচীনেরাও যে মানুষ ছিলেন, অন্ততঃ সকলেই যে ত্রিকালজ্ঞ ঋষি ছিলেন না,—একথা কিছুতেই বিশ্বাস করিতে পারেন না। আমার সামান্ত বিবেচনায়, বিষয়ের প্রতি রাগ-বিরাগে সত্য-নির্ণয়ে বিঘ্ন জন্মে। প্রাচীন জ্ঞান-পরিমাণের সময় একটা কথা সৰ্ব্বদা মনে রাখিতে হইবে যে, প্রাচীনের উপস্থিত নাই, তাহাদের জ্ঞানের যাবতীয় প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে না, এবং যাহা পাওয়া গিয়াছে তাহাও সমস্ত তন্ন তন্ন করিয়া দেখা হয় নাই। বিশেষতঃ, তাহদের ভাষা এখন সম্পূর্ণ বোধগম্য হয় না। অতএব তাহাদের পক্ষে একটু টানিলে অত্যন্ত দোষ হুইবে না। যেখানে বিজ্ঞানের—অর্থাৎ জড়বিজ্ঞানের কথা, সেখানে আধুনিক বিজ্ঞানকে অভিজ্ঞ সাক্ষীরূপে আনিতে হইবে। যেখানে সংস্কৃত ভাষার কথা, সেখানে সংস্কৃত পংডিত অবশ্য চাই। এই দুই সাক্ষী না পাটুলে পরিশ্রম বৃথা হইবে। যদি একই ব্যক্তি আধুনিক বিজ্ঞান শিথিয় থাকেন, এবং অগাধ সংস্কৃত-শাস্ত্র-সমুদ্র মথিয় থাকেন, তাহা হইলে তিনিই উপযুক্ত বিচারক হইতে পারেন। এরূপ পংডিতের অভাবে উক্ত দ্বিবিধ পংডিতের সন্মিলন আবশ্যক। সংস্কৃত-পংড়িত প্রাচীন—অতি প্রাচীন গ্রন্থ হইতে প্রমাণ একত্র করিয়া স্থূলতঃ ব্যাখ্যা করিবেন, তার পর বিজ্ঞান-পংডিত সেই সকল প্রমাণ সমালোচনা করিবেন। সংস্কৃত-পংড়িত ঐতিহাসিক ক্রম উপেক্ষা করিবেন না, পরন্তু গোড়া ছাড়িয়া আগা ধরিলে সত্যনিরূপণে বিঘ্ন হইবে। নদীর শাখা প্রশাখা কালক্রমে এত অধিক হয় যে, মূল নদী কোনটা তাহ বলিতে পারা যায় না। গোড়ার দিকে গেলেই আসল নদীটা চেনা যায়। পংডিতের প্রয়োজনের একটা দৃষ্টান্ত দি-ই। বাল্যকাল হইতে শুনিয়া আসিয়াছিলাম জলে দুধে মিশাইয়া হাসকে খাইতে দিলে হাস নাকি নীর ত্যাগ করিয়া ক্ষীর গ্রহণ