পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(t૨૪ t করে। কথাটা এমনই অসম্ভব যে পরখ করিয়া দেখিতে প্রবৃত্তি হয় নাই। অথচ নাকি কেহ কেহ দুধ দেখা কলের পরিবর্নেহাস পুষিতে উপদেশ দিয়াছিলেন, কেহ বা হাসের মুখের লালার রাসায়নিক পরীক্ষার উল্লেখ করিয়াছিলেন । কএক বৎসর পুরে ‘ভারতী’তে পংড়িত সতীশচন্দ্র বিদ্যাভূষণ সংস্কৃত কাব্য হইতে হংসের নীরত্যাগ ও ক্ষীর গ্রহণ বিষয়ে কতকগুলি প্রমাণ একত্র করিয়াছিলেন । তখন হাসের ক্ষমতার পরিচয় লইবার সুযোগ ঘটে। কারণ ভিতরে কিছু সত্য না থাকিলে উপমার সৃষ্টি হইত না । ফল ‘ভারতী’তে প্রকাশিত হইয়াছে। দেখা গিয়াছে, ক্ষীর অর্থে গবাদির দুগ্ধ নহে, পদ্মের মৃণালের ক্ষীর অর্থাৎ চলিত কথায় শাদা রস । ংস্কৃত ভাষায় ক্ষীর শব্দে গবাদি পশুর দুগ্ধ এবং বৃক্ষের ক্ষীরবৎ রস-দুষ্ট-ই বুঝায়। পদ্মের ডাটার ক্ষীর ছাড়িয়া গবাদির ক্ষীরে আসাতেই হাসের ক্ষমতা হাস্যকর হইয়া দাড়াইয়াছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রশ্ন করিলে উত্তর পাওয়া যায় না, উত্তরের সমালোচনা হয় না, সমালোচনা হইলে সময়ে সময়ে মামুষের হয়, উত্তরের হয় না। প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার দুই কারণ মনে হয়,—( ১ ) আলস্ত, ( ২ ) অবজ্ঞা । বাংগালীর আলস্তের পরিচয় বাংগালী অধিক আর কি দিবে ? অবজ্ঞা কখনও নিজের প্রতি কখনও প্রশ্নকারকের প্রতি । অমুক ব্যক্তি লিখিয়াছেন বা বলিয়াছেন, আমার মত লোকের কথা কহাতে র্তাহাকে অবজ্ঞা করা হইবে, এই এক আশংকা । অন্যে ভাবে, কে কোথায় কি বলিতেছে লিখিতেছে, তার কথার উত্তর দিতে হইলে কিংবা তার ভুল দেখাইতে হইলে জীবনে আর কোন কাজ করিবার সময় থাকিবে না। বোধ হয়, একথাও ঠিক, অতি অল্প লোক সুস্থচিত্তে নিজের কাজের দোষ দেখিতে পারে। পরের কথা সহিতে পারা অল্প সংযমের ফল নহে। তার উপর, বাংগালীর ঔদ্ধত্য প্রসিদ্ধ হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু মাঝের পথও ত আছে। মানীর মান রাখিয়াও তর্ক করিতে পারা যায়, এবং মুখের ভুল শোধন জ্ঞানী না করিলে আর কে করিবে ? জ্ঞানী সর্বজ্ঞ নহেন, এবং কোনও লোক যাবতীয় বিষয়ে মুর্থ হয় না। আলস্ত ছাড়িয়া যিনি যতটুকু জানেন তিনি ততটুকু জানাইলে দেশের সংবাদ পত্র ও মাসিক পত্র দ্বারা জ্ঞান-বিস্তারের সাহায্য হয়। প্রবাসী। [ ৭ম ভাগ । এখন গোস্বামী মহাশয়ের দুই একটা প্রশ্নের উত্ত্বর সংক্ষেপে জানাইতেছি। তিনি ঠিক বলিয়ছেন, তাহার এক এক প্রশ্ন আলোচনা করিতে এক এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা আবশ্যক। আমার সামান্ত বুদ্ধিতে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর পাটবার চেষ্টা করিয়াছি। স্বর্যাদি নবগ্রহের পর্যায়গুলির অর্থ “আমাদের জোতিষী ও জ্যোতিষ' নামক পুস্তকে দেওয়া গিয়াছে। সংকর্ষণ, বিদ্যুৎ প্রভৃতি সম্বন্ধেও দুই এক কথা ঐ পুস্তকে পাওয়া যাইবে। বোধ হইতেছে, সে পুস্তকে হরিদর্শ্ব ও লোহিতাশ্ব নামের কোন উল্লেখ করা হয় নাই । অশ্ব অর্থে কিরণ ব্যতীত অন্ত কোন অর্থ মনে হয় না । হরিত অর্থে হরি বা কপিল বর্ণ ও হরিদ্রাবর্ণ মনে হয়। হরিত অর্থে সবুজ আছে বটে, কিন্তু সুর্যের সবুজ রং কখনও দেখি না। জবাকুসুমসংকাশং ইত্যাদিতে লোহিতাশ্ব স্পষ্ট হইয়াছে। সপ্তাশ্ব সম্বন্ধে নানা রকম অনুমান হইয়াছে। বেদপংড়িত সত্যব্রত সামশ্রমী মহাশয় বলেন, সুর্য নিজ শক্তিতে— যেন রশ্মি বা রশ দিয়া সপ্ত গ্রহকে আকর্ষণ করিয়া আছেন বলিয়া সপ্তাশ্ব। এই ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ নুতন বলিয়া ইহার উল্লেখ করিলাম। প্রাচীনের তিন পাচ সাত নয়—এই কএকটি সংখ্যার ভক্ত ছিলেন। নানা গণনায় এই ভক্তির ভূরি নিদর্শন পাওয়া যায়। বৈদিক সাহিত্যে সাত উষা, সাত দিক, সাত পুরোহিত সাত আদিত্য এবং স্বর্য সপ্তাশ্ব ও সপ্ত-চক্র। পরে আদিত্য আট, দশ, বার হইয়াছিলেন। পুরাণে আদিত্য বার, এক-চক্র। পৃথিবীতে সাত দ্বীপ, সাত সমুদ্র, সাত পবন, সাত সাত চৌদ্দ ভুবন । এই সকল সাত গণনার মুলে কোন নিত্য প্রত্যক্ষ নৈসর্গিক ব্যাপার ছিল। বোধ হয়, বেদের সাত গণনা হইতে পরে এত সাত আসিয়াছিল, এবং বেদের সাত মাস অপর সকল সাতের মূল ছিল। যে গণনা একবার চলে, তাহার লোপ করা দুঃসাধ্য। সপ্তাশ্ব ও সপ্ত আদিত্য সম্বন্ধে টিলক মহাশয়ের ব্যাখ্যাই ঠিক মনে হইয়াছে। প্রাতঃকালে ঘাসের উপরের শিশির-কণায় নানা বর্ণ দেখিতে পাওয়া

  • K5&# 5 The Artic Home in the Vcdas g#*I I đề গ্রন্থের অভাবে প্রবাসী’ ( ১৩১০ সালের কাৰ্ত্তিক ও অগ্রহায়ণ ) দ্রষ্টব্য। এখানে আর এক কথা মনে পড়িল। ‘প্রবাসীতে আলোচনায় এবং