পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা । ] নিম্নলিখিত ভদ্রলোকগণ নিম্নে লিখিত অর্থসাহায্য*...* ক্টরিতে স্বীকার করিয়াছেন। কেহ কেহ দিয়াছেন। কলিকাতার বটকৃষ্ণ পাল এণ্ড কোং ما ه ه به শ্ৰীযুক্ত চৌধুরী মহাদেব প্রসাদ, জমিদার, আহিয়াপুর ২০০২ , বিচারপতি প্রমদাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় به ه , দুর্গাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ه ه ) , সতীশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 8०९ , হরিমোহন রায় به لا , ঈশানচন্দ্র মুখোপাধ্যায় به لا) ইত্যাদি। এক্ষণে অপরাপর বঙ্গবাসী ভদ্রমহোদয়গণ কিছু কিছু সাহায্য করিলে আমরা কাৰ্য্য আরম্ভ করি । শ্ৰীহরিমোহন রায় । কালীবাড়ির অতিথিসৎকার বিভাগ ও পূজা বিভাগ স্বতন্ত্র করা হইয়াছে। ইহাতে এক্ষণে সকল সম্প্রদায়ের বাঙ্গালীই র্যাহার যে বিভাগে ইচ্ছা দান করিতে পারেন। গত দুই বৎসরের দ্যায়, এ বৎসরও, সরস্বতী পূজার সময় প্রয়াগবাসী বাঙ্গালীদের সন্মিলন হইবে । আগে হইতেই ফুহক ও বালকদিগের নানারকম পৌরুষ ও বলবৰ্দ্ধক খেলা হইতেছে। সন্তরণের পরীক্ষাও হইয়া গিয়াছে। তদ্ভিন্ন অশ্বারোহণ, লক্ষ্যবেধ, লাঠিখেল প্রভৃতির পরীক্ষাও হইবে। কবিতা আবৃত্তি, মেয়েদের জন্ত রন্ধনাদি গৃহকৰ্ম্ম, সূচিশিল্প প্রভৃতির পরীক্ষারও ব্যবস্থা হইয়াছে। সন্মিলনভায় সঙ্গীতাদিও হইবে। প্রবাসী বাঙ্গালীদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতি বৃদ্ধির, এবং একতা স্থাপন উদ্দেন্তে, এবং বালক ও যুবকদের মধ্যে পৌরুষ ও দৈহিক বল প্রভৃতির অনুরাগ বাড়াইবার জন্ত, এই সম্মিলনের ব্যবস্থা রা হয় । কিন্তু একটি একান্ত প্রয়োজনীয় কাজে এখনও প্রবাসী ঙ্গালীর হাত দেন নাই। সকলেই জানেন, বাঙ্গালীর তি এখন গবর্ণমেণ্ট,--এবং বে-সরকারী ইংরাজও,বিরূপ। থচ সরকারী ও রেলের চাকরীই প্রবাসী বাঙ্গালীর প্রধান বলম্বন। প্রবাসী বাঙ্গালীর চাকরী পাওয়া এখন খুব ঠন হইয়াছে। পরে তাহারা মোটেই চাকরী পাইবেন বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। কারণ, ইংরাজের বাঙ্গালী বিধবার ব্রহ্মচৰ্য্য । ?૨૧, বিদ্বেষ ও হিন্দুস্থানীদিগের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার। দ্বিতীয় কারণটি মুথের বিষয়। চাকরী ছাড়া ওকালতী ও ডাক্তারী আছে। কিন্তু এই দুই ব্যবসায়ে অধিক লোকের প্রতিপালন হইতে পারে না। তদ্ভিন্ন, এখানেও হিন্দুস্থানীগণের মধ্যে শিক্ষাবিস্তার হওয়ায় প্রবাসী লাঙ্গালীর কার্য্যক্ষেত্র সংকীর্ণ হইতেছে । অবশু বিশেষ গুণ ও শক্তিসম্পন্ন লোক প্রতিষ্ঠা লাভ করিবেনই । কিন্তু সাধারণ ভাবে বলিতে গেলে হিন্দুস্থানী মক্কেল ও রোগীর পক্ষে হিন্দুস্থানী উকীল ও ডাক্তারের সাহায্য লওয়াই স্বাভাবিক। তদ্ভিন্ন ইংরাজ বিচারকেরাও আজ কাল বাঙ্গালী উকীলদের কাজ করা শক্ত করিয়া তুলিতেছেন। এই সব কারণে প্রবাসী বাঙ্গালীদের স্বাধীনবৃত্তি শিক্ষার, শিল্পবাণিজ্যাদি ব্যবসায় অবলম্বনের প্রয়োজন হইয়াছে । তাহার শিক্ষার বন্দোবস্ত আমাদিগকেষ্ট করিতে হইবে । কলিকাতাস্থ মাননীয় যোগেন্দ্রনাথ ঘোষ প্রতিষ্ঠিত শিল্পবিজ্ঞান সমিতির সহিত যোগ দিয়া বৎসরে দুই একজন ছাত্রকেও বিদেশে পাঠাইতে পারিলে কিছু ফল হয়। কিন্তু প্রকৃত সফলতা লাভ করিতে হইলে স্বদেশেই শিক্ষার বন্দোবস্ত করিতে হইবে। প্রবাসী বাঙ্গালাদিগের নেতাগণ এ বিষয়ে মন দিলে নিশ্চয়ই সুফল লাভ হইবে । কবি দেবেন্দ্রনাথ সেন মহাশয়ের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শ্ৰীযুক্ত সুরেন্দ্রনাথ সেন, এম এ, এল এল বী, মহাশয় এবার অনারস-ইন-ল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছেন; যথাসময়ে উী এল অর্থাৎ আইনাচার্য হইয়া হাইকোর্টের এডভোকেট হইবেন। সুরেন্দ্রবাবু বিদ্বান ও বিনয়ী; তিনিও কবি;– দাদার সমান নহেন বলিয়া কোন ক্ষোভের কারণ নাই। সুরেন্দ্র বাবুর উন্নতিতে আমরা সুখী । প্রবাসী-সম্পাদক । ~ বিধবার ব্রহ্মচৰ্য্য। শাস্ত্রে লিখিত আছে বিধবার ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করা উচিত। কিরূপে সেই ব্রহ্মচৰ্য্য পালন করা যায় ? সাধারণতঃ ব্রহ্মচৰ্য্য অর্থে শারীরিক ও মানসিক পবিত্রত রক্ষণ করা,--চিত্তশুদ্ধি, ইন্দ্রিয়-সংযম, ভোগবাসনার ত্যাগ, ঈশ্বরচিন্তা, অল্পাহার, শম দম প্রভূতিনিয়ম সকল, ও বিলাসজনিত মোহকর বস্তু মাত্রেরই