পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩২ \ লোকেরা अडिब्रिजै। ব্যক্তিত্ব গ্রীষ্টা করিবার জন্ত প্রকৃত সমাজসংস্কারের দিকে লক্ষ্য না করিষ্ঠ দেশে ও সমাজে বিপ্লব আনিয়াছেন। ( ১ ) উত্তর পক্ষে লেখক সময়ের সংস্কার-ক্ষমতা স্বীকার করেন না । তিনি বলেন মানুষ সচেষ্ট হইয়া কোন অপূর্ণত ব৷ জীর্ণতার সংস্কার না করিলে সংস্কার হয় না। একথা আংশিক সত্য, পূর্ণভালে নহে। চেষ্টা ব্যতীত কিছু হয় ন৷ ইহা ঠিক, কিন্তু সেই চেষ্টা আপন হইতে জাগ্রত ন হইলে, -, ৭.১; ফরিয়া জাগ্রত করাষ্টয়া থাকে। এ কথা লেখক নিজেই পুস্তকের শেষ পৃষ্ঠায় স্বীকার করিয়াছেন । সংস্কার বিষয়ে আত্মচেষ্টাও যেমন কার্যাকরী, পারিপার্থিক অবস্থাও তেমনি। চেষ্টাজত সংস্কারে গৌরব আছে, বাধ্য হইয়৷ সংস্কারে কোন গৌরব নাই, এই যাহা পার্থক্য । (২) লেখক দেখাইয়াছেন যে যাহা কিছু সংস্কৃত, যাহা কিছু স্বাধীন চিন্তার অনুসারী, তাহাই ব্রাহ্ম সমাজের আদর্শ। সেই আদর্শ গ্রহণ করিলেই কেহ আর হিন্দু থাকিতে পারে না, সে নামে না হোক কৰ্ত্তব্যে ব্রাহ্ম হইবে। এবং কৰ্ত্তব্যে ব্রাহ্ম হইলেই হিন্দুসমাজচ্যুত হইয়া পড়িবে। এইখানে লেখকের গোড়ায় গলদ হইয়াছে। তিনি হিন্দুসমাজ অর্থে হিন্দুসমাজের সঙ্কীর্ণতম নিম্নস্তরের হীনাদর্শ সমাজকে বুঝিয়াছেন। কিন্তু আমার ত ধারণ ব্রাহ্মগণও হিন্দুসমাজেরই অঙ্গ ; ব্রহ্মের আদর্শ হিন্দুসমাজেরই আদর্শ । হিন্দুসমাজ উন্নত আদর্শের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হইতেছে—শিক্ষার বিস্তুতির সঙ্গে সংস্কার ব্যাপক হক্টবে- র্যাহার ইচ্ছ। সই উন্নত সংস্কৃত সমাজকে ব্রাহ্মসমাজ বলিতে পারেন, আমি কিন্তু তাহাকে হিন্দুসমাজেরই সাময়িক বিবৰ্ত্তন মনে করি। ইহা প্রকারান্তরে লেখক পুস্তকের অনেক স্থলেই স্বীকার করিয়াছেন । (৩) এখানেও আমার আপত্তি এই যে লেখক হিন্দু সমাজের অর্থ অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ ও হীন করিয়াছেন। হিন্দুসমাজে থাকিয়৷ বৰ্ত্তমান অবস্থায় ব্রাহ্মধৰ্ম্ম সাধন কষ্টসাধা হক্টলেও একেবারে অসম্ভব এ কথা স্বীকাৰ্য্য নহে। ( 8 ) এই পূৰ্ব্বপক্ষ নিতান্ত গোড় ও সঙ্কীর্ণচিত্ত ব্যক্তি ভিন্ন আর কেহই সমর্থন করিবেন না। কিন্তু মানুষ মাত্রেই স্থিতিশীল। পুরাতন হিন্দু নাম ছাড়িয়া নূতন ব্রাহ্মনাম গ্রহণ করিতে অনেকেই ইতস্তত করেন। এই জন্তই অনেকে মনে করেন পুরাতন হিন্দুসমাজে জলাঞ্জলি দিয়া নুতন ব্রাহ্ম সমাজে যাওয়ার আস্বস্তকতা নাই । লেখক আবেগের আতিশয্যে ভাব অপেক্ষ নামের উপরই বেীকটা দিয়া ফেলিয়াছেন অতিরিক্ত । এতদ্ভিন্ন উtহার সহিত আমাদের কোন বিষয়ে মত-পার্থক্য নাই । এই ক্ষুদ্র পুস্তিকাখনি খুব বিচক্ষণতীর সহিত লেখা হইয়াছে। ইহা প্রত্যেক চিন্তাশীল সহৃদয় ব্যক্তির অবশ্ব পাঠ্য। সরল কৃত্তিবাস। বালক বালিকাদিগের এবং মহিলাগণের পাঠোপযোগী করিয়া মাইকেল মধুসুদন দত্তের জীবনচরিত প্রণেতা শ্ৰীযোগীন্দ্রনাথ বস্থ, বি এ সম্পাদিত। মূল্য ১॥• । কৃত্তিবাসী রামায়ণের ইহা অতি উৎকৃষ্ট সংস্করণ, যে উদ্দেশ্যে ইহ। প্রকাশিত হইয়াছে, ইহ। তাহার সম্পূর্ণ উপযোগী । মূল কৃত্তিবাসী প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ । রামায়ণের সকল অংশ বালক বালিকাদের পাঠের উপযোগী মছে। সেই . সকল অংশ ত্যাগ করিয়া অথচ মূল গল্পটি ঠিক রাখিয়া যোগীন্দ্র বাবু এই রামায়ণ প্রকাশিত করিয়াছেন। স্ত্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক লিখিত ভূমিকা ও সম্পাদক লিখিত কৃত্তিবাসজীবনী ইঙ্গর উপাদেয়ত বৃদ্ধি করিয়াছে। ২১টি ছাড়া ইহার সমুদয় ছবিই অতি স্বঙ্গর হুইয়াছে। রামায়ণ মহাভারত ছাড়িয়া দিলে আমাদের জাতীয় জীবন অসম্পূর্ণ থাকে। সেই রামায়ণের এমন সুন্দর সুসংস্কৃত সংস্করণ প্রকাশিত:করিয়া যোগীন্দ্র বাবু সকলের ধন্যবাদার্হ হইয়াছেন। গল্পাংশের সংযোগরক্ষার জন্ত যোগীন্দ্র বাবু নিজরচিত যে কয় ছত্র যোগ করিয়াছেন, দ্বিতীয় সংস্করণে " তাহা ক্ষুদ্রতর অক্ষরে ছাপিলে একটি ক্রটি দূর হইবে। শ্ৰীমুদ্রাবান্ত্রিক শৰ্ম্ম । চিত্রপরিচয় । রামায়ণবর্ণিত জটায়ুবধের বৃত্তান্ত সকলেই জানেন। এই উপাখ্যানের রবিবৰ্ম্ম কর্তৃক অঙ্কিত অপ্রকাশিত তৈলচিত্রের একটি প্রতিলিপি আমরা মুদ্রিত করিলাম। সুরাটে এবার কংগ্রেস হইবে। তথাকার ১৭ খানি ছবি দিলাম। তদ্ভিন্ন কংগ্রেসের সভাপতি ডাক্তার রাসবিহারী ঘোষ প্রভৃতিরও ছবি দিলাম। গত মাসের ছবিতে, ব্ৰহ্মদেশীয় মহিলা ও পূর্ণপরিচ্ছদ ধারিণী শানরমণীর ছবি দেওয়া হইয়াছে। নাম দুটি ভ্রম ক্রমে উল্টা বসিয়াছে। শানরমণীর স্থলে ব্রহ্মদেশীয় মহিলা হইবে। ভ্রমসংশোধন । গতমাসে প্রকাশিত “সিপাহী বিদ্রোহের সময় প্রবাসী বাঙ্গালী” প্রবন্ধে লিখিত হইয়াছে যে প্রয়াগের কালীবাড়ির জমী y রাসবিহারী বাবুর দেওয়া। আমরা বিশ্বস্তস্থত্রে অবগত হইলাম যে উহা তাহার ভ্রাতা বেণীমাধব ঘোষ মহাশয়ের প্রদত্ত। ৮ রাসবিহারী বাবুর সর্পদংশন চিকিৎসা প্রসঙ্গে রায় বাহাদুর ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ ওহুদেদার মহাশয়ের যে উল্লেখ করা হইয়াছে, তাহাও শুনিলাম অপ্রকৃত। ইহা ছাড়া এই প্রবন্ধে আরও অতিরঞ্জিত ও ভ্রমপুর্ণ কথা আছে অবগত হইলাম। ৬১,৬২নং বৌবাজার ষ্ট্রীট, কুন্তলীন প্রেস হইতে ঐ পূর্ণচন্দ্র দাস কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত।