পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

දෂ්& মাধবী। অরবিন্দ। মাধবী । অরবিন্দ। প্রবাসী । ཨ་བྷི་༽《ཤྲ་ পা’বে লয়, তা’র মাঝে ভাবের সংঘাত কেন হেন নিরস্তর, - এ জগত কিছু নহে যদি ? এ বিশ্ব--তান্তভূতির ঘনীভূত জীবস্ত মুরতি । (তৃতীয় প্রহরাগমে শৃগাল-কুকুর ডাকিয়া উঠিল।) কি-শ, উচ্চ, তীব্ৰধ্বনি। ঘরে ঘুমায় ধরণী--- প্রগাঢ় শ্রান্তির মাঝে, মঙ্গোল্লাসে তখনো এমনি সাগঙ্গে চীৎকারে মদদুপ্ত শিব-সারমেয় গণে ; যেন বা কহিছে ডাকি”, “স্বচাভেদ্য তমিজার সনে মৃত্যুর দোসর মোরা, মরতের চিরনিদ্রা লাগি’ বিশ্বের শিয়ারদেশে নিদ্রাহীলনেত্ৰে আছি জাগি” ।” রঙ্গ জাগি চিরকাল এমনি উৎসুক ক্ষুধাভরে মহাকাল-সহচর। এ সংসারে, প্রতি ঘরে ঘরে প্রকৃতির মায়া-মূৰ্ত্তি সযতনে করি অপসার, অক্ষুণ্ণ প্রতাপে নিত্য উচ্চকণ্ঠে করত প্রচার এইমত ব্যাকুলতা- এ জগত অনিত্য, অসার । জাগাও বিমুগ্ধ জনে অন্ধ মনে করিয়া সঞ্চার নবীন চেতন জ্যোতিঃ । ( মৃত্কণ্ঠে ) প্রভু ! ভাঙি’ এই ঘুম-ঘোর জাগুক্ সকলে। এই দৃশুমান পিশ্ব মনোহর পরিহরি’ ছদ্মবেশ অপরূপ চিত্ত-সম্মোহন, কালের প্রভাব বলে মুঃ তেঁকে করুক ধারণ ভয়াল মুরতি তা'র । বিশ্ববাসী দেখুক সভয়ে—- উজ্জ্বল, প্রদাপ্ত, এই সুসজিত বিশ্ব রঙ্গালয়ে নিৰ্ব্বাপিত দীপিরাশি ! সেথা শুধু ওঠে অনিবার ভয়ার্জ, অম্বরভেদী, উচ্চতম, তীব্ৰ হাহাকার অসহায়, ব্যথাতুর জীবকণ্ঠ ভ’তে নিত্য । নাথ,সুখ স্বপ্ন-ভোর এই জীবনেতে আজি অকস্মাৎ চেতনার কশাঘাতে যাতনায় জাগুক্ সকলে :বন্ধুত্ব-প্রণয়-স্নেহ চিত্ত হ’তে তপ্ত নেত্র-জলে ভাসাইয়া ধুয়ে ফেলে’ দিক্ । যবে ভেলে’ দেখি মনে-- প্রাণাধিক প্রিয়জন আচম্বিতে, অজ্ঞাত কারণে সহসা নিস্পন্দ হ’য়ে ভূমিতলে রবে পড়ি' হান্ন ; মাধবী। অরবিন্দ। মাধবী। অরবিন্দ। মাধবী । অরবিন্দ। [ ৭ম ভাগ ।

  • ۳ ماهه ۹۰**مسعه همی-یه --ع- معی---۰- مهد». ۰۰۰..... ۰۰.۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔عوی... "ب.. --.۔۔

আমারেই পুন: সেই উৰ্দ্ধ-শিখ, জলন্ত চিতায় * সেই প্রিয় তমুখানি দিতে হ’বে ধীরে বিসর্জন – ছৰ্ব্বিসহ অবসাদে সে চিন্তায় দগ্ধ এ জীবন অসহ বেদনাভরে দুৰ্ব্বহ হইয় পড়ে। প্রাণ সেই মহা ভাবনায় চিরতরে হয় মুহমান ! বৃথা চিন্তা, বৃথা আশা –কিছু নহে! সকলি এ ভবে মায়া মরীচিকীসম সহসা—নিমেষে লুপ্ত হবে! মিথ্যা প্রেম, মিথ্যা আশা-তৃষা ! — প্রেম,—সে ও কিছু নহে ! এ জীবন-মরুভূমি স্নিগ্ধ করি যে তটিনী বহে নিরস্তর,সে ও সে-ও শুধুই কি মায়া! তবে, হিয়া কেন তা’রি চিন্তা মাঝে—বিশ্ব-চরাচর বিস্মরিয়া— ডুবে যায় অজানিতে? কেন তবে কঁপিয়া কঁপিয়া ওঠে প্রাণ তারে যবে মনে হয় ? অমিয়া, অমিয়া, কোথা তুমি ? প্রাণময়ি, জীবনের অমৃত আমার, সাস্তুনা মানে ন মন—যবে আমি নেহরি তোমার অতুল সৌন্দৰ্য্য-প্রভা কল্পনা-নয়নে! প্ৰাণেশ্বর। . ( চমকিয় ) একি ! এ গভীর রাত্রে শ্রবণে পশিল কা’র স্বর!-- এখনো কি বিনিদ্র মাধবী ? ( মাধবীকে দেখিয়া স্বগত ) একদুষ্টে চেয়ে বসে আছে মোর পানে। কেন ? বুঝি নিরালায় ভয় পাইয়াছে। —-অনাথ বালিকা মরি ! ( মাধবীর নিকটে আসিয়া ) মাধবী, এখনে আছ জাগি ? ( কম্পিত কণ্ঠে ) প্রভু,--- বুল– নহ তো পীড়িত? বল— কি হেতু,কি লাগি’ এখনো নয়নে নিদ্রা নাহি ? (স্বগত) এই শুভ্র রমণী-জীবন জন্মেছিল শুধু কিগে সহিবারে হেন অ্যতন নিতান্তই অকারণে ! ( প্রকাশুে ) বালা, দেব, নহ তো পীড়িত ?