পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>o N সংখ্যা | | বোরের মত মাঝে মাঝে চাদকে একটুখানি কাপা করিয়া ীি আন্তে আস্তে উড়িয়া চলিতেছে। চারিদিকে দিগন্ত পর্যন্ত নানা আয়তনের উচুনীচু ছাদের শ্রেণী ছায়াতে আলোতে এবং মাঝে মাঝে গাছের মাথার সঙ্গে মিশিয়া যেন সম্পূর্ণ প্রয়োজনহীন একটা প্রকাও অবাস্তব খেয়ালের মত পড়িয়া রহিয়াছে। • 酸 গির্জার ঘড়িতে এগারোটর ঘণ্টা বাজিল ; বরফওয়াল তাহার শেষ হঁাক হঁাকিয়া চলিয়া গেল। গাড়ীর শব্দ মন হইয়া আসিয়াছে । গোরাদের গলিতে জাগরণের লক্ষণ নাই কেবল প্রতিবেশীর আস্তাবলে কাঠের মেঝের উপর ঘোড়ার খুরের শব্দ এক একবার শোনা যাইতেছে এবং কুকুর ঘেউঘেউ করিয়া উঠিতেছে। দুই জনে অনেকক্ষণ চুপ করিয়া রহিল। তাহার পরে বিনয় প্রথমটা একটু দ্বিধা করিয়া তাঙ্গর পরে পরিপূর্ণবেগে তাহার মনের কথাকে বন্ধনমুক্ত করিয়া দিল । বিনয় কহিল—“ভাই গোর, আমার বুক ভরে উঠেছে। আমি জানি এ সব বিষয়ে তোমার মন নেই কিন্তু তোমাকে না বলুলে আমি বাঁচব না। আমি ভাল মন্দ কিছুই বুঝতে পারচিনে—কিন্তু এটা নিশ্চয় এর সঙ্গে কোনো চাতুরা খাটবে না। বইয়েতে অনেক কথা পড়েছি এবং এত দিন মনে করে এসেছি সব জানি । ঠিক যেন ছবিতে জল দেখে মনে করতুম সাতার দেওয়া খুব সহজ—কিন্তু আজ জলের মধ্যে পড়ে এক মুহুর্তে বুঝতে পেরেছি এ ত ফাকি নয়।” এই বলিয়া বিনয় তাহার জীবনের এই আশ্চর্য্য আবির্ভাবকে একান্ত চেষ্টায় গোরার সম্মুখে উদঘাটিত করিতে লাগিল। কিছুতেই কোনো কথায় সে যেন ঠিক করিয়া বলিতে পারিল না। সে বলিল ইহাকে সুখ বা দুঃখ বলিলে কিছুই বুঝা যায় ন—ইহা সুখ এবং দুঃখ ছয়ের চেয়েই অনেক বেশি। ইহার জন্য আজও কোনো ভাষা তৈরি হয় নাই—ইহা পরিপূর্ণতার পরম বেদন । বিনয় বলিতে লাগিল, আজকাল তাহার কাছে সমস্ত দিন ও রাত্রির মধ্যে কোথাও যেন কিছু ফাক নাই—সমস্ত আকাশের মধ্যে কোথাও যেন কোনো রন্ধ নাই সমস্ত একেবারে নিবিড়ভাবে ভরিয়া গেছে—বসন্তকালের মৌচাক গোরা । འང་། སྐད་དང་། sa། ཨ་ཆེ། རི་བོང་། ཧ་ ལྷ་ཁང་ལ་ &名> ی-****.****=ه - «***-ه আগে এই বিশ্বচরাচরের অনেক খানি তাহার জীবনের বাহিরে পড়িয়া থাকিত—-যেটুকুতে তাহার প্রয়োজন সেই টুকুতেই তাহার দৃষ্টি বদ্ধ ছিল। আজ সমস্তই তাহার সম্মুখে আসিতেছে, সমস্তই তাহাকে স্পর্শ করিতেছে, সমস্তই একটা নূতন তাৎপর্য্যে পূর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। সে জানিত না পুথিবীকে সে এত ভালবাসে, আকাশ এমন আশ্চৰ্য্য, আলোক এমন অপূৰ্ব্ব, রাস্তার অপরিচিত পথিকের প্রবাহও এমন গভীরভাবে সত্য! তাহার ইচ্ছা করে সকলের জন্ত সে একটা কিছু করে, তাহার সমস্ত শক্তিকে আকাশের সুৰ্য্যের মত সে জগতের চিরন্তন সামগ্ৰী করিয়া তোলে। বিনয় যে, কোনো ব্যক্তিবিশেষের প্রসঙ্গে এই সমস্ত কথা বলিতেছে তাহা হঠাৎ মনে হয় না। সে যেন কাহারো নাম মুখে আনিতে পারে না-আভাস দিতে গেলেও কুষ্ঠিত হইয় পড়ে। এই যে আলোচনা করিতেছে ইহার জন্য সে যেন কাহার প্রতি অপরাধ অনুভব করিতেছে। ইহা অদ্যায়, ইহা অপমান-কিন্তু আজ এই নির্জন রাত্রে নিস্তব্ধ আকাশে বন্ধুর পাশে বসিয়া এ অন্যায়টুকু সে কোনো মতেই কটাক্টতে পারিল না । 拳 সে কি মুখ ! প্রাণের আভা তাহার কপোলের কোমলতার মধ্যে কি সুকুমার ভাবে প্রকাশ পাইতেছে ! হাসিতে তাঙ্গর অন্তঃকরণ কি আশ্চৰ্য্য আলোর মত ফুটির পড়ে । ললাটে কি বুদ্ধি ! এবং ঘন পল্লবের ছায়াতলে দুই চক্ষুর মধ্যে কি নিবিড় অনিৰ্ব্বচনীয়তা ! আর সেই দুটি হাত --সেবা এবং স্নেহকে সৌন্দর্য্যে সার্থক করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়া আছে, সে যেন কথা কহিতেছে ! বিনয় নিজের জীবনকে যৌবনকে ধন্ত জ্ঞান করিতেছে, এই আনন্দে তাহার বুকের মধ্যে যেন ফুলিয়া ফুলিয়া উঠিতেছে। পৃথিবীর অধিকাংশ লোকই যাহা না দেখিয়াই জীবন সাঙ্গ করে—বিনয় যে তাহাকে এমন করিয়া চোখের সামনে মূৰ্ত্তিমান দেখিতে পাইবে ইহার চেয়ে আশ্চৰ্য্য কিছুই নাই। কিন্তু একি পাগলামি একি অন্যায়! হোক অন্যায়, আর ত ঠেকাইয়া রাখা যায় না ! এই স্রোতেই যদি কোনো একটা কুলে তুলিয়া দেয়ত ভাল, আর যদি ভাসাইয়া দেয়, যদি তলাইয়া লয় তবে উপায় কি ! মুদ্ধিল এই যে, উদ্ধারের