পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- - .سسہم ---- ১০ম সংখ্যা । ] পতিত-পাবন তুমি, যুগে যুগে, দেব, কতই পুতিত জাতি করেছ উদ্ধার ; অধম পতিত এই ভারতবাসীরে করহ উদ্ধার তবে । চলিলাম, দেব, দেখিব খুজিয়া এষ্ট ভারত মাথুরে, রাজা, প্রজা, জ্ঞানী, মুর্থ, নর, নারী মাঝে, আছে কিনা হেন জন, চিন্তা, ধ্যান যার ভারত-মঙ্গল মাত্র। পাই অস্িেধয়া সে হেন দ্বাদশজন পূর্ণ হবে সাধ ; নতে, হে জনমভূমি, তোমার সেবায় এ তনু করিব শেষ ; দেখিব, জননি, তোমার দুঃখের অন্ত হয় কিনা হয় । হে গিরীন্দ্র, গুরু তুমি, কর আশীৰ্ব্বাদ, বিদায় চরণে এবে, করি প্রণিপাত ॥৫ [ প্রস্থান । দেরাদুন, | ھصلى الله عليه وسلم--.rs সর নবেম্বর, ১৯০৭ | শ্রযোগীন্দ্রনাথ বসু । শাঙ্কর দর্শন । । gSBB BBB SKBBSBBS B BBBBB BBBS BBB BSBB BBKS0K বাহির হইয়াছিল । এষ্ট প্রবন্ধে আমরা দেখাষ্টয়াfছ যে, গ্রন্থ পানী গীগাগোড়া আত্মবিরোধে পুর্ণ এযং ইহাতে শঙ্কর-দর্শনের অতি বিকৃত gg BBS BBBBS BBBB BBBB SBBBBSB BB BB BBB প্রবন্ধচ্ছলে ইহার প্রতিবাদ বাহির করিয়াছেন । প্রবন্ধেও দেখিতেছি লখক স্বকপোল কল্পি ও কতকগুলি মত শঙ্করের নামে প্রচার করিতেছন। শঙ্কর-দর্শনের ভিত্তি কোথায়, বিষ্ঠারভু মগশয় তাহাই জানেন ন, অথচ জনসমাজে তাছার মন্ত প্রচার করিবার জন্য থদ্ধপরিকর হইয়|ছন। সুতরাং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যই যে এই প্রযন্ধ লিখিতেছি গহ নহে, শঙ্করের প্রকৃত মত কি তাই আলোচনা করা নিতান্ত আবিষ্ঠক মনে হইতেছে । শঙ্কর-দর্শনের ভিত্তি । ব্ৰহ্ম, জীবাত্ম ও জগৎ---এই তিনট বস্তু লইয়াই দর্শনশাস্ত্র। কিন্তু সমুদয় দর্শনশাস্ত্রের ভিত্তি এক নহে । জড়বাদী বলেন জগৎকে ভিত্তি করিয়াক্ট ব্ৰহ্ম ও জীবাত্মা বিষয়ে বিচার করিতে হইবে । অধ্যাত্মবাদীর মতে জীবাত্মাই দর্শনের ভিত্তি অীর ব্রহ্মবাদী বলেন ব্রহ্মরূপ ভিত্তির উপরই দর্শনশাস্ত্রকে দাড় করাইতে হুইবে । শঙ্কর একজন ব্রহ্মবাদী। ঠাহীর মতে একমেবাদ্বিতীয়মৃ সত্যস্বরূপ অনস্তস্বরূপ নিগুণ ব্ৰহ্মই ※ এই কবিতাটা লেখক কর্তৃক দেৱানকীয় সাহিত্যসভায় পঠিত হইয়াছিল —ইতি 喙 VH শাস্কর দশন । Q8S দর্শনশাস্ত্রের ভিত্তি। এই ভিত্তির উপর দর্শনকে দাড় করাইলে জগৎ ও জীবাত্মা থাকে থাক, যায় যকৃ’ শঙ্কর এই ভাবেই অগ্রসর হইয়াছেন। আগে জগৎকে বজায় রাখিব, তৎপর ব্রহ্মের স্থান খুজিয় বেড়াইতে হইবে ইহা শঙ্কর-দর্শন নহে। কিন্তু শঙ্কর দর্শনের ভিত্তি কি ইহা অনেকে ন বুঝিয়াই শঙ্করমত বাখ্যা করিতে প্রবৃত্ত হন। এ বিষয়টা যে বুঝা আবিষ্ঠক, তাহ অনেকের ধারণর মধ্যেই আসে না । বিদ্যারত্ব মহাশয়ও এই শ্রেণীর লোক । তিনি একস্থলে লিপিয়াছেন, “ব্রহ্ম সেই শক্তি হইতে ভিন্ন••••••ইহা স্বীকার না করিলে নিগুণ ব্রহ্মের স্থান থাকে না” আর একস্থলে বলিয়|ছেন, “শঙ্কর সগুণ ব্ৰহ্ম ছাড়াও নিগুণ ব্রহ্মের স্থান রাশিয়াছেন।” তৃতীয় একস্থলে আছে, “এখন দেখিতে হুইবে যে, বদি শঙ্কর ব্রহ্মে শুক্তি স্বীকার করিলেন, তবে তাহার নিগুণ ব্রহ্মের গতি কি হইবে।” লেখকের অভিপ্রায় এই যে, আগে বলিতে হইবে ব্রহ্মে শক্তি আছে, ব্ৰহ্ম শক্তি হইতে ভিন্ন, ব্ৰহ্ম সগুণ, তাহার পর দেখিতে হইবে--নিগুণ ব্রহ্মের কোন গতি হইতে পারে কি না, নিগুণ ব্রহ্মের কোন স্থান থাকে কি না । গোড়ীতেই গলদ । নিগুণ ব্রহ্মের কোন একটা গতি করিতে হইবে, যোগtড় যন্ত্র করিয়া কোন উপায়ে নিগুণ ব্রহ্মের জঙ্ক একটা স্থান করিয়া দিতে হইবে ইহা শঙ্কর-দর্শন নহে। শঙ্করকে এ সব ভাখন গুলিতে হয় নাই । যিনি শঙ্কর-দর্শনের ভিত্তি, যিনি শঙ্কর-দর্শনের সমুদায় স্তন অধিকার করিয়া আছেন তাহার জন্ম কি স্থান भूछिब्र বেড়ষ্টতে হয়? দৰ্শনকে নিগুণ ব্রহ্মের উপর দঁাড় করান হইয়াছে, এখন যদি তুমি সগুণ ব্ৰহ্মকে রাখিতে পার ভাল, আর না রাখিতে পার মেও ভাল । শঙ্কর দর্শন আলোচনা করিয়া আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলাম “১) ব্ৰহ্ম একমেবাদ্বিতীয়ম্, ব্রহ্ম স্বগত ভেদরস্থিত, তাহাতে কর্তৃস্থাদি আরোপ করা যায় না (২) অবিকৃত পরব্রহ্মই জীব (৩) শঙ্কর ব্রহ্মেণ বিকীর স্বীকার করেন না, তিনি বিবর্তবাদী-পরিণামবাদী মহেন।” কিন্তু বিদ্যারত্ব মহাশয় এই প্রবন্ধে লিখিয়ছেন (১) শঙ্কর ব্রহ্মে শক্তি স্বীকার করিতেন (২) শ বিবৰ্ত্তবাদ ও পরিণামবাদ উভয়ষ্ট স্বীকার করিতেন । জীবাত্মবিষয়ে এখনও নুতন কোন কথা বলেন নাই । বিচারপ্রণালী । বিচার আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বেষ্ট স্থির করা আবখ্যক আমরা কি প্রণালীতে অগ্রসর হইব । একজন নিজমত সমর্থন করিবার জন্ত শঙ্কয়ভাষ্য হইতে অংশ বিশেষ উদ্ধত করিলেন এবং অপর জনও ইহার বিরোধী মত সমর্থন করিবার জন্য উক্ত ভায্যের অপরাংশ হইতে কিছু উদ্ধত করিলেন--এই ভাবে অগ্রসর হইলে কোন সিদ্ধান্তেই উপনীত হওয়া যায় না । বাদী বলেন আমারই জয়, প্রতিবাদীও বলেন আমারই জয় আর জনসাধারণের মনে শঙ্করের মত বিষয়ে গভীর সন্দেহ উপস্থিত হয়। আমরা বলি যে সমুদয় স্থলে শঙ্কর উভয় মতেরই আলোচনা করিয়াছেন, বিচার করিয়া একটা মত নিরাস করিয়াছেন এবং তৎপর নিজমত প্রতিষ্ঠিত করিয়াছেন - সেই সমুদয় স্থলই উদ্ধত করা আবগুক ; নতুবা কোন বিষয়ই নিষ্পত্তি হইবে না। স্বতরাং আমরা এই দ্বিতীয় প্রণালীই অবলম্বন করিব । বিদ্যারত্ন মহাশয়ের প্রণালী । ১ । ‘একতরফা’ । ব্ৰক্ষে কেন শক্তি স্বীকার করা যায় না শঙ্কর সে বিষয়ে বিশেষ যুক্তি . প্রদান করিয়াছেন। আময় পূর্বে এই সমুদয় যুক্তি উদ্ধৃত করিয়া