পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

དང་ཅུར་ বণিকেরা আমাদিগের সহিত প্রতিযোগিতায় অনায়াসে লাভবান হইতেছেন তাহার কারণ কি ? অধুনা স্বদেশী আন্দোলনে উৎসাহিত হইয়া অনেকে চিনির ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করিয়াছেন । পুরাতন দেশীয় প্রণালী বা কলকারখানার সাহায্যে রাব (গুড়, ) সক্কর ( raw sugar ) প্রভৃতি উপাদান হইতে চিনি প্রস্তুত করিতেছেন। পূৰ্ব্বাপেক্ষ চিনির কুঠার সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি হইয়াছে কিন্তু বিদেশীয়দিগের সহিত প্রতিযোগিতা করিবার সম্ভাবনা কোথায় ? যে সকল কারখানাতে পুৰ্ব্বোক্ত উপাদান হইতে চিনি প্রস্তুত হয়, তৎসংলগ্ন Distilleryই উহাদের স্থায়িত্বের প্রধান উপায়। কেবল চিনির আয় উহাদের ব্যয় সঙ্কলন হয় না, লাভ ত দুরের কথা । Distilleryর আয়ে কোন গতিকে লোকসান পুরাইয়া কিঞ্চিৎ লাভ হয় মাত্র । জন্মাণির সহিত প্রতিযোগিতা ইংলণ্ডের কারখানা সমূহের অবনতির ইহাই একমাত্র কারণ । জন্মাণি, মরিশম প্রভূতি স্থানে একসারে রস হইতে চিনি প্রস্তুত হয়, ইংলণ্ডের অধিকাংশ স্থলে রাব, সঞ্চর ইত্যাদি উপাদান হইতে চিনি প্রস্তুত হয়, সুতরাং ইহাদের ব্যয়বাহুল্য অবশুম্ভাবী। এক্ষণে আমাদের দেশে এই ব্যবসায় স্থায়ী ও উন্নত করিতে হইলে, নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা উচিত: ( ক ) প্রধানতঃ সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ উপায়— জমিতে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে ইক্ষু আবাদ করিয়া তাই ষ্টাম পরিচালিত কলের সাহায্যে মাড়িয়া ইক্ষুরস হইতে একবারে চিনি প্রস্তুত করা— ইহাতে চিনি প্রতিমণ ২॥", ৩ টাকা খরচে প্রস্তুত হইতে পারে । (খ ) এতদভাবে ইক্ষু খরিদ করিয়াও কাজ চালান যাইতে পারে—ইহা মধ্যমতর উপায়—ইহাতে প্রতি মণে ৬ ৬০ টাকা হিসাবে পড়ত হইবে। উপরি উক্ত উপায় অত্যন্ত সহজ হইলেও সাধারণ গুহস্থ বা অল্প পরিমাণে প্রস্তুতকারকদিগের আয়ত্তাধীন নহে। জমিদার, ধনীমহাজন বা যৌথকারবারী কেবল ইহারাই মনোযোগ করিলে উক্ত উপায়ে অনায়াসে অল্প সময়ের মধ্যে বিদেশী চিনির সহিত প্রতিযোগিতা করিতে সক্ষম হইবেন। যেহেতু একটা সামান্ত কারখানা স্থাপন করিতে হইলেও প্রবাসী । [ ৭ম ভাগ অন্ততঃ পশ্চিমাঞ্চলের মাপের ৪০% চাবিশত বিঘা জমি আবশ্বক। প্রতি বৎসর ২০০/০ দুইশত বিঘা জমিতে ইক্ষু আবাদ করিতে হইবে । অবশিষ্ট অৰ্দ্ধাংশ আগামী বৎসরের ইক্ষু উৎপাদনের উপযোগ করিতে হইবে । ১৫ই পৌষ হইতে ১৫ই চৈত্র পর্য্যন্ত ইক্ষু মাড়াই করিবার প্রশস্ত সময়। এই অল্প কালের মধ্যে কামা নিৰ্ব্বাহ করিতে হইলে তদুপযোগী নবাবিস্কৃত যন্ত্রাদির আশ্রয় গ্রহণ করিতে হইবে। ১ । যন্ত্ৰাদি । প্রধানতঃ steam পরিচালিত crushing plant ( মাড়াই কল ) “El as vacuum pan একটী বিশেষ আবশ্বক, এই দুইটা অধিক মূল্যবান। তদ্ব্যতীত turbine { তুরপিন ) ২১ট ও অন্তষ্ঠি খুচরা কয়েকটা জিনিষ অল্প ব্যয়েই ইষ্টতে পারে। সৰ্ব্ব মোট আনুমানিক ৩০ ০০০\ ৩৫ ০০০ টাকা মূল্যের যন্থাদির সাহায্যে ২০০ দুইশত বিঘার উৎপন্ন ইক্ষু হইতে চিনি প্রস্তুতকার্য্য সমাপা হইতে পারে। এই উপায়ে প্রত্যহ আন্দাজ ১০০ মণ চিনি প্রস্তুত হইবে । ২ । আবাদের প্রণালী । সাধারণ গৃহস্থের বা কৃষকেরা যেরূপ ভাবে আবাদ করে, তাপ অপেক্ষা ষ্ট্ৰত ( বৈজ্ঞানিক ) উপায়ে আবাদ করিতে হইবে। কৃষকের সারাদি ( manure ) অনেক বিষয়ে অনভিজ্ঞ, এবং যাহা কিছু অভিজ্ঞতা আছে তাহাও অর্থাভাবে সম্পূর্ণরূপে কায্যে পরিণত করিতে অক্ষম, সুতরাং ইহাদের দ্বারা আশানুরূপ ফলোৎপাদনের সম্ভাবনা নাই । যদি জমিতে সময়নুযায়ী আবস্তক মত সারাদি নিক্ষেপ করা যায় এবং জমির উৎপাদিকা শক্তিবৃদ্ধির অন্যান্ত উপায় অবলম্বন করা যায় তাহা হইলে শেষে অত্যধিক পরিমাণে ফল লাভ হইবে । সৰ্ব্ব প্রথমে এ বিষয়ে লক্ষ্য থাকা উচিত। ৩ । ইক্ষুমাড়া গৃহস্থেরা গরু দ্বারা চালিত যন্থে মাড়াই করে। ইহাতে ১০০/০ মণ ইক্ষু হইতে প্রায় ৫০/০ মণের অধিক রস বাহির হয় না। কিন্তু বাষ্পপরিচালিত পেষণযন্ত্রে ঐ পরিমাণ ইক্ষু হইতে ৮০/০ মণ পৰ্য্যন্ত রস বাহির হইতে পারে অর্থাৎ দেড় গুণ অধিক রস পাওয়া যাইতে পারে। পূৰ্ব্ব নির্দিষ্ট প্রকরণে আবাদ ও এই প্রকারে মাড়াই কুইলে উৎপন্ন রস