পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] ধারণতঃ গৃহস্থেরা যে পরিমাণে পাইয়া থাকে, তাহার তিন গুণ অধিক হইরে। রসই চিনির উপাদান— মাদিগের দেশে এত রস কম আদায় হয় বলিয়াই চিনির ন এত বেশী পড়িয়া যায়। ৪ । রস হইতে একবারে চিনি । গৃহস্থের ইক্ষরস হইতে রাব বা গুড় তৈয়ারি করিতে তিমন প্রায় ১২ টাকা হিসাবে খরচ করিয়া থাকে ; ইহাতে নর মূল্য ২০, ৩ টাকা বেশী হয় ; কারণ ২০ মণ মণ রাব বা গুড় না হইলে ১/০ মণ চিনি হয় না । iন একবারে রস হইতে চিনি প্রস্তুত হইতে পারে, তখন ঈস্থেরা রাব তৈয়ারি করিতে যে খরচ করে, তাহা সম্পূর্ণ রর্থক। যে খরচে রবি হয়, সেই পরচেষ্ট নূতন উপায়ে নি তৈয়ারি হইতে পারে । ৫ । পাক-প্রণালী । দেশীয় প্রণালীতে আমরা চিনি কম পাই, তাহার প্রধান fরণ আরও ইট ঃ– (ক) চিনি সদ্য প্রস্তুত না হওয়ায় রসে এসিডের বা মর্ব অংশ বেশ জন্মায় -অমাধিক্য হইলে চিনি উৎপন্ন * श्च। 魏 (খ) রসট তিনবার কড়া জালে পাক করিতে হয় টহাতে চিনির রং অপেক্ষাকৃত কাল হয়) এবং কড়াপাকে তক অংশ জলিয়া যাওয়ায় উৎপন্ন চিনির পরিমাণও কম । কিন্তু ষ্টীম পরিচালিত Vacuum Panএর পরিমিত চে একবার মাত্র পাকাইলেক্ট ঐ উপাদান হইতেই রস্কার চিনি অধিক পরিমাণে পাওয়া যাইবে । সুতরাং ই পাক-প্রণালীই উত্তম ও লাভজনক । ৬ । রিফাইন বা পরিষ্কারকরণ । বিদেশে যে সকল চিনি প্রস্তুত হয় তাহ প্রায়শঃ Bone harcoal বা হাড়ের কয়লার দ্বারা পরিস্কৃত হয় । মাদের দেশীয় প্রথা মতে এই অস্পৃষ্ঠ বস্তুর কোন আবশ্বক ই। ইহার পরিবর্তে সাধারণ শেওলা ( বা পাট বা মার) দ্বারা অতি স্থনররূপে, বিশুদ্ধভাবে চিনি পরিষ্করণের র্ষ্যি নিৰ্ব্বাহ হয় । ইহা অপেক্ষা সহজ ও উৎকৃষ্টতর উপায় tর দেখা যায় না। • বিদেশী চিনি দেখিতে যতই পরিষ্কার বিদেশী চিনির সহিত প্রতিযোগিতা । ASA SAASAASAASAASAASASAS SSAS (నుసి হউক, উহার স্থায়িত্বগুণ কম, অল্প সময়ের মধ্যে বস্তা রসিয়া যায় ও এসিড আক্রমণ করে। তখন ঐ চিনি হইতে এক প্রকার ছৰ্গন্ধ বাহির হয় ; সুতরাং পুৰ্ব্বেকার স্থায় তত কার্য্যোপযোগ থাকে না। কিন্তু শেওলা দ্বারা পরিষ্কৃত দেশী চিনি অনায়াসে তদপেক্ষা অধিক দিন স্থায়ী হয় এবং তাহাতে সদৃগন্ধ ব্যতীত কখন কোন প্রকার দুর্গন্ধ পাওয়া যায় না । অতএব রিফাইন করা সম্বন্ধে আমাদের দেশীয় প্রথাই সৰ্ব্বতোভাবে গ্রাহা । _ আমরা বিদেশী চিনির সহিত প্রতিযোগিতা করিতে যে সকল কারণে সমর্থ নহি, তাহা এই—প্রথমতঃ, আবাদের সময় জমির উর্বরতার প্রতি লক্ষ্য না থাকায় উৎপন্ন কম হয়, দ্বিতীয়তঃ, মাড়াই কার্য্যের অসম্পূর্ণতা হেতু রস অনেক কম পাওয়া যায় ; তৃতীয়তঃ কড়াপাকে রস জাল দেওয়ার দরুণ রং খারাপ হয় এবং অনেক জলতি বাদ যায় আর গুড় করিয়া তাহা হইতে চিনি তৈয়ারি করিলে তদুপরি . আরও কিছু অনৰ্থক পরচা বাড়িয়া যায়। অতএব দেখা গেল, নিম্নলিখিত উপায়ে পূৰ্ব্বোক্ত ব্যাধিসমূহের প্রতীকার হইতে পারে ;--- (১) নিজ আয়ত্তাধীনে উপযুক্ত পরিমাণ জমি রাখিয়া আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপায়ে আবাদ করা। (২) ষ্টীম পরিচালিত কলে মাড়াই কার্য্য সম্পন্ন করা। (9) ষ্টমের অঁাচে Vacuumএ রস পাক করা । (৪) শেওলা দ্বারা রিফাইন করা। তাহা হইলেক্ট অতি সুলভে উৎকৃষ্ট বিশুদ্ধ চিনি নিঃসন্দেহে পাওয়া যাইবে । AAAAAASA SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS আমরা কারবারসূত্রে ত্রিভূত অঞ্চলের সাকরি মোকামে আছি। এখানে অধিক পরিমাণে ইক্ষুর আবাদ হয় সুতরাং রাব ও (গুড় ) পর্য্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন হইয়া থাকে। গত পৌষ মাসে আমরা উপরি উক্ত প্রণালীতে ইক্ষুরস হইতে চিনি প্রস্তুত করিবার Experiment করিয়া বেশ কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি। অবশু আমাদের আবশু্যকীয় যন্ত্রাদির অভাবে সাধারণ নিয়মে বলদের দ্বারা ইক্ষু মাড়াই করিতে হইয়াছিল এবং কড়া পাকে রস জাল দিতে হইয়াছিল। পাঠকগণের অবগতির জন্ত তাহার ফলাফল নিম্নে প্রদত্ত হইল—