পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•ম সংখ্যা। ] ۶۰۰ ه. م = محمدیر-هه ۰ عصميم 鑫 में তা । * ~, ীিকির সীতার উপর আর কলম ধরা চলে না, সীতারিত্রের আর উন্নতি সম্ভব নয় বলিলে আর কিছু হৌক আর হোক, “কালোহয়ং নিরবধি বিপুলাচ পৃথ্বী” কথাটা সম্বীকার করা হয় এবং পৃথিবী ক্ৰমবিকাশশীল ও চিরস্নতিশীল বর্তমান বিজ্ঞানের এই সাক্ষ্যে একেবারেই লাঞ্জলি দিতে হয়। ইহাতে কবির গৌরবের উচ্চতা tধিত হউক আর নাই হউক, ভগবানের সৃষ্টিশক্তির সীমাম নর্দেশ করা হয়, নিশ্চিত। অন্যথা, যে মহর্ষি বাল্মীকির কুট খৰ্ব্ব হয় এ ধারণা আমাদের নাই। আজ যদি কেম্বিজের একজন গ্রাজুয়েট Principiaতে দুটা সংলগ্ন কথা বসাইতে পারিয়া থাকে, তাহাতে নিউটনের গৌরবমুকুট খুব খানিকটা খৰ্ব্ব হইয়া গিয়াছে বলিয়া আমাদের আশঙ্কার কোনই কারণ নাই। তবে গ্রাজুয়েটের প্রশংসার কারণ যথেষ্টই আছে। বাল্মীকি ও সীতা উভয়েই হিন্দুর হৃদয়রাজ্যের দেবতা, তাহাদিগকে যুদ্ধক্ষেত্রে আনিয়া উপস্থিত করাটাই সুবিধাজনক নয়। কেন না, যুদ্ধক্ষেত্রে আসিলে, গাত্র যতই কোমল ইউর্ক না কেন, অস্ত্রাঘাত লাগিবেই। বিশেষতঃ সাহিত্যক্ষত্রে যাহার ক্ষত্ৰিয়বৃত্তি অবলম্বন করিয়াছেন তাঙ্গর সব সময়ে পিতামহ ভীষ্ম বা ধনুৰ্ব্বেদাচাৰ্য্য দ্রোণের উপরোধ রক্ষা করিয়া চলিতে সমর্থ নহেন। আশা করি কথাটা মনে রাখিয়া পাঠকবর্গ ক্ষমা করিবেন। সীতা কর্তৃক লক্ষ্মণের প্রতি তিরস্কারজনিত দোষের গুরুত্ব কমাইবার জন্য জিতেন্দ্রবাবুর প্রধান যুক্তি এই তৎকালীন অবস্থা স্মরণ করিলে বুঝা যাইবে যে সীতা শ্রীরামের অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়া এমন বিমোহিতচেতনা হইয়াছিলেন যে র্তাহার কর্তব্যাকৰ্ত্তব্য বোধ লোপ পাইয়াছিল, সুতরাং ভাবিয়া চিন্তিয়া তিরস্কার করিবার অবসর তাহার কোথায় ? ঠিক, নষ্টচেতন হইলে ভাবিবার অবসর থাকে না তাহা সত্য, কিন্তু নষ্টচেতন হওয়াটাই কি দোষের হয় নাই ? জিতেন্দ্রবাবু বলিবেন অবস্থাটা গুরুতর ! অবস্থাকে জয় করাই কি মহত্ত্বের

  • বিগত পৌষ সংখ্যার প্রবাসীতে লীযুক্ত জিতেন্দ্রলাল বসু, এম, এ, বি. এল. মহাশয় শ্ৰীযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ বসু লিখিত মাইকেল মধুসুদন দত্তের জীবনচরিতের সীতা অংশের সমালোচনা করিয়াছেন। এ প্রবন্ধ উক্ত সমালোচনা পাঠে লিখিতু ।

সীতা । a " "هه ی "هیه - ۹۰۰ه. Gu-Σ অন্যতম লক্ষণ নয় ? সাধারণের ও অসাধারণের ইহাই পার্থক্য । সীতা অসামান্ত নারী বলিয়াই তাহার নিকট আমাদের এই দাবী। রাবণগৃহে বন্দিনী সীতা যে অবস্থায় আত্মরক্ষা করিয়াছিলেন, সে অবস্থায় একজন সাধারণ নারী আত্মরক্ষা করিতে পারে না, না পারিলে অবস্থা দৃষ্টে লৌকিক শাস্তির পরিমাণ লঘু হয়। সীতা পারিয়াছিলেন বলিয়াই, অবস্থার উপর জয়লাভ করিয়াছিলেন বলিয়াই তিনি আজ সীতা । সুতরাং লক্ষ্মণকে তিরস্কারকারিণী সীতার কাছে এই অবস্থায় জয় আকাজ করাটা কেনজিতেন্দ্রবাবুর কাছে অস্বাভাবিক বলিয়া বিবেচিত হইল তাহ আমরা বুঝিতে অক্ষম। জিতেন্দ্রবাবু মেঘনাদ বধের সীতাকে রামের মঙ্গলের জন্য দেবতাদিগের নিকটেও প্রার্থনা করিতে দিতে প্রস্তুত নন। কেন না, “আর্ষ রামায়ণের সীতা শ্রীরামচন্দ্রের বীরত্বের প্রতি সন্দেহশালিনী ছিলেন না” । অথচ যে সীতা শ্রীরামকে বিকট বিরাধ রাক্ষস কিম্বা সাদ্ধ এক মুহূৰ্ত্ত, মধ্যে চতুদশ সহস্র রাক্ষসপরিবেষ্টিত থরদূষণকে বধ করিতে দেখিয়াছেন, মৃগয়ার্থ বহির্গত ধমুম্পাণি সেই রামকে হঠাৎ বুঝি রাক্ষসেরা ধরিয়া খাইয় ফেলিল ভাবিয়া যে হতচেতনা হইলেন, ইহার মধ্যে জিতেন্দ্রবাবু কিছুই অস্বাভাবিক দেখিতে পান নাই, অথচ পাশে থাকিয় লক্ষ্মণ সে কথাটা স্মরণ করাইয়াও দিলেন। তিনি হয় তো বলিবেন, “স্নেহ পাপ শঙ্কী”। দুঃখের বিষয় মেঘনাদ বধের সীতার প্রতি এই অনুকম্পা প্রদর্শন করিতে তিনি কৃপণতা করিয়াছেন। যাহা হউক, ইহা অপেক্ষাও গুরুতর অবস্থায় সীতাদেবীকে ধৈর্য্যরক্ষা করিয়া আমরা কর্তব্য নিৰ্দ্ধারণ করিতে দেখিয়াছি। সীতাদেবী রাবণগৃহে আবদ্ধ। রাবণ ও রাক্ষসীগণের উৎপীড়নে তিনি স্বীয় অবস্থাকে নিতান্ত অসহনীয় বোধ করিতেছেন । রাবণ যে ছমাস সময় দিয়াছিল তাহা ও গতপ্রায়। সুতরাং আর উপায় না দেখিয়া তিনি বেণীবন্ধের দ্বারা উদ্বন্ধনে আত্মহত্যা করিবার জন্ত শিংশপা বৃক্ষের ডাল ধরিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। অবস্থাটা কিরূপ তাহ সহজেই অনুমেয়। এইরূপ সময়ে হনুমান আত্মপ্রকাশ কুরতঃ সীতাদেবীকে স্বন্ধে করিয়া শ্রীরামসন্নিধানে লইয়া যাইবার প্রস্তাব উপস্থিত করিলেন। উদ্ধারের আর উপায় নাই ভাবিয়া যিনি এইমাত্র আত্মহত্যা করিতেছিলেন, তাহারই