পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা । ] বপরীত সিদ্ধান্তেই উপনীত হইতে হয়। জিতেন্দ্রবাবুর ত সমর্থনের উপাদান তাহাতে নাই। স্বাভাবিক হউক অস্বাভাবিক হউক জিতেন্দ্রবাবুর একটা ক্তি আছে যে তাহা না হইলে রামায়ণ রচনা হইতে পারিত ৰা। যেরূপেই হউক লক্ষ্মণকে কুটার ছাড়া করিতেই হইবে। আমরা এরূপ যুক্তির কি উত্তর দিব জানি না। বাল্মীকি দি তাহার আদর্শ চরিত্রকে সিংপরিমাণে ক্ষুণ্ণ না করিয়া কাব্য রচনা করিতে না পারিতেন, তবে রামায়ণ হইত না, লাকে তাহার যশোগান করিত না ! ইহার অর্থ এক্ট, যে এরূপ একটা অস্বাভাবিক ঘটনার আশ্রয় না লইলে আদি কবি রামায়ণ রচনা করিতে পারিতেন না ! মহর্ষি বাল্মীকির কুট কে খৰ্ব্ব করিয়াছেন-যোগীন্দ্রবাবু না জিতেন্দ্রবাবু-সে কথা বুঝাইতে যাইয়া আমরা পাঠকের বুদ্ধির অবমাননা করিতে চাই না । দ্বিতীয় যুক্তি এই, এরূপ না হঙ্গলে, অন্ত তিরস্কারে যদি লক্ষ্মণ সীতাকে ছাড়িয়া যাইতেন তবে তাহা তাহার চরিত্রায়ুtায়ী হইত না । এ কার্য্যে লক্ষ্মণের যাহা দোষ হইয়াছে, তাহা কোন যুক্তিতেই স্থালিত হইবে না। তিনি যখন জানিতেন শ্রীরামের কোন বিপদ হয় নাই এবং উহা রাক্ষসদরই চক্রান্ত তখন সীতাকে অরক্ষিত অবস্থায় রাখিয়া লিয়া যাওয়ার দোষ রহিলই, তাহা যে কারণেই হউক। সীতার তিরস্কারের কথা আনুপূৰ্ব্বিক বর্ণনা করিলেও শ্রীরাম লক্ষ্মণের কায্যে অনুমোদন করেন নাই— ন হি তে পরিতুষ্যামি ত্যক্ত যদসি মৈথিলীম্‌ ! অ, a৯২৩ এ সম্বন্ধে জিতেন্দ্র বাবুর তৃতীয় যুক্তি এক্ট, “যদি সীতাদবী লক্ষ্মণকে কাপুরূষ বলিয়া জানিতেন তাহ হইলেও বা ভয়ের জন্ত র্তাহাকে উদ্ধার করিতে যাইতেছেন না এমন ন্দেহ তাহার মনে উদয় হইতে পারিত।” কিন্তু সমর্থ হইয়াও খন যাইতেছেন না, তখন নিশ্চয়ই র্তাহার মনে কোনও রভিসন্ধি আছে, এরূপ সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক। এ সম্বন্ধে প্রথম কথা এই, জিতেন্দ্রবাবু সীতাদেবীকে যেরূপ ভাবে বর্ণনা কুরিয়াছেন, তাহাতে সে সময়ে তাহার এতটুকুও বিচারশক্তি ছল বলিয়া মনে হয় না । যদি বিচারশক্তিই থাকিত সবে লক্ষ্মণের ত্রয়োদশবর্ষব্যাপী সাধনার কথাটাই আগে মনে আসিত দ্বিতীয় কৃথা এই, কাপুরুষ বলিয়া না জামুন কিন্তু সীতা । A SASAASAASAASAASAAAS - * "Qb・○ AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAA AAAAeSAASAASAASA SAASAAAS যে রাক্ষসের হাতে শ্রীরামচন্দ্রের জীবন বিপদাপন্ন হইয়াছে সেই রাক্ষসের সম্মুখীন হইতে লক্ষ্মণের ভয় হইবে না ইহার প্রমাণ সীতাদেবী কোথায় পাইলেন ? শ্রীরাম যখন চতুর্দশ সহস্র রাক্ষসসহায় খরদূষণের সঙ্গে যুদ্ধ করিতেছিলেন লক্ষ্মণ তো ভাল মানুষটর মত সীতাকে লইয়া নিরাপদ স্থানে বাস করিতেছিলেন, রামের দোসর হইবার জন্ত লক্ষণ তো কিছুমাত্র ব্যগ্রতা প্রকাশ করেন নাই । যে অবস্থায় লক্ষ্মণের ত্রয়োদশ বর্ষেপার্জিত শতঘটনায় পরীক্ষিত ব্রাহ্মণত্বটুকু সীতাদেবী ভুলিয়া গেলেন, সেই অবস্থায় অপরীক্ষিত অপ্রমাণিত ক্ষত্ৰিয়ত্বে বিশ্বাস করা কি স্বাভাবিক হইল ? সীতা হরণের পূৰ্ব্বে লক্ষ্মণ এমন কিছুই করেন নাই যাহাতে তিনি ক্ষত্রিয়াগ্রগণ্য বলিয়া বিবেচিত হইতে পারেন। কিন্তু তাহার মধ্যে ব্রাহ্মোণোচিত গুণের অভাব ছিল না। সীতার পক্ষে লক্ষ্মণের উপর সে সময়ে “ভীরুতা দোষ আরোপ করাই অত্যন্ত স্বাভাবিক ও যুক্তিসঙ্গত ছিল। জিতেন্দ্রবাবু বলিবেন, তাহাতে কাজ হাসিল হইত না । “মাইকেল যে তিরস্কার লিপিবদ্ধ করিয়াছেন তাহ শুনিয়া লক্ষ্মণ তো হাসিয়া উড়াইয়া দিতেন।” “রে ভীরু রে বীরকুলগ্নানি” না হয় হাসিয়া উড়াইয়া দিলেন, কিন্তু “যাব আমি দেখিব কাতরস্বরে কে স্মরে আমারে” বলিয়া যখন তারধনুক লইয়া সীতাদেবী শব্দানুযায়ী দণ্ডকারণ্যের পথে বাহির হইয়া পড়িতেন, তখন বোধ হয় এক পাও না নড়িয়া কুটীরে বসিয়া হাসিয়া হাসিয়া সময় কাটাইয়া দেওয়া “সুবুদ্ধি’ লক্ষ্মণের পক্ষে সম্ভব হইত না তখন বিন গালিতেই কাৰ্য্য হাসিল হইত না কি ? সুতরাং লক্ষ্মণচরিত্রের গুরুত্বও বজায় থাকিত, রামায়ণ রচনারও ব্যাঘাত হইত না এবং লক্ষণের তিরস্কার লইয়া এত কথাও উঠিতে পারিত না । কিন্তু জিজ্ঞাস্য এই “রে ভীরু রে বীরকুলগ্রানি” গালিটা কি হাসিয়াই উড়াইয়া দিবার কথা ? বাঙ্গালীকে ভীরু কাপুরুষ বলিলে সে না হয় হাসিতে পারে, ক্ষত্রিয় হাসিতে পারে না । বর্তমান কালের বাঙ্গালীও নাকি আর হাসিতেছে না । সংবাদ পত্রে প্রকাশ বাঙ্গালীও ভীরুতাপবাদের প্রতিবাদস্বরূপ ইট পাটুকেল ছড়িতে আরম্ভ করিয়াছে। ক্ষত্রিয়ের মৰ্ম্মস্থান কোথায় বাঙ্গালী বুঝিতে না পারিলেও ক্ষত্রিয় বুঝিতে পারে। লক্ষ্মণের মৰ্ম্মস্থান কোথা ঐরামচন্দ্র