পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা | J সীতা । á~&

    • rsعهها

সব সেই কামনাعه ..هT ** করিতেছিলেন, তবে তাঁহাদের বিনাশে জিতেন্দ্রবাবু তােহই অস্বভাবকਾਂ বলছেন- - ན༽ ੋਕ নাকাটা করিতেন কেন? এই 'কেন'র উত্তর মানবয়ের দুরবগাহত। যাহা সাধারণের কাছে অসম্ভব, সাধরণ লোকোত্তরচরিত্রের কাছে তাহ সম্ভব। তাহ হইলে তে যীশুখ্রীষ্টের আততায়িগণের জন্ত “Father, orgive them, they know not what they do”, অথবা যে পুরোহিতগণ প্রচ্ছদবধের জন্য ঘাতক উৎপন্ন ফরিয়াছিল, ঘাতকগণ যখন প্রহ্লাদকে ছাড়িয়া সেই পুরোহতগণকে হত্যা করিতে লাগিল, তখন প্ৰহলাদের পক্ষে ভগtানের কাছে ব্যাকুলভাবে পুরোহিতগণের জীবনভিক্ষ অসম্ভব ২য়! সীতার আস্তরিক ইচ্ছা পতিসমাগম। তাই বলিয়া তিনি আর সকল ভুলিয়া যান নাই, যেকোন উপায়ে উদ্দেশু সাধিত ইউক, ইহাতে র্তাহার সম্মতি ছিল না, নইলে তো হনুমানের ঙ্গেই যাইতেন। তাহ যে শ্রীরামপত্নীর উপযুক্ত হয় না, তাহাতে শ্রীরামের সম্মান অক্ষুণ্ণ থাকে না। সীতাদেবী রক্ষেণবংশের ধ্বংস উদ্দেশ্র্যরূপে চিন্ত করেন নাই, পতিসমাগমের উপায়রূপে কল্পনা করিয়াছিলেন । রাবণ যদি স্বীয় দোষ স্বীকার করিয়া ঐরামের শরণাপন্ন হইত ও সীতা প্রত্যপণ করিত তবে রামায়ণ হইত না বটে কিন্তু সীতাদেবী কি বলিতেন, “না, আমি যাব না, শ্রীরাম রক্ষোবংশ ধ্বংস করিয়া আমাদের উদ্ধার করুন” । তাহা কখনই সম্ভব নয়। রক্ষোবংশ ধ্বংস অন্ততর উপায় মাত্র, রাবণবংশ বিনাশ ব্যতীত অন্ত উপায় ছিল না তাই এ কামনা। উদ্দেশু সাধনের উত্তেজনা যখন মনের উপর কার্য্য করিতে থাকে তখন উপায়ের কঠোরতার দিকে দৃষ্টি পড়ে না। কিন্তু উদ্দেশু সফল হইবার পর তজ্জনিত আনন্দের সঙ্গে সঙ্গেই উপায়োদ্ভূল নিরানন্দ অনেক সময়েই হৃদয়ে স্থান পায়, মনের উপরে একটা প্রতিক্রিয়া হয়—আহা, এরূপটা না হইয়াও যদি উদ্দেশু সিদ্ধ হইত ! এই যে মানবহৃদয়ে আনন্দ ও নিরানন্দের একত্র সমাবেশ, ইহা মনোবিজ্ঞানবিদ্‌ পণ্ডিতগণ—স্বীকার করেন। রামায়ণ পড়িতে পড়িতে কাহার হৃদয়ে না তীব্র আকাঙ্ক্ষার উদয় হয় যে রাক্ষসবংশ ধ্বংস হউক, সীতার উদ্ধার হউক। কিন্তু এমন হৃদয়ই বা কয়টি আছে যে ন্দোদরীর বিলাপ শুনিতে শুনিতে রক্ষোবংশের প্রতি পহানুভূতি অনুভব করিবে না। যাহা অত্যন্ত স্বাভাবিক একান্ত কামনা কি ছিল ? ধৰ্ম্মপত্নী কাড়িয়া লইয়৷ উত্তরীয়থগু পৰ্য্যন্ত না দিয়া যে বালী তাহাকে রাজ্য হইতে বাহির করিয়া দিয়াছিলেন, র্যাহার ভয়ে দুদিন এক স্থানে সুস্থির হইয়া বাস করিতে পারিতেন না, সেই বালীর বিনাশই কি সুগ্ৰীবের শয়নস্বপনের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান ছিল না ! সে জন্ত তিনি শ্রীরামকে কত ভাবেই না প্ররোচিত করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন বালী নিহত হইলেন, তখন সুগ্ৰীব কাদিয়া দেশ ভাসাইয়া দিলেন, নিজেকেই নিন্দ করিতে লাগিলেন। জিতেন্দ্রবাবু কি বলিতে চান, সম্ভব নয় । রামায়ণের পাঠক মাত্রই অবগত আছেন সীতাদেবী রামসমাগমের জন্ত যতটা ব্যাকুল হইয়াছিলেন রামচন্দ্র সীতাসমাগমের জন্ত, তাহ অপেক্ষা কম অধীর হন নাই । বালীবধে তো সেই পথই উন্মুক্ত হইল, তবুও তারার বিলাপে খ্রীরাম কাদিয়া আকুল হইলেন কেন ?-- ع সমান-শোকঃ কাকুৎস্থঃ সান্তয়ন্নিদমব্ৰবীৎ । কি, ২৫১ জিতেন্দ্রবাবু কি বলিবেন স্বাভাবিক হয় নাই! শ্রীরাম ক্ষত্রিয় পুরুষসিংহ হইয়াও যে কাদাকাটা করিলেন এবং মহর্ষি বাল্মীকি তাহাতে দোষ দেখিলেন না রমণী সীতার সেই নারীজনস্থলভ কাদাকাটা দেখিয়া জিতেন্দ্রবাবু মাইকেলের প্রতি তুষানল ব্যবস্থা করিয়াছেন। যুধিষ্ঠির থাকিলে বলিতেন “কিমাশ্চর্যামতঃ পরম্।” মধুসূদনও জানিতেন সীতা তেজোময়ী ক্ষত্রিয়ললন, তিনি সিংহিনী “যাব আমি, দেখিব কাতরস্বরে কে স্মরে আমারে” এই ছুটী কথাতেই সে প্রকৃতি অতি উজ্জ্বলভাবে ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। তাহার সঙ্গে বাঙ্গালী কুলবধুর কাদাকাটাটা যোগ করিয়া দিয়া সোনায় সোহাগা করিয়াছেন, কঠোরে কোমলের সমবেশে লোকোত্তরচরিত্রের অবতারণা করিয়াছেন— “বজাদপি কঠোরাণি মৃদুনি কুসুমাদপি । লোকোত্তরাণাং চেতাংসি কে মু বেদিতুমৰ্হতি ॥” উত্তরচরিত। শত্রর প্রতি অনুকম্পায় মানবে দেবভাবের আবির্ভাব । এই দেবভাবে যে মাইকেলী সীতা রামায়ণী সীতাকে অতিক্রম করিয়াছেন, ইহা ইচ্ছায় হউক অনিচ্ছায় হউক আমাদিগকে স্বীকারই করিতে হুইবে । - এখানে কয়েকটা অবাস্তর কথা উপস্থিত হইয়াছে।