পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা । ] AMSAASAASAASAASAAMMeMMASAMMeMeeSeAMeASAMSMAAASAAAA «هیمهها=میم _.....".*?" " - বিলাতীভাব ও বিলাতীশিক্ষা। SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAMAeAAA AAAASAAAA

  • e»&

u BBB BB BBiB BB BBB DDS e eeee eeeeS ke Bee iS শলকে জানিতে ইচ্ছা করিবে নী—শ্রোতাকেই জানিতে হইবে । অল্পরসকে জানিতে ইচ্ছা করিবে ন—অন্নরসের বিজ্ঞাতাকেই জানিতে হইবে। কৰ্ম্মকে জানিতে ইচ্ছা করিবে না-কৰ্ত্তাকেই জানিতে হইবে। কুখ দুঃখকে জানিতে ইচ্ছা করিবে ন—সুখদুঃখের বিজ্ঞাতাকে জানিতে ইচ্ছা করিবে। আনন্দরতি ও প্রজাতিকে জানিতে ইচ্ছা করিবে না— আনন্দরতি ও প্রজাতির বিজ্ঞাতাকে জানিতে হইবে। গতিকে জানিতে হইবে না কিন্তু গন্তাকেই জানিতে হইবে। মনকে জানিতে ইচ্ছা করিবে না কিন্তু মনন কৰ্ত্তাকেই জানিতে হইবে"। প্রজ্ঞামাত্রা ও ভুতমাত্রা । “এই দশটা ভুতমাত্র (=রপরসাদি বিষয়) প্রজ্ঞাশ্রিত এবং দশটা প্রজ্ঞামাত্রা (=বাগাদি ইন্ডিয়) ভূতাশিত। যদি ভুতমাত্র না থাকিত প্রজামাত্রা থাকিত না এবং প্রজ্ঞামাত্রা না থাকিলেও ভুতমাত্রা থাকিত না। এতদুভয়ের মধ্যে (কেবলমাত্র ) একটা হইতে কোন বিষয়ই সম্ভব হয় না ; (কিন্তু আবার) ইত নানা নহে (অর্থাৎ প্রজ্ঞামাত্রা ও ভুতমাত্র পৃথক বস্তু নহে )। যেমন রথের আর সমূহে নেমি এবং নাভিতে অর সমূহ প্রতিষ্ঠিত থাকে, তেমনি ভুতমাত্রা প্রজামাত্রাতে এবং প্রজ্ঞামাত্র ভুতমাত্রাতে প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে”। ঋষির বলিবার অভিপ্রায় এই যে প্রাণই মুখ্য বস্তু, ইহারই অপর নাম প্রজ্ঞাত্মা। ইনি কেবল ইক্রিয় নহেনইনি প্রজ্ঞাত্মাও বটেন। আত্মা হইতেই ষ্টক্রিয়াদি উৎপন্ন হইয়াছে এবং ইন্দ্ৰিয়সমূহঁই আবার জগৎ সৃষ্টি করিয়াছে । এ জগৎ ইন্দ্রিয়ব্যাপার ভিন্ন আর কিছুক্ত নহে। এই মতের অনুসরণ করিয়াই শঙ্করাচার্য বলিয়াছেন “সৰ্ব্বং তি অন্তঃকরণবিকারমেব জগৎ"-( মধুকভাৰ্য ২১৪ )। অর্থাৎ এই বিশ্বজগৎ অন্তঃকরণেরষ্ট বিকার। রূপরসাদি বিষয় প্রজ্ঞাকে অবলম্বন করিয়া রহিয়াছে এবং প্রজ্ঞামাত্রাও জগৎকে আশ্রয় করিয়া রহিয়াছে। Fichte (ফিকৃটে )এর Wofiti No Subject without an Object and no অর্থাৎ বিষয় ভিন্ন বিষয়ী থাকিতে পারে না এবং বিযয়ী ভিন্নও বিষয়ের অস্তিত্ব অসম্ভব। যেখানে ইন্দ্রিয় সেইখনেই ইন্দ্রিয়ব্যাপার এবং যেখানে ইন্দ্রিয়ব্যাপার সেইখনেই ইন্দ্রিয়। যেখানে ইন্দ্রিয় নাই, সেখানে ইন্দ্ৰিয়ব্যাপারও নাই এবং যেখানে ইন্দ্রিয়ব্যাপার নাই, বুঝিতে হইবে সেখানে ইন্দ্রিয় ও নাই। যদি বিষয় ছাড়া বিষয়ী না থাকিতে পারে তাহা হইলে আত্মার স্বাধীনতা রহিল, কোথায় ? এ প্রশ্নের উত্তরে ঋষি বলিতেন, যিনি জ্ঞাত, তিনিই জ্ঞেয়। ফিকৃটের ভাষায় “The Ego is not to be regarded as subject merely but Object without a Subject. বিষয়ী নহেন তিনি বিষয় ও বিষয়ী উভয়ই অর্থাৎ তিনি “বিষয়-বিষয়ী” । ঋষি স্পষ্টই বলিয়াছেন “ন উ এতৎ নানা”—ইহার মধ্যে নানাত্ব নাই—এতদুভয় একই। আত্মাই ব্ৰহ্ম । “এই প্রাণই প্রজ্ঞাত্মা, আনন্দ অজর ও অমৃত । ইহ সাধু কৰ্ম্ম দ্বার। বৰ্দ্ধিত হয় না এবং অসাধু কৰ্ম্ম দ্বারাও হীন হয় না । ইহা যাহাকে উৰ্দ্ধে লইতে চাহে তাহাকে সাধু কাৰ্য্য করাইয়া থাকে আর যাহাকে নিয়ে লইতে চাহে তাহাকে অসাধু কার্যা করাইয় থাকে। ইনিই লোকপাল, ইনিই লোকাধিপতি, ইনি সর্বেশ্বের । ইনিই আমার আত্ম\, এই রূপ জানিবে ।” ৮ ॥ এই অধ্যায়ের উপসংহারে প্রাণকে আবার প্রজ্ঞাত্মা বলিয়া বর্ণনা করা হইল। ইনিই আনন্দস্বরূপ, অমৃতস্বরূপ ও অজর। এই প্রাণ পরিপূর্ণ,—এই প্রাণ পুর্ণাত্মা", এই উপদেশ দিবার জন্তই বলা হইল যে সাধু বা অসাধুকৰ্ম্ম দ্বারা ইহার বৃদ্ধি বা হ্রাস হয় না। এখন প্রশ্ন, পাপপুণ্য করে কে ? ইহার উত্তর এই –প্রাণ ইন্দ্ৰিয়সমূহের অন্তভুত হইলেও ইহার শ্রেষ্ঠত্ব রহিয়াছে। এই প্রাণ হইতেই ইন্দ্রিয়সমূহ উৎপন্ন হঠয়াছে। এই প্রাণই ইঞ্জিয়সমূহের কৰ্ত্ত—-ইন্দ্রিয়বিশিষ্ট,জীবের কর্তা । ইনিই ইন্দ্রিয়বিশিষ্ট জীবকে নিয়মিত করিতেছেন এবং ইনি বিশ্বজগৎকে নিয়মিত করিতেছেন। বিশ্বজগৎ প্রাণ হইতে উদ্ভূত এবং প্রাণেই অধিষ্ঠিত। এইজন্তই ধলা হইয়াছে ইনি লোকপাল, লোকাধিপতি ও সৰ্ব্বেশ্বর । ইহাই অধ্যাত্মবাদের চরমসীমা। ংক্ষেপে আত্মা ব্রহ্ম | মহেশচন্দ্র ঘোষ । ヘ/ বিলাতীভাব ও বিলাতীশিক্ষা । R ( পিরিউর ফরাসী হইতে ) মেকলে যে মতলব আঁটিয়াছিলেন, শীঘ্রই তাহা কাৰ্য্যে পূরিণত হইল। বড়লাট লর্ড বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ খৃষ্টাব্দে হুকুম জারী ' করিলেন যে, শিক্ষার জন্ত যে টাকা নির্দিষ্ট আছে, এখন হইতে তাহা ইংরাজি শিক্ষায় ব্যয়িত হইবে। এই হুকুম জারী হইবার