পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*عيي..ع-مم...ه د--... د. د ده...ه কতখানি তা যদি স্পষ্ট করে দেখতে পেতে তা হলে একটা আক্ষেপোক্তি মাত্র প্রকাশ করে ব্যাপারটাকে নিজের কাছ থেকে ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করতে না ।” মনের উত্তেজনার সঙ্গে গোরার পদক্ষেপ ক্রমশই দ্রুত হইতে লাগিল। বিনয় তাহার কথায় কোনো উত্তর না করিয়া তাহার সঙ্গে সমান পা রাখিয়া চলিবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইল। গোরা বলিতে লাগিল—“সমস্ত জাত মিথ্যার কাছে মাথা লিকিয়ে দিয়ে রেখেছে। দেবতা, অপদেবতা, পেচে, হাচি, বৃহস্পতিবার, ত্র্যহম্পর্শ-ভয় যে কত তার ঠিকানা নেই- জগতে সত্যের সঙ্গে কি রকম পৌরুষের সঙ্গে ব্যবহার করতে হয় তা এরা জানবে কি করে ? আর তুমি আমি মনে করচি যে আমরা যখন চুপাতা বিজ্ঞান পড়েচি তথন আমরা আর এদের দলে নাই। কিন্তু একথা নিশ্চয় জেনো চারদিকের হীনতার আকর্ষণ থেকে অল্প লোক কখনই নিজেকে বইপড়া বিষ্কার দ্বারা বাচিয়ে রাখতে পারে না। এরা যতদিন পর্য্যস্ত জগদ্ব্যাপারের মধ্যে নিয়মের আধিপত্যকে বিশ্বাস না করবে যতদিন পর্য্যন্ত মিথ্যা ভয়ের দ্বারা জড়িত হয়ে থাকৃবে ততদিন পর্য্যন্ত আমাদের শিক্ষিত লোকেরাও এর প্রভাব ছাড়াতে পারবে না।” বিনয় কহিল -“শিক্ষিত লোকেরা ছাড়াতে পারলেই বা তাতে কি ! ক’জনই বা শিক্ষিত লোক ! শিক্ষিত লোকদের উন্নত করবার জন্তেই যে অন্ত লোকদের উন্নত হতে হবে তা নয়—বরঞ্চ অন্ত লোকদের বড় করবার জন্তেই শিক্ষিত লোকদের শিক্ষার গৌরব।” গোরা বিনয়ের হাত ধরিয়া কহিল—“আমি ত ঠিক ঐ কথাই বলতে চাই। কিন্তু তোমরা নিজেদের ভদ্রতা ও শিক্ষার অভিমানে সাধারণের থেকে স্বতন্ত্র হয়ে দিব্য নিশ্চিন্তু হতে পার এটা আমি বারম্বার দেখেছি বলেই তোমাদের আমি সাবধান করে দিতে চাই যে নীচের লোকদের নিষ্কৃতি না দিলে কখনই তোমাদের যথার্থ নিস্কৃতি নেই। নৌকার খোলে যদি ছিদ্র থাকে তবে নৌকার মাস্তুল কখনই , গায়ে ফু দিয়ে বেড়াতে পারবে না, তা তিনি যতই উচ্চে থাকুন না কেন।” বিনয় নিরুত্তরে গোরার সঙ্গে সঙ্গে চলিতে লাগিল । همه ماهواده مهیبی . تخههای دهه ۰به دههحمد AeeASAeeMAeeAeMAeeeSAASAASAASAASAAeeSeeSAeAeeeeMAeSASAeMAeS গোরা কিছুক্ষণ চুপ করিয়া চলিয়া হঠাৎ বলিয়া উঠিল— “না বিনয়, এ আমি কিছুতেই সহজে সহ করতে পারব না। ঐযে ভূতের ওঝা এসে আমার নদকে মেরে গেছে তার মার আমাকে লাগচে, আমার সমস্ত দেশকে লাগচে । আমি এই সব ব্যাপারকে এক একটা ছোট এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে কোন মতেই দেখতে পাবিনে ৷” তথাপি বিনয়কে নিরুত্তর দেখিয়া গোরা গৰ্জ্জিয়াউঠিল— “বিনয়, আমি বেশ বুঝতে পারছি তুমি মনে মনে কি ভাবচ! তুমি ভার্চ এর প্রতিকার নেই কিম্বা প্রতিকারের সময় উপস্থিত হতে অনেক বিলম্ব আছে। তুমি ভার্চ এই যে সমস্ত ভয় এবং মিথ্যা সমস্ত ভারতবর্ষকে চেপে দাড়িয়ে রয়েছে, ভারতবর্ষের এ বোঝা হিমালয়ের মত বোঝা, একে ঠেলে টলাতে পারবে কে ? কিন্তু আমি এরকম করে ভাবতে পারিনে যদি ভাবতুম তা হলে বাচতে পারতুম না। যা কিছু আমার দেশকে আঘাত করচে তার প্রতিকার আছেই তা সে যতবড় প্রবল হোক—এবং একমাত্র আমাদের হাতেই তার প্রতিকার আছে এই বিশ্বাস আমার মনে দৃঢ় আছে বলেই আমি চারিদিকের এত দুঃখ দুৰ্গতি অপমান সহ করিতে পারচি।” বিনয় কহিল—“এত বড় দেশজোড়া প্রকাও দুর্গতির সাম্নে বিশ্বাসকে খাড়া করে রাখতে আমার সাহসই হয় না।” গোরা কহিল—“অন্ধকার প্রকাণ্ড আর প্রদীপেন্ন শিখা ছোট। সেই এতবড় অন্ধকারের চেয়ে এতটুকু শিখার উপরে আমি বেশি আস্থা রাখি। দুৰ্গতি চিরস্থায়ী হতে পারে একথা আমি কোনোক্রমেই বিশ্বাস করতে পারিনে--সমস্ত বিশ্বের জ্ঞানশক্তি প্রাণশক্তি তাকে ভিতরে বাহিরে কেবলি আঘাত করচে, আমরা যে হই যতই ছোট হই সেই জ্ঞানের দলে প্রাণের দলে দাড়াব, দাড়িয়ে যদি মরি তবু একথা নিশ্চয় মনে রেখে মরব যে আমাদেরই দলের জিত হবে--দেশের জড়তাকেই সকলের চেয়ে বড় এবং প্রবল মনে করে তারই উপর বিছানা পেতে পড়ে থাকব না। আমিত বলি জগতে সয়তানের উপরেই বিশ্বাস স্থাপন করা আর ভূতের ভয় করা ঠিক একই কথা, ওতে ফল হয় এই যে রোগের সত্যকার চিকিৎসায় প্রবৃত্তিই হয় না । যেমন মিথ্যা ভয়, তেমনি মিথ্যা ওঝা—দুইয়ে মিলেই আমাদের মারতে থাকে। বিনয়, আমি তোমাকে বারবার বলচি একথা এক মুহূর্তের জন্য