পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HAAASAASAASAASAASAAASAAA SASAASAAAS »۳۰۰-- ی-مه ی ۰۰۰-مد বিনয়। ইঁ, সম্প্রতিই আবিষ্কার করেছি এবং হঠাৎ আবিষ্কারই করেছি। এতবড় সত্য আমি এতদিন জানতুম না। জানতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করচি। আমরা যেমন চাষাকে কেবল মাত্র তার চাষ বাস, র্তাতিকে তা’র কাপড় তৈরির মধ্যে দেখি বলে তাদের ছোট লোক বলে অবজ্ঞা করি, তারা সম্পূর্ণভাবে আমাদের চোখে পড়ে না এবং ছোট লোক ভদ্রলোকের সেই বিচ্ছেদের দ্বারাই দেশ দুৰ্ব্বল হয়েছে, ঠিক সেই রকম কারণেই দেশের মেয়েদের কেবল তাদের রান্নাবান্না বাটন বঁটার মধ্যে আবদ্ধ করে দেখচি বলেক্ট মেয়েদের মেয়ে মানুষ বলে অত্যন্ত থাটো করে দেখি—এতে করে আমাদের সমস্ত দেশই খাটো হয়ে গেছে। গোরা। দিন আর রাত্রি-সময়ের এই যেমন দুটো ভাগ-পুরুষ এবং মেয়েও তেমনি সমাজের দুই অংশ। সমাজের স্বাভাবিক অবস্থায় স্ত্রীলোক রাত্রির মতই প্রচ্ছন্ন—- তাঁর সমস্ত কাজ নিগুঢ় এবং নিভৃত । আমাদের কৰ্ম্মের হিসাব থেকে আমরা রাতকে বাদ দিষ্ট। কিন্তু বাদ দিষ্ট বলে তার যে গভীর কৰ্ম্ম তার কিছুক্ট বাদ পড়ে না ! সে গোপন বিশ্রামের অন্তরালে আমাদের ক্ষতি পূরণ করে আমাদের পোষণের সহায়তা করে। যে গানে সমাজের অস্বাভাবিক অবস্থা সেখানে রাতকে জোর করে দিন করে তোলে—সেখানে গ্যাস জালিয়ে কল চালানো হয়, বাতি জালিয়ে সমস্ত রাত নাচ গান হয়—তাতে ফল কি হয় । ফল এই হয় যে, রাত্রির যে স্বাভাবিক নিভৃত কাজ তা নষ্ট হয়ে যায়, ক্লান্তি বাড়তে থাকে, ক্ষতিপূরণ হয় না, মানুষ উন্মত্ত হয়ে ওঠে। মেয়েদেরও যদি তেমনি আমরা প্রকাগু কৰ্ম্ম ক্ষেত্রে টেনে আনি তাহলে তাদের নিগুঢ় কৰ্ম্মের ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায় তাতে সমাজের স্বাস্থ্য ও শান্তিভঙ্গ হয়, সমাজে একটা মত্ততা প্রবেশ করে। সেই মত্ততাকে হঠাৎ শক্তি বলে ভ্রম হয়, কিন্তু সে শক্তি বিনাশ করবারই শক্তি । শক্তির ফুটে অংশ আছে, এক অংশ ব্যক্ত আর এক অংশ অব্যক্ত, এক অংশ উদ্যোগ আর এক অংশ বিশ্রাম, এক অংশ প্রয়োগ আর এক অংশ সম্বরণ—শক্তির এই সামঞ্জস্ত যদি নষ্ট কর তা হলে সে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কিন্তু সে ক্ষোভ মঙ্গলকর নয়। নরনারীও সমাজ-শক্তির দুই দিক — "؟-- श्रृङ्गहे वाङ, ख् िबाङ बाणरेcर बज्र ७ नं-नाङ्गो অব্যক্ত, এই অব্যক্ত শক্তিকেয়দি কেবলি ব্যক্ত করবার চেষ্টা করা হয় তাহলে সমস্ত মূলধন খরচ করে ফেলে সমাজকে দ্রুতবেগে দেউলে করবার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই জন্যে বলচি আমরা পুরুষরা যদি থাকি যজ্ঞের ক্ষেত্রে আর মেয়েরা যদি থাকেন তাড়ার আগলে তাহলেই মেয়ের অদৃশু থাকলেও যজ্ঞ সুসম্পন্ন হবে। সব শক্তির্কেই একই দিকে একই জায়গায় একই রকমে খরচ করতে চায় যারা তারা উন্মত্ত। বিনয়। গোরা, তুমি যা বল্লে আমি তার প্রতিবাদ করতে চাইনে কিন্তু আমি যা বলছিলুম তুমিও তার প্রতিবাদ করনি। আসল কথা— গোরা । দেখ বিনয় এর পরে একথাটা নিয়ে আর অধিক যদি বকশবকি করা যায় তাহলে সেটা নিতান্ত তর্ক হয়ে দাড়াবে। আমি স্বীকার করচি তুমি সম্প্রতি মেয়েদের সম্বন্ধে যতটা সচেতন হয়ে উঠেছ আমি ততটা হইনি— সুতরাং তুমি যা অনুভব করচ আমাকেও তাই অনুভব করাবার চেষ্টা করা কখনো সফল হবে না। অতএব এ সম্বন্ধে আপাতত আমাদের মতভেদ রইল বলেষ্ট মেনে নেওয়া যাক্না । গোরা কথাটাকে উড়াইয়া দিল। কিন্তু বীজকে উড়াইয়া দিলেও সে মাটিতে পড়ে এবং মাটিতে পড়িলে সুযোগমত অঙ্কুরিত হইতে বাধা থাকেন। এ পর্য্যন্ত জীবনের ক্ষেত্র ইষ্টতে গোর লীলোককে একেবারেই সরাষ্টয়া রাখিয়াছিল— সেটাকে একটা অভাব বা ক্ষতি বলিয়া সে কখনো স্বপ্নেও অনুভব করে নাই। আজ বিনয়ের অবস্থান্তর দেখিয়া সংসারে স্ত্রীজাতির বিশেয সত্তা ও প্রভাব তাহার কাছে গোচর হইয়া উঠিয়াছে। কিন্তু ইহার স্থান কোথায়, ইহার প্রয়োজন কি, তাহা সে কিছুষ্ট স্থির করিতে পারে নাই, এই জন্য বিনয়ের সঙ্গে একথা লইয়া তর্ক করিতে তাহার ভাল লাগে না। বিষয়টাকে সে অস্বীকার করিতেও পারে না আয়ত্ত করিতেও পারিতেছেন এই জন্ত ইহাকে আলোচনার বাহিরে রাথিতে চায়। রাত্রে বিনয় যখন বাসায় ফিরিতেছিল, তখন আনন্দময়ী তাহাকে ডাকিয়া কহিলেন—“শশিমুখীর সঙ্গে বিনয় তোর : বিবাহ নাকি ঠিক হয়ে গেছে।”