পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ] nאאה זיכל هیه ۰۹عهی ن-وسیه۹ گاه ه» বিনয় সলজ্জ হাস্তের সহিত কহিল – “হঁ, মা-গোৰু এই শুভকৰ্ম্মের-ঘটক।". ' আনন্দময়ী কছিল “শশিমুখী মেয়েটি ভাল কিন্তু বাছ ছেলে মানুষি কোরোন। আমি তোমার মন জানি বিনয়— তুমি একটু দো-মন হয়েছ বলেই তাড়াতাড়ি এ কাজ করে ফেলচ। এখনো বিবেচনা করে দেখবার সময় আছে ;– তোমার বয়স হয়েছে বাবা-এত বড় একটা কাজ অশ্রদ্ধা করে কোরো না।” বলিয়া বিনয়ের গায়ে হাত বুলাইয়া দিলেন। বিনয় কোনো কথা না বলিয়া আস্তে আস্তে চলিয়া গেল । همريN উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধব । মাতৃভূমির সেবারূপ মহাব্ৰত উদ্‌যাপন করিয়া উপাধ্যায় রহ্মবান্ধব স্বর্গারোহণ করিয়াছেন। জনসাধারণেব মধ্যে স্বরাজ নামে এক স্বাধীন স্বতন্ত্র সম্পূর্ণ জাতীয় জীবনের আদর্শ ঘোষণা করিয়া এবং সেক্ট স্বরাজ স্বদেশে প্রতিষ্ঠিত করিতে হইলে তদবিরোধিনী আলুরী শক্তিসমূহের সঙ্গে কিরূপ তেজ ও নির্ভীকতার সহিত সংগ্রাম করিতে হইবে স্বীয় জীবনে তাহার জলন্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়া তিনি ইত জগৎ তষ্টতে বিদায়ু গ্ৰহণ করিয়াছেন । শোকাত্ত ঈদয়ে ও সাশ্র নয়নে তাহার স্বদেশীয়গণ মায়ের পবিত্র নাম উচ্চারণ করিতে করিতে মাতৃযজ্ঞের পবিত্র অগ্নিতে র্তাহার দেহ আহুতি দিয়া আসিয়াছেন। উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধবের অপূৰ্ব্ব ঘটনাবলীসম্বলিত জীবনলীলার অবসান হষ্টয়াছে। তিনি আমাদের অশেষ কল্যাণ সাধন করিয়া গিয়াছেন। তদীয় মহাচ্চরিত্রের আলোচনা ও গুণকীৰ্ত্তন এবং তদীয় জীবনের মহা দৃষ্টাস্তের অমুসরণ ব্যতীত অন্ত আর কি উপায়ে এখন আমরা তাহার প্রতি আমাদের হৃদয়ের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পারি ? উপাধ্যায়ের চরিত্রের বিষয় চিন্তা করিলে সৰ্ব্বোপরি তাহার তীব্র ব্যক্তিত্বের কথাষ্ট প্রথমে মনে উদয় হয়। শক্ৰ মিত্ৰ সকলেই তাহার সেই তীব্র ব্যক্তিত্বের শক্তি অনুভব করিয়াছেন। বহু উপাদানের একত্র সমাবেশে সেই ব্যক্তিত্ব গঠিত হইয়াছিল। তৎসমুদায়ের মধ্যে র্তাহার হৃদয়ের ভাবসমূহের তীব্রতা ও গভীরতা, লক্ষ্য বিষয়ে চিত্তের উপাখ্যায় ব্ৰহ্মবান্ধব । একাগ্রতা, অদম্য উৎসাহ ও কাৰ্য্যশীলতা, সরলতা, স্পষ্টবাদিত{ ও নিভীকতা বিশেষভাবে উল্লেখ যোগ্য। উপাধ্যায় হৃদয়ে যাহাই অনুভব করিতেন তাহাই অতি গভীর ও তীব্রভাবে অনুভব করিতেন। ভাববিশেষের দ্বারা তাহার হৃদয় একবার অধিকৃত হইলে তিনি সেই ভাবের উচ্ছ, সে ও আবেগে একেবারে উন্মত্তপ্রায় হইয়া উঠিতেন ; এজন্য তাহার হৃদয়ের অনুরাগ ও বিরাগ উভয়ই অতি প্রবল ও তীব্র আকার ধারণ করিত । এষ্ট,জন্তই তিনি বন্ধুবান্ধবৃদিগকে যেমন মেহরসে আপ্লুত করিতেন বিরোধীদিগকেও তেমনি সুতীক্ষ্ম বাণে ক্ষত বিক্ষত করিতেন। কিন্তু বিরোধীদিগের প্রতি র্তাহার যে বিরাগ, তাহ অজ্ঞানীর বিরাগের স্থায় দ্বেষহিংসাজড়িত মলিন বিরাগ ছিল না ; তাহার বিরাগ জ্ঞানীর বিরাগ, সুতরাং তাহারও পশ্চাতে উদারতা ও উপেক্ষার ভাব পুর্ণমাত্রায় বিদ্যমান ছিল। বস্তুতঃ যাহাদের প্রতি র্তাহার ঘোর বিরাগ ছিল তাঁহাদের প্রতি র্তাহার লেশমাত্ৰও বৈরভাব ছিল না। তবে সম্পূর্ণ সরল ও নির্ভীকচরিত্র ছিলেন বলিয়া হৃদয়ের অনুরাগ ও বিরাগ উভয়ই তিনি মুক্তকণ্ঠে প্রকাশ করিতেন । ভ গু দেশপ্রেমিকগণের দ্যায় তিনি মনে এক ও মুখে আর এক ছিলেন না । কি শক্র কি মিত্র তিনি কাহারও মুখ চাহিয়া কথা কহিতেন না । বিশেষতঃ স্বীয় জীবনের যাহা লক্ষ্য বলিয়া বুঝিয়াছিলেন তাঙ্গীতে র্তাহার একান্ত অভিনিবেশ ও একাগ্রত ছিল ; সুতরাং যাহা লেই লক্ষ্যের অনুকুল তিনি যেমন অকুতোভয়ে তাহা ঘোষণা না করিয়া পাকিতে পারিতেন না, তদ্রুপ যাহা সেই লক্ষ্যের প্রতিকুল তাহার মূলেও শাণিত কুঠারাঘাত না করিয়া তিনি স্থির থাকিতে পারিতেন না । এজন্তই তিনি নরমদলের লোক না হষ্টয়া গরমদলের লোক হইয়াছিলেন ; এজন্তই আবার তিনি স্বদেশীর আনন্দ এবং দেশবৈরী ইংরাজ ও ভও দেশপ্রেমিকগণের আতঙ্ক স্বরূপ হইয়াছিলেন । যাহা অন্যায়, যাহা অধৰ্ম্ম, যাহা অসত্য ও ভণ্ড, শক্রমিত্র নিরপেক্ষ হষ্টয়া তিনি তাহ পদদলিত করিতেন। এই ভণ্ড ও তুষ্টদলনকাৰ্য্যেই তাহার সরলতা, নির্ভীকতা ও অকৃত্রিম দেশহিতৈষণা, অত্যুজ্জল ভাবে প্রকাশ পাইয়াছে। এই অতি দুরূহ কাৰ্য্যে তিনি যে কখনও কোনও ভুল-ভ্রাস্তি করেন নাই এমন কথা আমরা বলিতেছি না ; কিন্তু কোন অজ্ঞানী ও অশিক্ষিত্ব