পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છરર ,په ه লোক এই কাৰ্য্য হস্তে লইলে যে স্থলে সে শত শত ভ্রাস্তিতে পতিত হইত, সম্পূর্ণ জ্ঞানী ও সুশিক্ষিত লোক ছিলেন বলিয়া উপাধ্যায় হয়ত সে স্থলে দুষ্ট চারিট মাত্র ভুল করিয়াছেন। আমরা এতক্ষণ উপাধ্যায়ের সুতীব্র বক্তিত্বেরই আলোচনা করিয়ছি। আদি হইতে অস্ত পর্য্যন্ত র্তাহার জীবনের সকল ঘটনাতেই এই ব্যক্তিত্বের নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায় । প্রথম যৌবনে তিনি অপরাপর যুবকবৃন্দের ন্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের নামাঙ্কিত পত্ররাশিলাভ এবং তৎপরে গোলামপদান্বেষণকেই স্বীয় জীবনের চরম লক্ষ্য করেন নাই ; কিন্তু স্বদেশের ধৰ্ম্ম ও সমাজ সংস্কার বিষয়ক প্রশ্নসমূহের মীমাংসায় মনোনিবেশ করিয়াছিলেন ; এবং সেই সকল প্রশ্নের মীমাংস৷ স্বরূপ বর্তমান সময়ের অপরাপর অনেক গণনীয় ব্যক্তির স্থায় তিনিও প্রথমে ব্রাহ্মসমাজের উদার মুক্ত আধ্যাত্মিক ও সামাজিক মত সকল গ্রহণ করিয়া মহাত্ম। কেশবচন্দ্রের শিষ্য-শ্রেণীভুক্ত হইয়াছিলেন । ছাত্রাবস্থা হইতেই খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম প্রবর্তক মহাত্মা যিশু খ্ৰীষ্ট্রের প্রতি এবং খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র বাইবেল গ্রন্থের প্রতি উপাধ্যায়ের, অগাধ শ্রদ্ধা ছিল ; এজন্তই বোধ হয় তিনি ব্রাহ্মসমাজের অপর দুষ্ট শাখা পরিত্যাগ করিয়া খৃষ্টভক্ত কেশবচন্দ্রের পরিচালিত শাথায় যোগদান করিয়াছিলেন । কিন্তু ব্রাহ্মসমাজে যোগদাম কালেও হিন্দুধৰ্ম্ম ও হিন্দুসমাজের প্রতি উপাধ্যায়ের নিয়ম ংসকারীর ভাব ছিল না ; হিন্দুধৰ্ম্মে ও হিন্দুসমাজে যে কিছু শ্রেষ্ঠ ও সুসঙ্গত বস্তু আছে তৎসমুদায়ের সংরক্ষণের দিকে তাহার একটা স্বাভাবিক ও প্রবল ক্টোক ছিল । যাহা হউক ব্ৰাহ্মসমাজে যোগদানের পর তিনি কঙ্কর্ড ক্লাব নামে একটা সমিতি স্থাপন করিয়া এবং কঙ্কর্ড নামক একখানি মাসিক পত্র প্রকাশ করিয়া স্বদেশীয় যুবকবৃন্দের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধনে প্রবৃত্ত হইলেন। তদীয় পিতৃব্য পরলোকগত মহাত্মা কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় নামে কঙ্কর্ড পত্রের সম্পাদক থাকিলেও উপাধ্যায় মহাশয় নিজেই ঐ পত্র সম্পাদন করিতেন। এইরূপে কিছুকাল বঙ্গীয় যুবকগণের কলাণসাধন চেষ্টার পর জনৈক বন্ধুর সহিত উপাধ্যায় ব্রাহ্মধৰ্ম্ম-প্রচারোদ্দেশ্যে সিন্ধুদেশে গমন করেন। क्षिभूहे ७ বাইবেল গ্রন্থের প্রতি র্তাহার অপরিসীম শ্রদ্ধা দেখিয় তাহার বন্ধুরা অনেক সময় উপহাস করিয়া বলিতেন প্রবাসী । [ १ब डांत्र .ை উপাধ্যায় কালে थूठेॉन श्झेब्रां যাইবেন। বর যে বাক্য . উপহাস করিয়া বলিতেন এখন সেই বাক্যই সত্য হইল ; সিন্ধুদেশে বাসকালে উপাধ্যায় খৃষ্টীয় ধৰ্ম্ম আশ্রয় করিলেন । সাধারণ মনুষ্য হইলে অপরাপর শত শত ভদ্রবংশীয় খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মাবলম্বীর দ্যায় উপাধ্যায়ও এখন একটী উচ্চ বেতনের পাদ্রাপদ গ্রহণ করিয়া সুখে , ও সন্ত্রমে জীবন কাটাইয়া দিতেন। কিন্তু উপাধ্যায়,সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাতুর লোক ছিলেন ; সুতরাং মুখসন্ত্রম প্রভৃতি বাহ সম্পদ পরিত্যাগ করিয়া তিনি খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মতত্ত্বালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। উপাধ্যায় প্রথমে প্রোটেষ্টাণ্ট খৃষ্টীয় সম্প্রদায়ের জনৈক পাদ্রী দ্বারাই খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু তিনি হিন্দু সন্তান, সুতরাং উচ্চাঙ্গের জ্ঞান-ভক্তি-চর্চায় তাহার স্বাভাবিক অভিনিবেশ ও প্রতিভা ছিল। কিন্তু দেশ প্রচলিত প্রোটেষ্টাণ্ট খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মে উচ্চাঙ্গের ভক্তি বা তত্ত্বজ্ঞানের বিশেষ কোন উপকরণ তিনি দেখিতে পাইলেন না ; এজন্য অচিরে তিনি স্বভাবতঃই রোমান কাথলিক খৃষ্টীয় সম্প্রদায়ভুক্ত হইলেন । রোমান কাথলিক সম্প্রদায়ে যোগদানের পর তিনি একটী অতি মহৎ কাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করেন। সেই কাৰ্য্যটি সাধন করিতে পারিলেও তিনি ইতিহাসে অক্ষয় কীৰ্ত্তি লাভ করিতে পারিতেন। ইতিহাসজ্ঞ ব্যক্তি মাত্রেই জানেন যে, সাধু যোহন, সাধু পৌল এবং তাছাদের পদাঙ্কামুসারী পরবর্তী রোমান কাথলিক খৃষ্টীয় সমাজের আচার্য্যগণ ( The fathers of the Cristian Church ) is Witan so Šišić ধৰ্ম্মের সংযোগ ও সামঞ্জস্ত বিধান করিতে পারিয়াছিলেন বলিয়াই ইউরোপ-খণ্ডে খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম অত সহজে প্রচারিত ও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। বস্তুতঃ দেশ-প্রচলিত উচ্চাঙ্গের জ্ঞান-ভক্তির সহিত বিচ্ছেদ বা বিরোধ থাকিলে কোনও ধৰ্ম্মই তদেশে বদ্ধমূল হইতে পারে না। এই মহাসত্যটা হৃদয়ঙ্গম করিয়া এবং খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম ও হিন্দুধৰ্ম্ম উভয়েরই প্রতি যুগপৎ শ্রদ্ধাবশতঃ উপাধ্যায় ব্রহ্মবান্ধব হিন্দু জ্ঞানের শিরোভাগ বেদান্ত-দর্শনের সহিত ও হিন্দু সন্ন্যাস-ধৰ্ম্মের সহিত খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মের সংযোগ ও সামঞ্জস্তবিধান করিয়া এদেশে খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্ম-প্রচারের একটি উন্নত জ্ঞান-সন্মত পন্থ উদ্ভাবনে প্রবৃত্ত হইলেন। খ্ৰীষ্টীয় ধৰ্ম্মপ্রচারের এই অভিনব ও উন্নত পৰ সিন্ধুদেশ-বাসকালে সোফিয়া নামক সাময়িক পত্রে এবং পরে