পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২৬ . ঐ ধৰ্ম্ম ও ঐ সমাজকে নিৰ্ম্মম ও প্রচণ্ডভাবে আক্রমণ করিয়াছিলেন। তন্দ্রপ ইংরাজের কি সদগুণ ও মহত্ব আছে এবং ইংরাজের দ্বারা আমাদের কতটুকু উপকার এক সময়ে সাধিত হইয়াছে উপাধ্যায়ের দ্যায় তীক্ষবৃদ্ধি ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি কি তাহা বুঝিতেন না, না জানিতেন না ? কিন্তু ইংরাজের মোহপাশই যে এখন আমাদের দুঃখদুর্দশার এক প্রধান হেতু হষ্টয় দাড়াইয়াছে ; এষ্ট জন্যই উপাধ্যায় ইংরাজকে অত নিৰ্ম্মমভাবে আক্রমণ করিয়াছিলেন। তিনি যে ভণ্ড দেশপ্রেমিকদিগকে আক্রমণ করিয়াছেন তাহারও হেতু সেই একই। কিন্তু উপাধ্যায়ের সম্বন্ধে এ কথা সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, তাহার যে পিরাগ তাঙ্গ অজ্ঞানীর বিরাগের স্থায় দ্বেষ ও হিংসাজড়িত মলিন বিরাগ ছিল না ; তাহার বিরাগ জ্ঞানীর বিরাগ ; সুতরাং তাহারও পশ্চাতে উদারতা ও উপেক্ষার ভাব পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান ছিল । .ইহুদী রাজর্ষি সুলেমান বলিয়াছেন, “নিন্দুকের হস্ত হইতে অব্যাহতি পাইয়াছে এমন লোক জগতে কে আছে ?” সুতরাং উপাধ্যায় ৪ মে নিন্দুকের গুপ্ত ছুরিকাঘাত হইতে নিষ্কৃতি পান নাই, ইহা কিছুষ্ট আশ্চর্য্যের বিধয় নহে। কিন্তু পূৰ্ব্বে লোকেরা তাহাতে প্রকৃত বা কল্পিত দোষারোপ করিয়া তাহাব যতই নিন্দ প্রচার করিয়া থাকুক না কেন, রাজদ্রোহিতাপরাধে অভিযন্ত হইয়া উপাধ্যায় যখন উত্তোলিতমুদগর-হস্ত ইংরাজ দণ্ডদাতার সম্মুণে নীত হইয়া বজগষ্ঠীর স্বরে বলিলেন,--- “ I do not wont to take anv ['art in this trial, because l do not believe that in carrying out my humble share of the god-appointed mission of Swaraj, l aim im any way accountable to the alien people who happen to rule over us auth whose interest is and must necessarily be in the way of our true national development.” —“উপস্থিত মোকদ্দমার কোনও প্রকার সংস্রবে আমি থাকিতে চাহি না, কারণ আমার বিশ্বাস এই যে, স্বদেশে ঈশ্বরাদিষ্ট স্বরাজ প্রতিষ্ঠার্থে আমি যে অতি সামান্ত চেষ্ট৷ করিয়াছি, তজ্জন্ত, যাহাঁদের স্বার্থ অবশুম্ভাবীরূপে আমাদের জাতীয় উন্নতির বিরোধী হই.েই হইবে, সেই বিদেশীয় রাজজাতির নিকট আমি কোনও প্রকারে দায়ী নহি”— উপাধ্যায় যখন বজগম্ভীর স্বরে এই কথা বলিলেন, ইংরাজ প্রবাসী । [ १च खांशं । দণ্ডদাতা তখন ক্রোধ ও অভিমানে অগ্নিমূৰ্ত্তি হইয়া রোবপ্রদীপ্ত ভ্ৰকুঞ্চিত দৃষ্টিতে তাহার পানে দৃষ্টপাত করিলেও, শুক্রমিত্র সকলেই তখন উচ্চৈঃস্বরে উপাধ্যায়ের জয় ঘোষণা না করিয়া থাকিতে পারেন নাই। কিন্তু এক অলৌকিক গৌরবচ্ছটায় মণ্ডিত কুরিয়া ভগবান যেন তাহাকে এ জগৎ হইতে অপসারিত করিবেন, এজন্ত ভগবানের অপূৰ্ব্ব বিধানে মৃত্যু আসিয়া তাহাকে এ সময় আলিঙ্গন করিল। কয়েক বৎসর পূর্ব হইতেই উপাধ্যায় অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্রবৃদ্ধি রোগে ভূগিতেছিলেন। অবশেষে সন্ধ্যার মোকদ্দমার সময় দিনের পর দিন আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াইয়া থাকিতে থাকিতে র্তাহার রোগ বৃদ্ধি পায়। এ সময় উপাধ্যায়ের পক্ষীয় কৌসলী তাহার জন্ত বসিবার আসন চাহবার ইচ্ছা প্রকাশ করায় তিনি বলিয়াছিলেন, “আমি চোর, দস্থ্য বা নরহত্যাকারীরূপে এস্থলে উপস্থিত হই নাই ; সুতরাং ফিরিঙ্গী যদি ভদ্রলোক হয় তাহা হইলে স্বইচ্ছাতেই সে ভদ্রলোকের সমাদর করিবে ; আর ভদ্রলোক ন হইলে অভদ্রজনের নিকট আসন ভিক্ষণ করা বড় হীনতার কার্য্য ; সুতরাং আমি তাহা করিতে চাহি না ।” যাহা হউক নিরন্তর দণ্ডায়মান থাকা হেতু রোগ বৃদ্ধি হইলে উপাধ্যায় প্রথমে তাহার বন্ধু জনৈক প্রসিদ্ধ বাঙ্গালী ডাক্তারের নিকট গমন করিয়া, তাহার কারাদণ্ড যখন সুনিশ্চিত, তখন ঐ রোগের মূলস্থান অস্ত্র করা কর্তব্য কিনা, তদ্বিষয়ে তাহার পরামর্শ জিজ্ঞাসা করেন। এইরূপ রোগগ্ৰস্ত কয়েদীদের জন্য কারাগারে কিরূপ বিধান আছে তাহী জানিবার জন্য উক্ত ডাক্তার মহাশয় কারাধ্যক্ষের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া অবগত হন যে, অন্ত্রবৃদ্ধি রোগগ্রস্ত ব্যক্তি কারারুদ্ধ হইলেই তাহার রোগস্থান অস্ত্র করা হয়, এবং এক বৎসর পরে তাহার স্বাস্থ্যোন্নতি হইলে তাহাকে কঠিন পরিশ্রম করিতে বাধ্য করা হয়। ডাক্তার বন্ধুর নিকট এই কথা অবগত হইয়া উপাধ্যায় ভাবিলেন যে, তাহার কারারুদ্ধ হওয়া এবং কারাগারে তাহার রোগের অস্ত্র হওয়া, এতদুভয়ই যখন সুনিশ্চিত, তখন কারাগারে অস্ত্র না হইয়া কারাপ্রবেশের পূৰ্ব্বেই অস্ত্র হইয় যাওয়াই নিরাপদ। র্তাহার ডাক্তার বন্ধুও এ বিষয়ে তাহার সহিত একমত হইলেন। উপাধ্যায়ের জনৈক অস্তুরঙ্গ