পাতা:প্রবাসী (সপ্তম ভাগ, দ্বিতীয়াংশ).djvu/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ७२६~' আৰ্দ্ৰতা বশতঃ গৃহে চাঙ বা মঞ্চ শয়নের জন্ত বিহিত হয়। টিপ্রীদের গুহকে চাঙ কচে । তাহাদের কৃষিক্ষেত্ৰ আহোমিয়া অপর পাৰ্ব্বতীয় জাতির কৃষিক্ষেত্রের ন্তায় জুম্ নামে খ্যাত । যোগীজাতির মধ্যে যাহারা বাহ্মণ চক্টয়াছেন তাহার নাথের ব্রাহ্মণ ও অপরে শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ ষ্টত খ্যাপন করা ভোজনালয়ের গাত্রে উৎকীর্ণ দেখিলাম। ভারবহনের জন্য একখানি কাষ্ঠের একদিকের অগ্রভাগ প্রশস্ত করিয়া গোদিত হইয়াছে অপর দিক বাহক স্বন্ধে করিয়া কৃষিজাত বিক্রয় করিয়া ফিরিতেছে । আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করিলাম তোমার জাতি কি ? তদুত্তরে সে কহিল নমঃ অর্থাৎ নমঃশুদ, শ্বদ হইতেও নত বা নবশূদ্র । এক ব্রাহ্মণ কহিতেছিলেম কলিকাতার লোকে নৌকাকে “নেীকে" লবণকে “ল্পণ” কহে । দুইটী স্ত্রীলোককে ছত্র দ্বারা মুখাবরণ করিতে দেখি, ব্যাপার কি বুঝিবার জন্ত আমি যত সন্মুখীন হই, আহোমিয়া প্রথানুসারে তাহারী তত ছত্রের অন্তরালে প্রবেশ করেন । কুমিল্লা হইতে যাত্রা করিয়৷ শ্ৰীহটের নিকটবৰ্ত্তী বদরপুর সঙ্গমে প্রভাত হইলে নয়নোন্মীলন করিয়া দেখিলাম আমরা উপত্যক প্রদেশে উত্তীর্ণ হইয়াছি । হরিৎ বনস্থলীতে কৃষ্ণ উপলখণ্ডের মধ্যে নীলদর্পণের মত সুরম শ্রোতস্বিনী নিস্তব্ধ ভাবে অরণ্যের মাধুরী বিস্তার করিতেছে । কয়েক জন মণিপুরী পুরুষ ও একটা নারী সন্তান লইয়৷ শকটে আরোহণ করিলেন । ত{হাদের নাসাথে আলম্বিত তিলক বৈষ্ণবত্ব থ্যাপন করিতেছে ও মস্তকাচ্ছাদন পক্সের বন্ধন প্রণালী সহ বক্ষোবেষ্টনে মঙ্গোলিয়ত প্রকাশ কবিল ; পুরুষের একটাকে আমার গুরথাবলিয়া ভ্রম হইয়াছিল। ক্রমে নাগলোকে প্রবেশ করিলাম, অসংখ্য সুরঙ্গের অন্ধকার ভেদ করির বাষ্পীয় শকটশ্রেণী শ্লেট প্রভৃতি প্রস্তরের স্তবক একপাশ্বে ও অন্যদিকে দূরে চা-ক্ষেত্র এবং থাত রাখিয়া গন্তব্য স্থানে অগ্রসর হইতেছে। বংশ কদলী ও বেত্র প্রভৃতি ক্ষীণবৃক্ষে ও বিবিধ গুল্ম দ্বারা শৈল সমাচ্ছন্ন, ইতস্তত: নাগাজাতিব তৃণাচ্ছাদিত কুটার ও শস্যক্ষেত্ৰ পৰ্ব্বত-তরঙ্গে দৃষ্ট হইল। নাগাদিগের আস্থরিক দেহ একস্থানে মাত্র দৃষ্টিপথে আসিয়াছে। শকটাশ্রয়ে নেপালীরা দধিবিক্রয় করিতেছে। পথনিৰ্ম্মাণে শ্রম জীবীর কার্য্য করিতে আসিয়া তাহার এক্ষণে ব্যবসায়ী হইয়াছে। লামডিং নামক স্থানে রাত্রি যাপন করিয়া সমতল প্রবাসী । ও পৰ্ব্বতনিকটস্থ ভূভাগে গমন কালে বারদ্বয় স্বৰ্য্যোদয় দৃষ্ট [१बं छां★ । इंहेन । यहे cनथिशाम निभनि কোন শৈলশৃঙ্গের পার্থে ভুবনমোহন রক্তিমাবর্ণ বিস্তার করিয়া দেখা দিলেন, চলিতে চলিতে আর দেখা গেল না, কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়া আবার দেখি তিনি উঠিতেছেন। বহুকাল বাবৎ আমি আসামে লৌহপথ উদঘাটনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। এখন অভীষ্টস্থানে গৌহাটীতে ব্ৰহ্মপুত্রতীরে অবস্থিতি করিতেছি। লৌহিত্যনদ শ্বেত জলরাশির উপর বাষ্পীয় তরণ ধারণ করিতেছে। সুদূরে পরপূার হইতে পৰ্ব্বতমালা আকাশের নীলিমায় মিশিয়া বিশ্বরঙ্গালয়ের পটপরিবর্তনের মধ্যে সমুপস্থিত। প্রথমে কঞ্জগিরি তাহার পর ভোটান্ত হইতে হিমালয় “স্থিতঃ পুর্থীব্য। ইব মানদণ্ড” চলিয়াছে। কামাপ্যার ভৈরব শিবানন্দ জলগর্ভস্থ শৈলে দেবায়তনে নিহিত । নগর ইউরোপীয় প্রণালীতে প্রস্তুত গৃহে পূর্ণ। পানবাজার বাঙ্গালীর কার্য্যক্ষেত্র। আসামী দেখিবার জন্ত আমাকে উজানবাজারে যাইতে হইল, সেখানে তৃপ্তি পাইলাম না ! পরপারে উত্তর-গুয়াহাটী তটে ভূমি ত্যাগ করিয়া রথ্যাপাশ্বে কয়েকখানি পণ্যশালা দৃষ্টিগোচর হইল। দুগ্ধবিক্রেতার কেশকৰ্ত্তনের উৎকণী প্রণালী ও তদনুযায়ী ভাষা আমাকে চিন্তাকুল করিল। কিয়দ রে ব্যঞ্জনের উপযোগী ফলমূল ও মৎস্ত বিক্রয় হইতেছে। মৎস্তগন্ধার গৌরমুখে সিন্দুরবিহীন সীমস্তের দুইপাশ্বে বৃহৎ কর্ণছিদ্রে প্রবিষ্ট রক্তিম অলঙ্কারসহ মেখলা ও “রিহার” উপর বিন্যস্ত বস্ত্রাচ্ছাদন হইতে দূরস্থ রিক্ত হস্ত প্রতিভাত হইল। পল্লীমধ্যে গৃহগুলি বৃক্ষবাটিকার মধ্যে অবস্থিত। ছাদের আকার ফারদপুরস্থ গৃহের ও প্রতিমার বাংলা চালের মত, সুন্দর না হইলেও তৃণ ও বংশশয্যায় হীন নহে । অঙ্গনের বহির্দেশে বক্ষঃ হইতে জানু পর্য্যন্ত আস্তরণে গ্রন্থীকৃত বস্ত্রা কেচিৎ মহিলা কেরলীবৎ কেশদাম বিস্তার করিয়া পথিকের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করতঃ অন্তৰ্ছিতা হইলেন । নামঘরের অনুসন্ধানে এক গৃহস্থের বাটীতে উঠিলাম। কেয়টপত্নী নিদ্রিত পতিকে আহবান করিয়া দিল। তাহার গৃহে বঙ্গদেশীয় পঞ্জিকা রহিয়াছে। শঙ্করদেবের ঘোষা ৰ কীৰ্ত্তন বাঙ্গলা অক্ষরে লিখিত। ভাষা বাঙ্গালা হইতে অধিক